Himalayan 450 থেকে নতুন Hero Karizma, এই 5 বাইক লঞ্চের অপেক্ষায় গোটা দেশ
ভারতের টু-হুইলারের বাজারে কোম্পানিগুলির মধ্যে রেষারেষি চোখে পড়ার মতই। তাই এদেশের বাজারে নতুন মডেল লঞ্চ করার জন্য...ভারতের টু-হুইলারের বাজারে কোম্পানিগুলির মধ্যে রেষারেষি চোখে পড়ার মতই। তাই এদেশের বাজারে নতুন মডেল লঞ্চ করার জন্য সংস্থাগুলি মুখিয়ে থাকে। অন্যান্য বছরের মত তাই ২০২৩-এও বিভিন্ন সেগমেন্টের মোটরসাইকেল হাজির করা হচ্ছে। যার মধ্যে রয়েছে – স্ক্র্যাম্বলার, অ্যাডভেঞ্চার, ফুল-ফেয়ার্ড স্পোর্ট বাইক ইত্যাদি। আসুন এই বছর আসন্ন সেরা ৫টি মোটরসাইকেল সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিই।
Royal Enfield Himalayan 450
রয়্যাল এনফিল্ড ২০২৩-এ শেষের দিকে ভারতে তাদের ৪৫০ সিসির Himalayan 450 লঞ্চ করতে চলেছে। সংস্থার লাইনআপে এটি বিদ্যমান Himalayan 411-এর উপরে অবস্থান করবে। বিগত কয়েক মাসে যার একাধিকবার টেস্টিং চালাতে দেখা গিয়েছে। আবার ৪৫০ সিসি বাইকের তালিকায় এটিই হতে চলেছে রয়্যাল এনফিল্ডের প্রথম মডেল। এর ৪৫০ সিসি লিকুইড কুল্ড ইঞ্জিন থেকে প্রায় ৪০ বিএইচপি শক্তি পাওয়া যাবে।
Harley Davidson X440
আগামী জুলাই হিরো ও হার্লের যৌথভাবে নির্মিত প্রথম মোটরসাইকেল Harley Davidson X440 আসতে চলেছে। রয়্যাল এনফিল্ডের বাইকের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চলা আসন্ন মডেলটি একটি সিঙ্গেল সিলিন্ডার রেট্রো স্টাইলের মোটরসাইকেল। যাতে থাকবে একটি ৪৪০ সিসি, এয়ার/অয়েল কুল্ড, সিঙ্গেল সিলিন্ডার ইঞ্জিন। এর আউটপুট এখনও অজানা। বাইকটিতে থাকছে ইউএসডি ফ্রন্ট ফর্ক, টুইন শক রিয়ার অ্যাবজর্বার এবং ডুয়েল চ্যানেল এবিএস সহ দু’চাকায় ডিস্ক ব্রেক।
Bajaj-Triumph Scrambler
৫ জুলাই লঞ্চ ভারতে বাজাজ ও ট্রায়াম্ফ যৌথ উদ্যোগে মাঝারি ক্ষমতার একজোড়া নতুন মোটরসাইকেল আনছে। যেগুলি হল – Speed 400 ও Scrambler 400X। বিশ্ববাজারে উন্মোচিত প্রথম মডেলটি হল একটি রোডস্টার যেখানে দ্বিতীয়টি স্ক্র্যাম্বলার গোত্রের। নতুন মোটরসাইকেল দুটিতে শক্তি জোগতে থাকছে একটি ৩৯৮.১৫ সিসি, সিঙ্গেল সিলিন্ডার, লিকুইড কুল্ড ইঞ্জিন। এটি থেকে ৮,০০০ আরপিএম গতিতে সর্বোচ্চ ৩৯.৫ বিএইচপি শক্তি এবং ৬,৫০০ আরপিএম গতিতে ৩৭.৫ এনএম টর্ক উৎপন্ন হবে।
Hero Karizma XMR 210
Hero Karizma XMR 210 শীঘ্রই এদেশের বাজারে আসতে চলেছে। ফুল-ফেয়ারিং বাইকটি একটি নতুন ২১০ সিসি, লিকুইড কুল্ড ইঞ্জিন সমেত হাজির হবে। যা থেকে সর্বোচ্চ ২৫ পিএস শক্তি এবং ২০ এনএম টর্ক পাওয়া যাবে। নতুন প্রজন্মের মডেলটিতে থাকছে টার্ন বাই টার্ন নেভিগেশন, উঁচু ফুয়েল ট্যাঙ্ক, এলইডি ইলুমিনেশন (হেডলাইট, ডিআরএল, ইন্ডিকেটর), এবিএস মোড, হাই-সেট ক্লিক-অন হ্যান্ডেলবার, স্প্লিট সিট, কনভেনশনাল টেলিস্কোপিক ফ্রন্ট ফর্ক, মোনোশক রিয়ার সাসপেনশন, দু’চাকায় ডিস্ক ব্রেক।
KTM Duke 390
এবছর KTM Duke 390 বাইকটি গুরুত্বপূর্ণ আপডেট সহ আসতে চলেছে। নেকেড স্ট্রিট ফাইটার মডেলে থাকছে একটি কাস্ট অ্যালুমিনিয়াম সাব ফ্রেম, নতুন ট্যাঙ্ক শ্রাউড। আবার পাওয়ারট্রেন এবং সাসপেনশন সেটআপেও থাকছে চমক। ভারতের রাস্তায় এটির টেস্টিং চালানোর সময় একাধিকবার স্পট করা গিয়েছে। অনুমান করা হচ্ছে, এ বছর পুজোর সময় বাইকটি বাজারে হাজির হতে পারে।