কম দামে ABS-এর সুবিধা, শোরুমে পাবেন এমনই 5টি সস্তা বাইক, রইল সব খুঁটিনাটি
পথ দুর্ঘটনায় বিশ্বের মধ্যে ভারত রয়েছে প্রথম সারিতে। বিগত ক’বছরে যা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ভারতের রাস্তায় যে...পথ দুর্ঘটনায় বিশ্বের মধ্যে ভারত রয়েছে প্রথম সারিতে। বিগত ক’বছরে যা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ভারতের রাস্তায় যে দুর্ঘটনা ঘটে, তা সমগ্র বিশ্বের হিসেবে ১০ শতাংশ। তাহলে বোঝাই যাচ্ছে, এদেশের রাস্তা মানুষের জন্যে কতটা বিপজ্জনক! হু বা WHO-এর পরিসংখ্যান বলছে, প্রতি বছর পথ দুর্ঘটনায় এদেশে প্রায় ১.৫ লক্ষ মানুষ প্রাণ হারান।
ভারতীয় নাগরিকদের চলাচলের অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে দু’চাকার গাড়ি। চালক ও পথচারীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ২০১৯ সালের ১ এপ্রিল থেকে ১২৫ বা তার বেশি সিসির মডেলে এবিএস বা অ্যান্টি লক ব্রেকিং সিস্টেম বাধ্যতামূলক করা হয়। এতদিন ABS যুক্ত বাইক ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকলেও, এখন তা সাধ্যের মধ্যে চলে এসেছে। ১১০ সিসির মোটরসাইকেলেও এখন মিলছে এবিএস। চলুন দেখে নিই এই সেফটি ফিচার্স সহ উপলব্ধ সবচেয়ে সস্তা বাইকগুলির নাম।
Bajaj Platina 110 ABS (দাম ৭৮,৮২১ টাকা)
তালিকায় সবার প্রথমে রয়েছে Bajaj Platina 110। সস্তার এই মোটরসাইকেলটি ১১০ সিসি হওয়া সত্ত্বেও এতে রয়েছে এবিএস টেকনোলজি। সামনে ২৪০ মিমি ডিস্ক ব্রেকের সাথে সিঙ্গেল চ্যানেল এবিএস সংযুক্ত, পেছনে রয়েছে ১১০ মিমি ড্রাম ব্রেক। এর ১১৫.৪৫ সিসি, এয়ার কুল্ড, DTS-i, সিঙ্গেল সিলিন্ডার ইঞ্জিন থেকে ৮.৬ পিএস শক্তি এবং ৯.৮১ এনএম টর্ক উৎপন্ন হয়।
Hero Xtreme 125R (দাম ৯৯,৫০০ টাকা)
তালিকায় দ্বিতীয় হিরো মোটোকর্পের সদ্য লঞ্চ হওয়া Xtreme 125R। লঞ্চের পরই বাজারে সাড়া ফেলেছে বাইকটি। তার জন্য সঙ্গত কারণও রয়েছে। বাজারে এবিএস যুক্ত ১২৫ সিসির সবচেয়ে সস্তা মডেল এটি। সিঙ্গেল চ্যানেল এবিএস সহ সামনে ২৭৬ মিমি ডিস্ক ও পেছনে ১৩০ মিমি ড্রাম ব্রেক উপস্থিত এতে। Xtreme 125R-এ দেওয়া হয়েছে একটি ১২৪.৭ সিসি এয়ার কুল্ড, সিঙ্গেল সিলিন্ডার, ফুয়েল ইনজেক্টটেড ইঞ্জিন। যা থেকে সর্বোচ্চ ১১.৫ পিএস শক্তি এবং ১০.৫ এনএম টক উৎপন্ন হয়।
Honda Unicorn (দাম ১,০৯,৮০০ টাকা)
প্রিমিয়াম কমিউটার বাইক হিসেবে Honda Unicorn বাজারে সুখ্যাতি অর্জন করেছে। জাপানি সংস্থার এই মডেলটিতে রয়েছে সিঙ্গেল চ্যানেল এবিএস সহ ২৪০ মিমি ফ্রন্ট ডিস্ক এবং ১৩০ মিমি রিয়ার ড্রাম ব্রেক। এতে ১৬২.৭ সিসির পাওয়ারট্রেন বর্তমান। এটি থেকে সর্বাধিক ১৩.৪৬ পিএস শক্তি এবং ১৪.৫৮ এনএম টর্ক উৎপাদিত হয়।
Bajaj Pulsar 150 (দাম ১,১০,৪১৯ থেকে ১,১৫,৪১৮ টাকা)
কমিউটার সেগমেন্টে সিঙ্গেল চ্যানেল এবিএস যুক্ত মোটরসাইকেল হিসেবে অন্যতম প্রসিদ্ধ মডেল হচ্ছে Bajaj Pulsar 150। এর টুইন ডিস্ক ভ্যারিয়েন্টে রয়েছে ২৮০ মিমি ফ্রন্ট ডিস্ক এবং ২৩০ মিমি রিয়ার ডিস্ক ব্রেক। আবার সিঙ্গেল ডিস্ক ভ্যারিয়েন্টে উপস্থিত একটি ২৬০ মিমি ফ্রন্ট ডিস্ক এবং ১৩০ মিমি রিয়ার ডিস্ক ব্রেক। ১৫৯.৫ সিসি সিঙ্গেল সিলিন্ডার, এয়ার কুল্ড, ফুয়েল ইঞ্জেক্টেড, DTS-i ইঞ্জিন থেকে সর্বোচ্চ ১৪ পিএস শক্তি এবং ১৩.২৫ এনএম পাওয়া যায়।
Bajaj Pulsar N150 (দাম ১,১৭,৬৭৭ টাকা)
পারফরম্যান্স ভিত্তিক নেকেড স্পোর্টস বাইক হিসেবে বাজারে নিজের জায়গা পাকাপোক্ত করেছে Bajaj Pulsar N150। স্টাইলের দিক থেকে এটি তরুণ প্রজন্মের পছন্দের একটি মডেল। সিঙ্গেল চ্যানেল এবিএস সমেত সামনে ২৬০ মিমি ডিস্ক ও পেছনে ১৩০ মিমি ড্রাম ব্রেক উপস্থিত এতে। চাকায় ঘূর্ণনের শক্তি জোগাতে রয়েছে একটি ১৪৯.৬৮ সিসি এয়ার কুল্ড, সিঙ্গেল সিলিন্ডার ইঞ্জিন। যা থেকে সর্বোচ্চ ১৪.৫ পিএস শক্তি এবং ১৩.৫ এনএম টক উৎপাদিত হয়।