শীর্ষস্থান হারাল Ola, অঘটন ঘটিয়ে দেশের এক নম্বর ই-স্কুটার সংস্থা এখন Okinawa, প্রথম পাঁচে আর কারা
মে মাসে বৈদ্যুতিক দু'চাকা গাড়ির বাজারে বড় অঘটন! এপ্রিলে এতদিন ধরে ফার্স্টবয় থাকা হিরো ইলেকট্রিক (Hero Electric)-কে...মে মাসে বৈদ্যুতিক দু'চাকা গাড়ির বাজারে বড় অঘটন! এপ্রিলে এতদিন ধরে ফার্স্টবয় থাকা হিরো ইলেকট্রিক (Hero Electric)-কে স্থানচ্যুত করে জায়গা দখল করতে দেখা গিয়েছিল ওলা ইলেকট্রিক (Ola Electric)-কে। কিন্তু পরের মাসে ইলেকট্রিক টু-হুইলারের বাজারে সর্বোচ্চ স্থান ধরে রাখতে ব্যর্থ হল ওলা। নেমে এল দু’নম্বরে। সেই জায়গা দখল করল ওকিনাওয়া অটোটেক (Okinawa Autotech)। গত মাসে ৯,২৯০ ইউনিট বিক্রি করার ফলে বর্তমানে দেশের এক নম্বর ইলেকট্রিক স্কুটার সংস্থা ওকিনাওয়া।
শীর্ষস্থানের দখলদার হলেও এপ্রিলের তুলনায় মে-মাসে ওকিনাওয়ার বিক্রিবাটা কমেছে। এপ্রিলে তাদের ১১,০১১টি স্কুটার বিক্রি হয়েছিল। বস্তুত পরিসংখ্যান বলছে, মে মাসে দেশে সামগ্রিক ভাবে বৈদ্যুতিক দু'চাকার বিক্রিবাটা ২০% কমেছে। গত মাসে দেশে মোট ৩৯,৩৩৯ জন ক্রেতা বৈদ্যুতিক দু’চাকার গাড়ি বাড়ি নিয়ে এসেছে। ওলা ইলেকট্রিক এপ্রিলে যেখানে ১২,৭০২টি ই-স্কুটার ডেলিভারি দিতে পেরেছিল, সেখানে মে-মাসে তার পরিমাণ ৩০% কমে দাঁড়িয়েছে ৯,১৯৬-তে।
৫,৮১৯টি টু-হুইলার বিক্রির মধ্য দিয়ে তালিকার তৃতীয় স্থান দখল করেছে অ্যাম্পিয়ার ইলেকট্রিক (Ampere Electric)। তবে এপ্রিলে সংস্থাটি ৬,৫৪০টি বৈদ্যুতিক টু-হুইলার বিক্রি করেছিল। এদিকে গত মাসে নিজেদের ই-স্কুটার বিক্রির সমস্ত রেকর্ড ভেঙেছে এথার এনার্জি (Ather Energy)। মোট ৩,৭৮৭টি স্কুটার বিক্রির ফলে চার নম্বরে জায়গা পেয়েছে এথার। এপ্রিলে ২,৪৫০ ইউনিট বেচতে পেরেছিল তারা।
তবে তাজ্জবের বিষয় একসময়কার পয়লা নম্বরে থাকা হিরো ইলেকট্রিকের স্থান হয়েছে তালিকার পাঁচ নম্বরে। গত মাসে মাত্র ২,৮৪৯টি ই-স্কুটার বিক্রি করতে পেরেছে হিরো। যেখানে এপ্রিলে বেচাকেনার পরিমাণ ছিল ৬,৫৭৮। সংস্থার এই করুণ অবস্থার প্রসঙ্গে সিইও সোহিন্দর গিল জোগান-শৃঙ্খলের সমস্যাকে দায়ী করেন। তিনি বলেন, সাপ্লাই চেইনের সমস্যার কারণে কয়েকদিন স্কুটারের উৎপাদন বন্ধ থাকার পর ১৫ মে থেকে তারা নির্মাণকার্য শুরু করতে পেরেছে।
সংস্থার তরফে আরও জানানো হয়েছে, তাদের প্রোডাকশন লাইন ঢেলে সাজানো হয়েছে। বর্তমানে তাদের কারখানায় ২,০০,০০০ দু’চাকার গাড়ি উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে। তাই পরবর্তী মাসে নিজেদের হারানো জমি পুনরায় ফিরে পাবে বলে আশাবাদী সংস্থাটি।