মনে হবে আরামকেদারায় বসে আছেন, ব্যাপক কমফোর্ট এই 5 বাইকে, দাম হাতের নাগালে
এদেশের কমিউটার বাইক গুলির জগতে বিভিন্ন নির্মাতার তৈরি মডেল উপলব্ধ রয়েছে। দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহারের উপযোগী এই বাইকগুলির...এদেশের কমিউটার বাইক গুলির জগতে বিভিন্ন নির্মাতার তৈরি মডেল উপলব্ধ রয়েছে। দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহারের উপযোগী এই বাইকগুলির রক্ষণাবেক্ষণ খরচ যথেষ্ট কম এবং মাইলেজ তুলনামূলক বেশি থাকাতেই ভারতবাসীর কাছ থেকে পর্যাপ্ত ভালবাসা পেয়েছে এরা। এছাড়াও এই সেগমেন্টের মডেলগুলি অনেক বেশি ঘাত-প্রতিঘাত সহ্য করার ক্ষমতা রাখে। দীর্ঘ রাস্তা পাড়ি দেওয়ার জন্য আরামদায়ক চওড়া সিট থাকে এতে। মোটরসাইকেলে তিনজন চড়া বেআইনি হলেও সেই কাজটি বেশ সহজ ভাবেই সম্পন্ন করা যায় এন্ট্রি লেভেলের এই কমিউটার বাইক গুলি দিয়ে। ভারতে বিক্রি হওয়া এমনই সেরা ৫ টি লম্বা সিট ওয়ালা কমিউটার বাইক এর তালিকা প্রকাশ করলাম আমরা। বাজেট ৮০ হাজারের আশেপাশে।
Bajaj Platina 100
তালিকার শুরুতেই রয়েছে বাজাজ প্লাটিনা ১০০। ব্যস্ততম শহরের মধ্যে অতি দ্রুত পিৎজা ডেলিভারি দেওয়ার জন্য এই মডেলটির উপরেই চোখ বন্ধ করে ভরসা রেখেছে ডমিনোজ। বিগত কয়েক বছর ধরেই এদেশের রাস্তায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বাজাজের এই কমিউটার বাইকটি। লম্বা এবং আরামদায়ক সিট এই দুইয়ের যুগলবন্দিতে নির্মিত প্লাটিনাতে চলার শক্তি যোগায় ১০২ সিসির বিশ্বাসযোগ্য ইঞ্জিন যা ৭.৭৯ বিএইচপি শক্তি এবং ৮.৩৪ এনএম টর্ক উৎপাদন করতে পারে। মোট তিনটি ভ্যারিয়েন্টে কিনতে পাওয়া যায় এটি, যার দামের রেঞ্জ ৫২,৯১৫ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৬৬,৮০৩ টাকা (এক্স শোরুম) পর্যন্ত গিয়েছে। এছাড়াও খানিকটা অধিক পারফরম্যান্স পেতে চাইলে অবশ্যই সিঙ্গেল চ্যানেল এবিএস যুক্ত ১১০ সিসির বাজাজ প্লাটিনা কিনতে পারেন। সে ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৯০,০৯০ টাকা পর্যন্ত খরচ হবে আপনার।
Honda CD 110 Dream Deluxe
আমাদের দেশের অন্যতম জনপ্রিয় কমিউটার সেগমেন্টের বাইক হল হোন্ডা সিডি ১১০ ড্রিম ডিলাক্স। একে চালিকাশক্তি যোগায় ১০৯.১ সিসির সিঙ্গেল সিলিন্ডার এয়ার কুল্ড ইঞ্জিন। এই ইঞ্জিন থেকে উৎপাদিত পাওয়ার এবং টর্ক আউটপুট যথাক্রমে ৮.৬৭ বিএইচপি এবং ৯.৩০ এনএম। কেবলমাত্র একটি ভ্যারিয়েন্টে উপলব্ধ এই বাইকটির এক্স শোরুম মূল্য শুরু হচ্ছে ৭০,৮৬৩ টাকা থেকে। সিডি ১১০ ড্রিম ডিলাক্সে ৭৯০ মিমি উঁচু আরামদায়ক সিট দেওয়া হয়েছে।
Bajaj CT 125X
শক্তপোক্ত বিল্ড কোয়ালিটির কমিউটার বাইকের কথা বলতে গেলে Bajaj CT 125X অন্যতম প্রধান এক প্রতিদ্বন্দ্বী। দুজন মানুষ বসার মত উপযুক্ত চওড়া সিট এবং উন্নত ইঞ্জিন পারফরমেন্স দেখতে পাওয়া যায় এতে। বাইকটির অলিন্দে ১২৪.৪ সিসি সিঙ্গেল সিলিন্ডার এয়ার কুল্ড প্রযুক্তির ইঞ্জিন দেওয়া হয়েছে। ইঞ্জিনটি ৮,০০০ আরপিএম গতিতে সর্বোচ্চ ১০.৭ বিএইচপি শক্তি এবং ৫,৫০০ আরপিএম গতিতে সর্বাধিক ১১ এনএম টর্ক উৎপন্ন করতে পারে। ড্রাম এবং ডিস্ক এই দুই ধরনের মডেলে উপলব্ধ বাইকটির এক্স শোরুম মূল্য যথাক্রমে ৭১,৭৬৩ টাকা এবং ৭৪,৯৬৩ টাকা।
TVS Radeon
হোন্ডা ড্রিম-কে সমানে টক্কর দিতে টিভিএস এর তরফে রেডন-কে উপস্থিত করা হয়েছে। দুজন ব্যক্তির আরামদায়ক ভাবে বসার জন্য সুদীর্ঘ একটি সিট উপলব্ধ রয়েছে এতে। মোট তিনটি ভ্যারিয়েন্টে কিনতে পাওয়া যায় টিভিএস রেডন- ড্রাম, ডিজিটাল ড্রাম এবং ডিজিটাল ডিস্ক। শুরুর মডেলটির এক্স শোরুম মূল্য ৭৩,৪৮৯ টাকা হলেও টপ মডেলটির দাম ৮০,৬০৭ টাকা। সময়ের সঙ্গে নানা রকম আপডেট এর ফলে টিভিএস রেডন বর্তমানে কমিউটার বাইকের জগতে যথেষ্ট সুনাম অর্জন করতে পেরেছে।
Hero Super Splendor
কমিউটার সেগমেন্ট নিয়ে আলোচনা গেলে হিরো সুপার স্প্লেন্ডার এর কথা এড়িয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এর ৭৯৮ মিমি উঁচু আরামদায়ক সিট কিন্তু হোন্ডা সিডি ১১০ এর তুলনায় খানিক বেশি উচু। তবে নিজের সেগমেন্টে বরাবরই ভালো পারফরমেন্স প্রদান করে এসেছে হিরোর এই বাইকটি। হিরো সুপার স্প্লেন্ডার এর মধ্যে প্রাণ ভোমরা হিসেবে ১২৪.৭ সিসি সিঙ্গেল সিলিন্ডার ইঞ্জিন যুক্ত করা রয়েছে যা ১০.৭২ বিএইচপি শক্তি এবং ১০.৬ এনএম টর্ক উৎপন্ন করতে পারে। মোট চার ধরনের ভ্যারিয়েন্ট রয়েছে এতে। বেশ মডেলটির এক্স শোরুম মূল্য ৮০,৫১৮ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৮৪,৭৪৮ টাকা পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে।