Top 5 E-Cycles: প্যাডেল না করেই 50 কিমি যাবে, দেশের সবচেয়ে সস্তা ইলেকট্রিক সাইকেল এগুলি
যত দিন যাচ্ছে দূষণের মাত্রা বৃদ্ধির সাথে সাথে বিশ্বের উষ্ণতাও বেড়েই চলেছে। দূষণের হাত থেকে পরিবেশকে বাঁচাতে না পারলে...যত দিন যাচ্ছে দূষণের মাত্রা বৃদ্ধির সাথে সাথে বিশ্বের উষ্ণতাও বেড়েই চলেছে। দূষণের হাত থেকে পরিবেশকে বাঁচাতে না পারলে রক্ষে নেই। তাই পরিবেশবিদদের কথামতো পরিবেশের প্রতি সচেতন বহু মানুষ বর্তমানে পরিবেশবান্ধব যানবাহন বেছে নিচ্ছেন। কাছেপিঠে চলাচলের জন্য আবার সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ব্যাটারি চালিত দ্বিচক্রযান। অনেকেই আবার নিজেকে ফিট রাখতে ব্যাটারি যুক্ত বাইসাইকেল কিনছেন। কারণ এগুলি যেমন প্যাডেল ঠেলে চলা যায়, পাশাপাশি শরীরে ক্লান্তি এলে ব্যাটারির উপর নির্ভর করে দীর্ঘ পথ যাত্রা করা যায়। এমন অনেকেই রয়েছেন, যারা এই জাতীয় বাহন কেনার জন্য পরিকল্পনা করছেন। তাঁদের জন্য আজকের এই প্রতিবেদনে দেশের সর্বাধিক সাশ্রয়ী পাঁচটি ইলেকট্রিক বাইসাইকেলের হদিশ রইল।
Hero Lectro Electric C3
এটি হল হিরোর এন্ট্রি লেভেলের বৈদ্যুতিক সাইকেল। সবচেয়ে সস্তার Hero Lectro Electric C3-তে বেসিক ডিজাইন দেওয়া হয়েছে। এতে রয়েছে রোড বায়াস্ড টায়ার, একটি ডিস্ক আপ ফ্রন্ট, একটি আরামদায়ক সিট এবং সিঙ্গেল ড্রাইভট্রেন। শক্তি জোগাতে সাইকেলটিতে দেওয়া হয়েছে একটি ২৫০ ওয়াট রিয়ার হাব মোটর এবং একটি ৫.৮ অ্যাম্পিয়ার আওয়ার লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি। এটি প্যাডেল সমেত ৩০ কিমি এবং সম্পূর্ণ থ্রটেলের উপর নির্ভর করে ২৫ কিমি পথ চলতে পারে। যদি আপনার গন্তব্যস্থল ৩০ কিলোমিটারের মধ্যে হয়, তবে C3 হতে পারে সেরা পছন্দ। এর দাম ২৮,৯৯৯ টাকা।
BattRE Electric Mobility Newtron
তালিকার পরবর্তী মডেল হিসেবে রয়েছে BattRE Electric Mobility Newtron। ২৯,৯০০ মূল্যের এই বৈদ্যুতিক বাইসাইকেলটি Hero C3-এর চাইতে মাত্র ৯০০ টাকা বেশি। কিন্তু এই অতিরিক্ত ৯০০ টাকার পরিবর্তে মিলবে আরও বেশি সুবিধা। এটি একটি ডিটাচেবল ব্যাটারি অফার করে। অর্থাৎ ব্যাটারি খুলে যে কোনো জায়গায় চার্জে বসানো যায়। চার্জ দেওয়ার জন্য একটি ৫ অ্যাম্পিয়ার সকেট উপলব্ধ এতে। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল এর দুই চাকাতেই রয়েছে ডিস্ক ব্রেক, ডুয়েল পারপাস টায়ার এবং একটি ফ্রন্ট সাসপেনশন। যা ভারতের রাস্তায় চলাচলের জন্য আদর্শ করে তুলেছে Newtron-কে।
BattRE Electric Mobility Kross
BattRE Electric Mobility Kross হল তালিকার প্রথম ই-বাইক যা ২১-স্পিড ড্রাইভট্রেন সহ এসেছে। ফলে মেঠো পথ হোক বা শহুরে রাস্তা, যেকোনো সড়কে সাবলীল এটি। বাইকটি মাউন্টেন গোত্রীয় হওয়ার কারণে এর ফ্রেম বেশ শক্তপোক্ত। এছাড়া ডুয়েল পারপাস টায়ার, ফ্রন্ট সাসপেনশন এবং ডুয়েল ডিস্ক ব্রেক তো রয়েছেই। এতে উপস্থিত ৫-লেভেল পেডাল অ্যাসিস্ট নিত্যদিন চলাফেরায় যথেষ্ট নমনীয়তা দেয়। এর মূল্য ৩৫,৭০০ টাকা।
Lectro Electric C8
বাজেট বেশি থাকলে Lectro Electric C8 হয়ে উঠতে পারে সেরা পছন্দের ই-সাইকেল। প্রিমিয়াম হওয়ার কারণে এতে রয়েছে অতিরিক্ত কিছু বৈশিষ্ট্য। যেমন সামনে সাসপেনশন, দু’চাকায় ডিস্ক ব্রেক, একটি ৭-স্পিড ড্রাইভট্রেন, স্লিমার, হালকা টায়ার এবং একটি ফ্রন্ট এলইডি লাইট। এর ইলেকট্রিক সেটআপ C3 ও C5-এর মতোই। বিয়ার হাব মোটর এবং লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি সম্মিলিতভাবে পেডাল অ্যাসিস্ট সহ ৩০ কিমি এবং থ্রটেলে ২৫ কিমি রেঞ্জ অফার করে। ব্যাটারিটি সম্পূর্ণ চার্জ হতে চার ঘন্টারও কম সময় লাগে। এর দর ৩৬,৯৯৯ টাকা।
Essel Energy GET 1
যদি আপনি প্যাডেলে চলার সাথেই স্কুটারের মজাও পেতে চান, তবে বাজেট বাড়িয়ে নিশ্চিন্তে বাড়ি নিয়ে আসতে পারেন Essel Energy GET 1। আরামের পাশাপাশি এতে পাওয়া যায় অতিরিক্ত স্টোরেজ স্পেস। আবার পেছনে একজন যাত্রী বসার জায়গাও রয়েছে। এর ফিচারের তালিকায় উপস্থিত একটি প্রোজেক্টর হেডলাইট এবং সুরক্ষার জন্য একটি টেল লাইট। চোখবুজে GET 1-কে একটি প্রথাগত ইলেকট্রিক স্কুটারের মতো ব্যবহার করা যায়। আবার ইচ্ছে হলে প্যাডেল ঠেলেও চলা যায়। ১১ ও ১৩ অ্যাম্পিয়ার আওয়ার ব্যাটারির বিকল্পে উপলব্ধ ই-বাইকটি ফুল চার্জে ৫০ কিমি রেঞ্জ অফার করে। এর মূল্য ৩৭,৫০০ টাকা থেকে ৩৯,৫০০ টাকা পর্যন্ত।