পুরোটাই ভাওতাবাজি, অন্য গাড়ির ছবি দেখিয়ে ইউটিউবে বলা হচ্ছে Tata Nano-র নতুন মডেল
বর্তমান প্রযুক্তির দুনিয়ায় ইন্টারনেট মানব জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হয়ে উঠেছে। যেখানে এক তুড়িতেই নামিদামি থেকে...বর্তমান প্রযুক্তির দুনিয়ায় ইন্টারনেট মানব জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হয়ে উঠেছে। যেখানে এক তুড়িতেই নামিদামি থেকে সাধারণ – যে কোনো গাড়ির সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য, ছবি ও ভিডিও আমরা হাতের নাগালে পেয়ে যাই। কিন্তু সেখানে যেমন সঠিক তথ্য থাকে, তেমনি ভুয়ো খবরের সংখ্যাটিও নেহাত কম নয়। যথাযথভাবে যাচাই করে না দেখে আমরা হামেশাই এই ভুল তথ্যে ভরা ভিডিও শেয়ার করি সোশ্যাল মিডিয়ায়। ফলে বাতাসের চেয়েও দ্রুত বেগে এই ভুল তথ্য ছড়িয়ে পড়ে। এবারও তেমনি এক ঘটনার কথা সামনে এলো। Tata Nano এবারে নতুন অবতারে আসছে বলে দাবি করা হল এক ইউটিউব চ্যানেল। যাকে ঘিরে, ভুয়ো খবর ছড়ানোর জন্য জোর চর্চা চলছে।
ব্র্যান্ড নিউ Tata Nano আসা নিয়ে আসল তথ্য কী
ভিডিয়োটিতে দাবি করা হয় যে, টাটা ন্যানো নয়া ভার্সনে আসতে চলেছে। ভিডিওতে গাড়িটির একটি কনসেপ্ট ভার্সনও দেখানো হয়। গাড়িটির ডাইমেনশন সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয় সেখানে। তবে ভিডিওতে দেখানো গাড়িটি আদতে Kia Picanto 3-Door। একেই টাটার পরবর্তী প্রজন্মের ন্যানো গাড়ি হিসেবে দেখানো হয়েছে।
ইউটিউবার দাবি করেন, টাটার ওমেগা এআরসি প্ল্যাটফর্মের উপর ভিত্তি করে আসবে নতুন ন্যানো। এতে থাকবে একটি ১.০ লিটার, ৩-সিলিন্ডার, ন্যাচারালি অ্যাস্পিরেটেড পেট্রোল ইঞ্জিন। যদিও প্রতিটি তথ্য ভুলে ভরা। ন্যানোর প্রত্যাবর্তন নিয়ে চর্চা চললেও টাটা এখনও অফিশিয়ালি কিছু দলেনি। ফলে নয়া অবতরে Tata Nano-এর লঞ্চের খবর ভুয়া বলেই মনে করা হচ্ছে।
এটুকু নিশ্চিত, টাটা ন্যানো কামব্যাক করলে সেটি হবে ইলেকট্রিক ভার্সন। পেট্রল ইঞ্জিনে হাজির করার কোন পরিকল্পনাই নেই সংস্থার। বহু ক্রেতা তাদের ন্যানো গাড়িটি ইলেকট্রিকে বদলে নিয়েছে। যা দেখে টাটার অনুপ্রাণিত হওয়ার সম্ভাবনার কথা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। বর্তমানে টাটার পোর্টফোলিওতে প্রতিটি ইলেকট্রিক গাড়ি আইসিই ভার্সনে বিক্রি করা হয়। তা সে Nexon EV, Tiago EV বা Tigor EV – যাই হোক না কেন। এদিকে বর্তমানে টাটা ইলেকট্রিক গাড়ির একটি নতুন প্ল্যাটফর্মের উপর কাজ করছে। সেটি হতে পারে ন্যানোর জন্য।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে টাটা ভারতের বৈদ্যুতিক গাড়ি সেগমেন্টে নেতৃত্ব প্রদান করে। তবে অন্য কোন বৈদ্যুতিক গাড়ি লঞ্চের আগে ন্যানো-কেঐ ইলেকট্রিক ভার্সনে আনার কথাও চিন্তাভাবনা করছে তারা। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করতে কোয়েম্বাটুরের জায়েম অটোমেটিভ-এর সাহায্য নেওয়া হতে পারে। প্রতিষ্ঠানটি টাটা ন্যানোর একটি মডেল ইলেকট্রিক ভার্সনে পরিবর্তিত করিয়ে দেখিয়েছে। বর্তমানে এদেশের রাস্তায় এর বেশ কিছু বৈদ্যুতিক ভার্সন চড়ে বেড়াতে দেখা যায়। রতন টাটা-ও একটি কাস্টম-বিল্ট Nano EV ব্যবহার করেন।