Bajaj Platina থেকে TVS Apache, সবচেয়ে কম দামে এই 5 বাইকে পাবেন ABS প্রযুক্তি
এবিএস অর্থাৎ অ্যান্টি লক ব্রেকিং সিস্টেম দু'চাকার অন্যতম প্রধান সুরক্ষা ব্যবস্থা। আপতকালীন পরিস্থিতিতে খুব জোরে ব্রেকের...এবিএস অর্থাৎ অ্যান্টি লক ব্রেকিং সিস্টেম দু'চাকার অন্যতম প্রধান সুরক্ষা ব্যবস্থা। আপতকালীন পরিস্থিতিতে খুব জোরে ব্রেকের প্যাডেলে চাপ দিলে অনেক সময় চাকা পিছলে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। সেই ক্ষতি থেকে বাঁচতেই প্রয়োজন পড়ে এবিএস প্রযুক্তির। বর্তমানে ভারতের বাজারে ১২৫ সিসি এবং তার উপরের বাইকগুলিতে ফিচার হিসেবে থাকে এই সুরক্ষা ব্যবস্থা। যদিও ইদানিং বাজেট মডেলে সিঙ্গেল চ্যানেল এবিএস দেখা পাচ্ছে। অর্থাৎ কেবলমাত্র সামনের চাকাতেই উপলব্ধ থাকে প্রযুক্তিটি। এই প্রতিবেদনে এবিএস যুক্ত সবচেয়ে সস্তা পাঁচ বাইকের খোঁজ রইল।
Bajaj Platina 110 ABS
(দাম: ৭৪,০৬১ টাকা)
দেশের সবচেয়ে সস্তা এবিএস যুক্ত বাইক হল বাজাজ প্লাটিনা ১১০। সেগমেন্টে প্রথম ফিচার হিসেবে সামনের চাকায় ডিস্ক ব্রেকের সঙ্গে সিঙ্গেল চ্যানেল এবিএস আছে। বাজাজের এই কমিউটার বাইকটিকে এগিয়ে চলার শক্তি প্রদান করে ১১৫.৪৫ সিসির সিঙ্গেল সিলিন্ডার এয়ার কুল্ড ইঞ্জিন যা থেকে ৮.৪৮ বিএইচপি শক্তি এবং ৯ এনএম টর্ক উৎপন্ন হয়। সাথে রয়েছে ফাইভ স্পিড গিয়ার বক্স।
Honda Unicorn
(দাম: ১.০৫ লাখ টাকা)
প্রিমিয়াম কমিউটার বাইকের মধ্যে অন্যতম সেরা হোন্ডা ইউনিকর্ন। এই বাইকটির ক্ষেত্রেও সামনের চাকায় সিঙ্গেল চ্যানেল এবিএস সহ ডিস্ক ব্রেক এবং পিছনের দিকে ড্রাম ব্রেক উপলব্ধ। হোন্ডা ইউনিকর্নের ১৬২.৭ সিসি সিঙ্গেল সিলিন্ডার এয়ার কুল্ড ইঞ্জিন থেকে উৎপাদিত পাওয়ার এবং টর্কের পরিমাণ যথাক্রমে ১২.৭ বিএইচপি এবং ১৪ এমএম। গিয়ারের সংখ্যা পাঁচ।
Yamaha FZ ও FZ-S
(দাম: ১.১৬ লাখ - ১.২২ লাখ টাকা)
ইয়ামাহা এফ জেড এবং এফ জেড এসের ১৫৯ সিসির সিঙ্গেল সিলিন্ডার এয়ার কুল্ড ইঞ্জিন থেকে সর্বোচ্চ ১২.২ বিএইচপি শক্তি এবং সর্বাধিক ১৩.৩ এমএম টর্ক জেনেরেট করতে পারে। সঙ্গে থাকছে ফাইভ স্পিড ম্যানুয়াল ট্রান্সমিশন সিস্টেম। ব্রেকিংয়ের দায়িত্ব সামলাতে উভয় চাকাতেই ডিস্ক ব্রেক সহ স্ট্যান্ডার্ড হিসেবে সিঙ্গেল চ্যানেল এবিএস উপলব্ধ রয়েছে।
Hero Xtreme 160R
(দাম: ১.১৮ লাখ - ১.৩০ লাখ টাকা)
এরপরেই তালিকায় রয়েছে হিরো এক্সট্রিম ১৬০ আর। এই বাইকটির অলিন্দে ১৬৩ সিসির সিঙ্গেল সিলিন্ডার যুক্ত শক্তিশালী ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে। পাঁচ ধাপ যুক্ত গিয়ার বক্স সমৃদ্ধ এই ইঞ্জিনটি সর্বোচ্চ ১৫ বিএইচপি শক্তি এবং সর্বাধিক ১৪ এনএম টর্ক উৎপন্ন করার ক্ষমতা রাখে। সামনের চাকায় ডিস্ক ব্রেকের সঙ্গে এবিএস থাকলেও পিছনের চাকায় ড্রাম এবং ডিস্ক ব্রেক অপশন হিসেবে থাকছে।
TVS Apache RTR 160 2V
(দাম: ১.১৯ লাখ - ১.২৬ লাখ টাকা)
সবশেষে রয়েছে বহুদিনের বাজার কাঁপানো টিভিএস অ্যাপাচি আরটিআর ১৬০ ২ভি। টিভিএসের এই বাইকটি ১৫৯.৭ সিসি সিঙ্গেল সিলিন্ডার এয়ার কুল্ড ইঞ্জিনের উপরেই ভরসা করে রয়েছে অনেক দিন থেকে। এই ইঞ্জিনটি থেকে উৎপন্ন হওয়া পাওয়ার এবং টর্কের পরিমাণ ১৫.৮ বিএইচপি এবং ১৩.৮৫ এমএম। সাথে থাকা ট্রান্সমিশন সিস্টেমে গিয়ারের সংখ্যা পাঁচ। অ্যাপাচি আরটিআর ১৬০ ২ভি এর ব্রেকিং এর দায়িত্ব সামলায় সামনের চাকায় সিঙ্গেল চ্যানেল এবিএস সমৃদ্ধ ডিস্ক ব্রেক এবং পিছনের চাকায় ড্রাম/ডিস্ক ব্রেক অপশন আছে।