বর্ষাকালে বৃষ্টি ভেজা রাস্তায় দুর্ঘটনা থেকে বাঁচাবে এই বাইক, রয়েছে বিশেষ প্রযুক্তি
বর্ষাকালে মোটরসাইকেল নিয়ে রাস্তায় বেরোলে অনেক ঝুঁকি থাকে। তার মধ্যে অন্যতম পিচ্ছিল রাস্তায় দুর্ঘটনার আশঙ্কা। কারণ এরকম...বর্ষাকালে মোটরসাইকেল নিয়ে রাস্তায় বেরোলে অনেক ঝুঁকি থাকে। তার মধ্যে অন্যতম পিচ্ছিল রাস্তায় দুর্ঘটনার আশঙ্কা। কারণ এরকম রাস্তায় হঠাৎ ব্রেক কষলে চাকা লক হয়ে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তবে অ্যান্টি লক ব্রেকিং সিস্টেম বা এবিএস থাকলে ঝুঁকি কমে যায়। এটি চাকা স্কিড করতে দেয় না। আগে এবিএস যুক্ত বাইক ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকলেও, এখন তা সাধ্যের মধ্যে চলে এসেছে। বাজেট কম থাকলেও চিন্তা নেই। ১১০ সিসির মডেলেও এখন মিলছে সিঙ্গেল চ্যানেল এবিএস। তাই বর্ষাকালে নিজের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে চাইলে এখানে ভারতের সবচেয়ে সস্তা এবিএস বাইকের তালিকা দেখে নিন।
ভারতের সবচেয়ে সস্তা এবিএস বাইকের লিস্ট
বাজাজ প্ল্যাটিনা ১১০ এবিএস
ভারতের সবচেয়ে সস্তা এবিএস বাইক হল বাজাজ প্ল্যাটিনা ১১০। এই মোটরসাইকেলে ১১০ সিসি ইঞ্জিন থাকলেও এবিএস প্রযুক্তি বর্তমান। সামনের চাকায় ২৪০ মিমি ডিস্ক ব্রেকের সাথে সিঙ্গেল চ্যানেল এবিএস আছে। বাইকটির ১১৫.৪৫ সিসি, এয়ার কুল্ড, সিঙ্গেল সিলিন্ডার ইঞ্জিন থেকে ৮.৬ পিএস শক্তি এবং ৯.৮১ এনএম টর্ক পাওয়া যায়। কিনতে খরচ হবে ৭৮,৮২১ টাকা।
হিরো এক্সট্রিম ১২৫আর
ডিজাইনের জন্য লঞ্চের পরই বাজারে সাড়া ফেলে দিয়েছে হিরো এক্সট্রিম ১২৫আর।দেখতে এটি হায়ার সিসি বাইকের মতো। বর্তমানে এবিএস যুক্ত ১২৫ সিসির সবচেয়ে সস্তা মডেল এটি। এতে সিঙ্গেল চ্যানেল এবিএস সহ সামনে ২৭৬ মিমি ডিস্ক ব্রেক রয়েছে। বাইকটির ১২৪.৭ সিসি এয়ার কুল্ড, সিঙ্গেল সিলিন্ডার, ফুয়েল ইনজেক্টটেড ইঞ্জিন সর্বোচ্চ ১১.৫ পিএস শক্তি এবং ১০.৫ এনএম টক উৎপন্ন করে। এটির দাম ৯৯,৫০০ টাকা।
হোন্ডা ইউনিকর্ন
হোন্ডা ইউনিকর্ন অনেক বছর ধরেই বাজারে রয়েছে। এবং প্রিমিয়াম কমিউটার মোটরসাইকেল হিসেবে বিশাল জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। জাপানি এই বাইকের সামনের চাকায় সিঙ্গেল চ্যানেল এবিএস সহ ২৪০ মিমি ফ্রন্ট ডিস্ক রয়েছে। মডেলটির ১৬২.৭ সিসির ইঞ্জিন থেকে সর্বাধিক ১৩.৪৬ পিএস শক্তি এবং ১৪.৫৮ এনএম টর্ক উৎপন্ন হয়। বর্তমানে দাম ১,০৯,৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।