Bike Tips: ঠান্ডায় বাইক স্টার্ট নিচ্ছে না? এই 5 টিপস মেনে চলুন, সারা শীতকাল সমস্যামুক্ত থাকবেন

বর্তমানে দেশের উত্তরাংশের বহু জায়গাতেই তাপমাত্রা দশের নিচে। এমনকি কাশ্মীর, উত্তরাখন্ড ,দার্জিলিংয়ের মতো জায়গায় সম্প্রতি বরফপাত হতে দেখা গিয়েছে। এমন ঠান্ডা পরিবেশ মানুষের স্বাভাবিক জীবন…

বর্তমানে দেশের উত্তরাংশের বহু জায়গাতেই তাপমাত্রা দশের নিচে। এমনকি কাশ্মীর, উত্তরাখন্ড ,দার্জিলিংয়ের মতো জায়গায় সম্প্রতি বরফপাত হতে দেখা গিয়েছে। এমন ঠান্ডা পরিবেশ মানুষের স্বাভাবিক জীবন যাপনের ছন্দতে যেমন ব্যাঘাত সৃষ্টি করে তেমনি এই আবহাওয়া যানবাহনের জন্যেও যথেষ্ট কষ্টকর। শীতকালে যেমন আমরা ত্বকের অতিরিক্ত যত্ন নিই, তেমনই পরিচর্যা দরকার হয় শখের মোটরসাইকেলের। কিছু টিপস মেনে চললে মাত্রাতিরিক্ত ঠান্ডাতেও আপনার দু’চাকার বাহন ছুটবে হাসিমুখে। আজকের প্রতিবেদনে মোটরবাইকের শীতকালীন পরিচর্যা কয়েকটি মূল্যবান টিপস রইল।

ব্যাটারির স্বাস্থ্য পরীক্ষা

ঠান্ডার সময় বাইক স্টার্ট দিতে সমস্যায় পড়েন অনেকে। আসলে কম তাপমাত্রায় দীর্ঘক্ষণ বন্ধ থাকা ঠান্ডা ইঞ্জিনকে সেল্ফ স্টার্টের মাধ্যমে চালু করতে অনেকটা পরিমাণ বিদ্যুৎশক্তির প্রয়োজন পড়ে। এছাড়াও শীতের সময় রাস্তাঘাটে কুয়াশাচ্ছন্ন থাকার কারণে ফগ লাইট সহ বিভিন্ন বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম বাইকে ব্যবহৃত হয়। এই সব কিছুর শক্তি উৎস একমাত্র ব্যাটারি। সেই জন্য নিয়মিত ব্যাটারির ভোল্টেজ পরখ করা এবং প্রয়োজনে ব্যাটারি ফুল চার্জ করিয়ে নিন। তবে অতি দ্রুত চার্জ আউট হয়ে গেলে সেই ব্যাটারি পরিবর্তন করিয়ে নেওয়াই শ্রেয়।

টায়ারের স্বাস্থ্য পরীক্ষা

মোটরসাইকেলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ টায়ার, যা বাস্তবে সবচেয়ে বেশি উপেক্ষিত হয়। যে কোনো রাস্তায় ঘর্ষণ বল বজায় রেখে ঠিকঠাক ভাবে চলতে গেলে টায়ারের স্বাস্থ্য সঠিক থাকা প্রয়োজন। বিশেষজ্ঞদের মতে গরমের তুলনায় এই ঠান্ডার দিনগুলি টায়ারের জন্য বেশি বিপদজনক। এই সময় প্রতিনিয়ত টায়ার প্রেসার মাপা এবং টায়ারে কোনো ক্ষতি হয়েছে কিনা তা দেখে নেওয়া উচিত। মনে রাখবেন প্রতি ১০ ডিগ্রি তাপমাত্রা হ্রাসের ফলে টায়ারের ভিতরে থাকা বাতাসের চাপ ২ পিএসআই পর্যন্ত কমে আসে। বাইক চালানোর সময় টায়ারে সঠিক এয়ার প্রেসার থাকা অত্যাবশক। উপরন্তু যে সমস্ত স্থানে বরপাতের মতো ঘটনা ঘটছে সেখানে রাস্তায় মোটরসাইকেল চালানোর জন্য বিশেষ ধরনের টায়ার লাগানোর দরকার হয়।

উন্নত মানের কুল্যান্ট ব্যবহার

আপনার বাইকের ইঞ্জিনের সাথে যদি লিকুইড কুলিং সিস্টেম যুক্ত থাকে তবে অবশ্যই শীতের সময় উচ্চমানের কুল্যান্ট ব্যবহার করবেন। কোনওমতেই এর পরিবর্তে সাধারণ জলের ব্যবহার বিপদজনক। অ্যান্টি ফ্রিজ কুল্যান্ট এই সময়ের জন্য আদর্শ।

চেন এবং অন্যান্য অংশে লুব্রিকেশন

অবশ্যই বাইকের চেইন এবং অন্যান্য চলনশীল অংশগুলিকে লুব্রিকেশন করে রাখবেন। বরফের রাস্তায় বাইক চালানোর ফলে সেখানকার লবণাক্ত পদার্থগুলি বাইকের চেনে জমতে থাকে। এই কারণে চেনের গায়ে মরচে পরার ঘটনা ঘটে। এমনকি রাস্তার ধূলিকণা, তৈলাক্ত পদার্থ ব্রেক, প্যাডেলে জমতে থাকে প্রতিমুহূর্তে। এগুলি সবই প্রতিনিয়ত পরিষ্কার করে পুনরায় প্রয়োজনীয় তৈলাক্ত পদার্থ দ্বারা লুব্রিকেন্ট করা একান্ত কর্তব্য।

ইঞ্জিন অয়েল ও ফিল্টার পরিবর্তন

বাইকের মধ্যে চালিকাশক্তি সরবরাহ করার জন্য ইঞ্জিনের অবদান কতটা তা নতুন করে বলার প্রয়োজন নেই। একে তাই প্রাণভোমরাও বলা চলে। শীতের দিনে ইঞ্জিন চালু করার সময় এতে অনেকটাই বেশি চাপ অনুভূত হয়। সেজন্য উন্নত মানের এবং সঠিক গ্রেডের ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করা বুদ্ধিমানের কাজ। শীতের শুরুতেই ইঞ্জিন অয়েল এবং অয়েল ফিল্টার পরিবর্তনের কাজগুলি সেরে ফেলুন। আর সারা শীতে চুটিয়ে বাইক রাইডের মজা নিতে থাকুন।