Car Mileage Tips: ম্যাজিকের মতো বাড়বে মাইলেজ, শুধু এই 5 টিপস মেনে চললেই ফল পাবেন হাতেনাতে

গাড়ি কেনার আগে সবার প্রথমে একটা বিষয় মাথায় আসে আর সেটা হল মাইলেজ। তবে যে সমস্ত গাড়ির থেকে তুলনামূলক বেশি মাইলেজ মেলে, সেগুলির পারফরম্যান্স কোথাও…

গাড়ি কেনার আগে সবার প্রথমে একটা বিষয় মাথায় আসে আর সেটা হল মাইলেজ। তবে যে সমস্ত গাড়ির থেকে তুলনামূলক বেশি মাইলেজ মেলে, সেগুলির পারফরম্যান্স কোথাও যেন খানিকটা নিম্নমুখী। এই সমস্যার সমাধানে আজকালকার দিনে গাড়ি নির্মাতা সংস্থাগুলি মাইলেজ এবং পারফরমেন্স উভয় বিষয়কেই বাড়তি গুরুত্ব সহকারে দেখছে। তবে বেশ কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করলেই অধিক মাইলেজ পাওয়া সম্ভব। এজন্য বেশি খাটাখাটনির প্রয়োজন নেই। আজকের প্রতিবেদনে রইল তেমনই কিছু টিপস।

গাড়ির থেকে অতিরিক্ত মাইলেজ পাওয়ার কৌশল-

বাড়তি ওজন কমানো

পদার্থবিদ্যার সাধারণ নিয়ম অনুযায়ী একটি গাড়ির ওজন এবং মাইলেজ ব্যস্তানুপাতিক সম্পর্কে যুক্ত। অর্থাৎ গাড়ির ওজন যত বাড়বে তার ইঞ্জিনকেও চাকা ঘোরাতে বাড়তি শক্তির উৎপাদনের প্রয়োজন পড়বে। আর তাতেই অতিরিক্ত জ্বালানি খরচ হবে। এই বিষয়টি মাথায় রেখেই গাড়ির মধ্যে থাকা অপ্রয়োজনীয় বাড়তি ওজনগুলি কমিয়ে ফেলা উচিত। অনেক সময়ই প্রতিদিনের ব্যবহার্য অনেক অপ্রয়োজনীয় সামগ্রী গাড়ির কেবিনের আনাচে-কানাচে কিংবা বুটের অংশে পড়ে থাকে। এই সমস্ত জিনিসগুলি সরিয়ে ফেললে অবশ্যই ইঞ্জিনের জ্বালানি খরচ খানিকটা কমবে।

টায়ার প্রেসার সঠিক রাখা

যে কোনো গাড়ির সঙ্গে রাস্তার সংযোগ সাধন করার কাজেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে তার টায়ার। এই টায়ারে যদি অল্প পরিমাণ বাতাস ভরা থাকে তবে তার ঘূর্ণন সম্পাদন করার জন্য ইঞ্জিনের উপর বাড়তি চাপ প্রয়োগ হয়। ফলে মাইলেজ কমে আসে হু হু করে। অন্যদিকে প্রয়োজনের অতিরিক্ত হাওয়া টায়ারের মধ্যে ভরা থাকলে তা অতি দ্রুত টায়ারের ক্ষতি সাধন করে। অতএব টায়ারের স্বাস্থ্য দীর্ঘদিন সতেজ রাখতে এবং পর্যাপ্ত মাইলেজ পেতে সংস্থা কর্তৃক উল্লিখিত টায়ার প্রেসার বজায় রাখুন গাড়িতে। এই বিষয়টি প্রতিনিয়ত পরীক্ষা করা প্রয়োজন।

অপ্রয়োজনীয় ইঞ্জিন চালু না রাখা

শহরের যানজটপূর্ণ রাস্তায় কয়েক মিটারের মধ্যেই বারংবার ট্রাফিক সিগনালে আটকে পড়তে হয়। এই সমস্ত সিগনালে অনেক সময় দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার প্রয়োজন পড়ে। এসময় অতি অবশ্যই গাড়ির ইঞ্জিন বন্ধ রাখুন। এতে কিছুটা হলেও বাঁচবে জ্বালানি খরচ। তবে গ্রীষ্মপ্রধান এই দেশে প্রবল গরমের সময় গাড়ির বাতানুকূল যন্ত্র সচল রাখতে ইঞ্জিন চালিয়ে রাখার দরকার হয়। আপনি যদি নতুন গাড়ি কেনার কথা ভাবেন তবে সেক্ষেত্রে অটো স্টার্ট-স্টপ ফিচার সমৃদ্ধ গাড়ি পছন্দ করুন। এতে মাইলেজ মিলবে বেশি।

ক্রুজ কন্ট্রোল

একটানা একই গতিবেগে চলতে পারলে ইঞ্জিনের শক্তি খরচ কম হওয়ায় তা আখেরে বাড়তি মাইলেজ পেতে সাহায্য করে। এই বিষয়টিতে নজর দিয়েই বর্তমানের বেশিরভাগ গাড়িতেই স্ট্যান্ডার্ড ফিচার হিসেবে ক্রুজ কন্ট্রোল উপলব্ধ থাকে। এটি এমন এক বৈশিষ্ট্য যা হাইওয়েতে সমবেগ বজায় রেখে জ্বালানি সাশ্রয় করার পথ সুগম করে। তবে পাহাড়ি রাস্তায় কিংবা বর্ষার সময়ের পিছল রাস্তায় এবং শহরের যানজটে এই ক্রুজ কন্ট্রোল ফিচার এড়িয়ে চলাই শ্রেয়।

এছাড়াও পেট্রোল কিংবা ডিজেলের পাশাপাশি বিকল্প জ্বালানি চালিত গাড়িগুলি থেকে বেশি মাইলেজ মেলে। যেমন সিএনজি গাড়ি দীর্ঘ বেশ কয়েক বছর ধরেই একদিকে জ্বালানি সাশ্রয়ের কাজ করে চলেছে অন্যদিকে পরিবেশ দূষণ কমাতেও অবদান অস্বীকার করার নয়। এছাড়াও সাম্প্রতিককালে লঞ্চ হওয়া বিভিন্ন হাইব্রিড প্রযুক্তির গাড়িগুলি পেট্রোলের পাশাপাশি বৈদ্যুতিক শক্তিকেও কাজে লাগায়, তাই এগুলি আদতে বেশ খানিকটা বাড়তি মাইলেজ যোগায়।