কোন জিনিস যত ভালই হোক না কেন, সঠিকভাবে যত্ন নিতে না পারলে সেটি কখনোই দীর্ঘমেয়াদি হয় না। ঠিক তেমনই যানবাহনের ক্ষেত্রেও এই কথাটি সমান ভাবে প্রযোজ্য। ইদানিং ভারতে স্কুটারের চাহিদা যথেষ্ট বাড়তে দেখা যাচ্ছে। গিয়ারলেস হওয়ার কারণে ট্রাফিক জ্যামে সহজেই ঢিমেতালে চলা যায়। বারবার গিয়ার বদলানোর ঝুটঝামেলা থাকে না। কিন্তু ওই যে বললাম, যত্ন না নিলে যে কোন স্কুটারই বিকল হতে বেশি সময় নেবে না। এই প্রতিবেদনে আমরা পাঁচটি সহজ উপায় বলব, যেগুলি মেনে চললে বছরের পর বছর স্কুটারের পারফরম্যান্স প্রথম দিনের মতোই থাকবে।
পরিষ্কার রাখুন
কোণা-খামচিতে ধুলো ময়লা জমলে স্কুটারের ক্ষতি হতে পারে। তাই সপ্তাহে অন্তত একদিন স্কুটারের উপরিভাগ ভালোভাবে মুছে নিন। জল দিয়ে ধোয়ার আগে ইগনিশন সুইচ এবং সাইলেন্সার প্লাস্টিক দিয়ে মুড়োতে ভুলবেন না। এইসব জায়গায় জল ঢুকে গেলেই সমস্যা দেখা দেবে। আবার রঙ জ্বলে যাওয়ার হাত থেকে বাঁচাতে হলে সরাসরি সূর্যের আলোর নিচে না রেখে স্কুটারটি ছাওয়াতে পার্ক করার অভ্যাস তৈরি করুন।
ইঞ্জিন অয়েলের বিষয়ে সচেতন থাকুন
মাখনের মত রাইডিং পেতে চাইলে স্কুটারের ইঞ্জিন অয়েলের বিষয়ে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। ইঞ্জিন অয়েল মেয়াদ উত্তীর্ণ হলে অথবা পরিমাণ কমতে শুরু করলে সমস্যা দেখা দিতে পারে। এতে কার্বন জমে ইঞ্জিনটি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
নিয়মিত সার্ভিসিং করান
স্কুটার ভাল রাখতে হলে সময়মতো সার্ভিসিং করানোর ব্যবস্থা করতেই হবে। অথোরাইজড সেন্টার থেকে সার্ভিসিং করানোটাই যুক্তিযুক্ত। প্রতিবার সার্ভিসিংয়ে কার্বুরেটর এবং স্পার্ক প্লাগ পরিষ্কার করা হয়। তাই প্রতি ১,০০০ কিলোমিটার পথ চলার পর বাহনের সার্ভিসিং অবশ্যই করিয়ে নিন।
টায়ারের স্বাস্থ্যের বিষয়ে সজাগ থাকুন
টায়ারের মেয়াদ বাড়াতে চাইলে কিছুদিন অন্তর এয়ার প্রেসার মাপিয়ে নিন। এয়ার প্রেসারে গোলমাল হলে রাইডিং আরামদায়ক হয় না। এতে করেও টায়ারের ক্ষতি হয়। তাই কোম্পানির নির্দেশ মতো এয়ার প্রেসার ঠিক রাখার পরামর্শ রইল।
ব্যাটারি বদলান
ইঞ্জিন স্টার্ট হওয়ার জন্য ব্যাটারি অতি গুরুত্বপূর্ণ। তাই এতে কোনরকম সমস্যা হলে সেটি বদলে নেওয়ায় বুদ্ধিমানের কাজ। ব্যাটারিতে জং বা লিক দেখলে সেটি তৎক্ষণাৎ মেরামত অথবা বদলে ফেলার ব্যবস্থা করুন। বেশি ফেলে রাখলে ব্যাটারির চার্জ তাড়াতাড়ি ফুরিয়ে যায়। তাই নিয়মিত স্কুটার চালানো প্রয়োজন।