Car Tips: গাড়ি কেনার সময় এই 5 ফিচার্স আছে কিনা জিজ্ঞাসা করুন, না হলে পস্তাবেন

আজকালকার দিনে নিজের সুরক্ষার বিষয়টির সঙ্গে কোন রকম সমঝোতা করতে নারাজ আমরা সকলে। নতুন গাড়ি কেনার ক্ষেত্রেও এই বিষয়টিকে...
techgup 25 Oct 2023 12:02 PM IST

আজকালকার দিনে নিজের সুরক্ষার বিষয়টির সঙ্গে কোন রকম সমঝোতা করতে নারাজ আমরা সকলে। নতুন গাড়ি কেনার ক্ষেত্রেও এই বিষয়টিকে অধিক প্রাধান্য দেওয়া হয়ে থাকে। একটি গাড়ির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ফিচার হল তার নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এই কারণেই ক্রেতাদের কাছে আরো আকর্ষণীয় করে তুলতে বর্তমানে বিভিন্ন গাড়ি নির্মাণকারী সংস্থাগুলো এই বিষয়ে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়েছে। গাড়ির নিরাপত্তার বিষয়ে জোর দিতে গ্রাহকদের যেমন সচেতন করা হচ্ছে অপরদিকে সরকারের পক্ষ থেকেও বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে নির্মাতাদের উৎসাহ দেওয়ার জন্য। সামনের দীপাবলিতে একটি নতুন গাড়ি কেনার পরিকল্পনা করেছেন অনেকেই। তাদের সুবিধার জন্য গাড়ির সুরক্ষা বিষয়ক সংক্রান্ত যে পাঁচটি ফিচার থাকা একান্তই প্রয়োজন তার তালিকা রইল আজ।

গাড়ি কেনার আগে যে 5 সেফটি ফিচার্স চেক করবেন

এয়ারব্যাগ:

দুর্ঘটনায় পড়লে যাত্রী তথা চালকের আহত হওয়ার সম্ভাবনা কমাতে এয়ারব্যাগ অন্যতম প্রধান ভূমিকা পালন করে। আচমকা কিছুর সাথে গাড়ির ধাক্কা লাগলে যাত্রীদের মস্তক এবং শরীরের উপরের অংশকে বাঁচাতে এয়ারব্যাগের গুরুত্ব অপরিসীম। ডুয়াল ফ্রন্ট এয়ারব্যাগ যুক্ত গাড়ির তুলনায় ছয়টি এয়ারব্যাগ বিশিষ্ট মডেল কেনাই শ্রেয়। এক্ষেত্রে সাইড এবং কার্টেন এয়ার ব্যাগ রয়েছে। বর্তমানে হন্ডাই একমাত্র সংস্থা যারা তাদের প্রতিটি গাড়িতে স্ট্যান্ডার্ড হিসেবে ছয়টি এয়ারব্যাগ অফার করছে।

EBD সহ ABS:

অ্যান্টি ব্রেকিং সিস্টেম এবিএস (ABS) এবং ইলেকট্রনিক ব্রেকফোর্স ডিস্ট্রিবিউশন (EBD) এর যৌথ শক্তিতে বলিয়ান হয়ে যে কোনো গাড়ি দ্রুত ব্রেক প্রয়োগ করে দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেতে পারে। কেউ যদি আপৎকালীন পরিস্থিতিতে হঠাৎ গাড়িতে খুব জোরে ব্রেক কষে তাহলে গাড়ির চাকা লক হয়ে গিয়ে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে। এবিএস এবং ইবিডি-এর প্রভাবে চাকা লক বা স্লিপ কাটার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। এমনকি হঠাৎ ব্রেক প্রয়োগ করলেও গাড়ি যাতে নিয়ন্ত্রণে থাকে তা সুনিশ্চিত করে এই সিস্টেম।

ইলেকট্রনিক স্টেবিলিটি কন্ট্রোল (ESC):

এই বিশেষ কন্ট্রোল সিস্টেমের মাধ্যমে গাড়ির স্টিয়ারিং হুইল অ্যাঙ্গেল অনুযায়ী গাড়ির চাকার আবর্তন সঠিকভাবে হচ্ছে কিনা সেটি নজরে রাখা হয়। এমার্জেন্সির সময় এই প্রযুক্তি ব্রেকের উপর বলবৎ হয় এবং ইঞ্জিনের শক্তিকে সঠিক অবস্থায় রাখতে সাহায্য করে। ভেজা রাস্তায় কিংবা বাঁক নেওয়ার সময় অতিরিক্ত গতির ফলে সচরাচর গাড়ির যে দুর্ঘটনা ঘটে সেটি আটকাতে সাহায্য করে এই বিশেষ বৈশিষ্ট্য।

টায়ার প্রেসার মনিটারিং সিস্টেম (TPMS):

গাড়ির চাকার চারটি চাকাতেই নির্দিষ্ট পরিমাণে বাতাসের চাপ নিয়ন্ত্রণ করা অত্যন্ত জরুরী। এমনকি হঠাৎ করে গাড়ির টায়ারের মধ্যে থাকা বাতাসের চাপ কমে গেলেও চালকের পক্ষে তৎক্ষণাৎ সেটা জানা সম্ভব হয় না। এই সিস্টেমের মাধ্যমে একটি তাৎক্ষণিক সাবধান বার্তা গাড়ির ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টারে ভেসে ওঠে। চারটি চাকার মধ্যে সবকটিতে প্রতিমুহূর্তে কতটা পরিমাণ বাতাস মজুদ রয়েছে তার পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য থাকে চালকের কাছে।

ব্লাইন্ড স্পট ডিটেকশন:

রাস্তায় গাড়ি চালানোর সময় ব্লাইন্ড স্পট হল এমন একটি জায়গা যেটি গাড়ির চালকের পক্ষে দেখা অসম্ভব। এই ব্লাইন্ড স্পট কখনো কখনো মারাত্মক দূর্ঘটনার কারণ হতে পারে যেহেতু এটা পর্যবেক্ষণ করা যায় না। সেন্সরের সহায়তায় ব্লাইন্ড স্পট ডিটেকশন সিস্টেম তৎক্ষণাৎ চালকের কাছে তথ্য পাঠায়। ফলস্বরূপ গাড়ির এবং গাড়ির ভেতরে থাকা যাত্রীদের নিরাপত্তা আরও বেশি সুনিশ্চিত হয়।

Show Full Article
Next Story