একজন দক্ষ ও দায়িত্বশীল বাইক রাইডার হতে চান? এই 6 টিপস আপনাকে লক্ষ্যে পৌঁছে দেবে

মনে পড়ে শোলে সিনেমার বিখ্যাত সেই গানটির কথা? যেখানে অমিতাভ বচ্চন ও ধর্মেন্দ্র জনপ্রিয় একটি গানের সঙ্গে আনন্দ করতে করতে ছুটিয়ে চলেছেন তাদের বাইক। বাস্তবিক…

মনে পড়ে শোলে সিনেমার বিখ্যাত সেই গানটির কথা? যেখানে অমিতাভ বচ্চন ও ধর্মেন্দ্র জনপ্রিয় একটি গানের সঙ্গে আনন্দ করতে করতে ছুটিয়ে চলেছেন তাদের বাইক। বাস্তবিক ক্ষেত্রেও মোটরসাইকেল চালানোর মতো স্বাধীনতা ও আনন্দ অন্য কোনো যানবাহনের ক্ষেত্রেই পাওয়া সম্ভব নয়। অনেকেই ভাবেন এমনই একটি সাধের বাইক বা স্কুটার কিনে পাড়ি দেবেন গতির দুনিয়ায়। আর সাধারণ কিছু নিয়ম-কানুন মাথায় রাখতে পারলেই সহজেই হয়ে ওঠা যায় একজন দক্ষ ও দায়িত্বশীল বাইক রাইডার। আজকের প্রতিবেদনে আমরা এমনই কিছু টিপস এনে আপনাদের জন্য হাজির করলাম।

১. বাইক চালানোর “অআকখ” শেখা

যে কোনো কিছুই শিখতে হলে চাই সঠিক শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর শেখার আগ্রহ। এক্ষেত্রেও এই নীতিটিই প্রযোজ্য। প্রথমেই আপনার বাইক কিংবা স্কুটারটির সম্পর্কে আগে ভালো করে জানুন। অ্যাক্সিলারেটর,ব্রেক, ক্লাচ এগুলি সম্পর্কে সঠিক ধারণা থাকাটা আবশ্যিক। পাশাপাশি রাস্তায় চালানোর ক্ষেত্রেও জানতে হবে বেশ কিছু নিয়ম। যেমন শহরের যানজট পূর্ণ রাস্তায় চালানো আর হাইওয়েতে চালানোর কায়দা বহুলাংশে আলাদা। কোথায় কতটা গতি তোলা প্রয়োজন তা আয়ত্ত করতে কিছুটা সময় লাগবে বইকি।

২. ট্রাফিক নিয়ম মেনে চলা

দুঃখের বিষয় এমন বহু বাইক রাইডার রয়েছেন যারা ট্রাফিক নিয়মের তোয়াক্কা করেন না। এর ফলে তিনি এবং পথ চলতি বাকি মানুষদেরও বিপদ অবশ্যম্ভাবী। তাই প্রথমেই সঠিকভাবে ট্রাফিক সিগন্যালের অর্থ বুঝুন ও ট্রাফিক নিয়মাবলী যথার্থভাবে পালন করুন। এর ফলে যেমন আপনার ধৈর্য শক্তির বৃদ্ধি হবে তেমনিই একজন ভালো রাইডারের এটাই প্রথম গুণ।

৩. ভালো মানের সেফটি গিয়ার

এই ব্যাপারেও যথেষ্ট উদাসীন বহু মানুষ। বাইক কিংবা স্কুটারের মত যানবাহন দুর্ঘটনার কবলে পড়লে শারীরিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। তাই এই সমস্যা এড়ানোর জন্য প্রয়োজন ভালো মানের রাইডিং গিয়ার। আজকালকার দিনে সাধ্যের মধ্যেই প্রচুর নির্মাতার হাত ধরে বিভিন্ন ধরনের হেলমেট, রাইডিং জ্যাকেট, গ্লাভস, রাইডিং প্যান্ট, রাইডিং বুট ইত্যাদি ছেয়ে গেছে চারিদিকে। কিছু না হলেও অন্তত কিছু অতিরিক্ত টাকা দিয়ে অধিক সুরক্ষা প্রদান করে এমন ভাল মানের ফুল-ফেস হেলমেট কেনাটা বাধ্যতামূলক। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ প্রয়োজনে বাইক কিংবা স্কুটি কেনার সময় কিছু টাকা বাঁচিয়ে এই জাতীয় রাইডিং গিয়ারের জন্য ব্যয় করাটাই বুদ্ধিমানের কাজ।

৪. প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ভর্তি হওয়া

বর্তমানে বেশিরভাগ জায়গাতেই বাইক কিংবা চারচাকা চালানোর জন্য বহু প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গজিয়ে উঠেছে। যদি আপনি বাইক কিংবা স্কুটার চালানোর ক্ষেত্রে একদম শিক্ষানবীশ হোন, সেক্ষেত্রে এই জাতীয় প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ভর্তি হওয়াই শ্রেয়। এই সমস্ত সেন্টারে দক্ষ ট্রেনারের সাহায্যে আধুনিক বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে বাইক চালানোর ট্রেনিং ও ট্রাফিক নিয়মাবলী সম্পর্কে যথার্থ শিক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা থাকে। এমনকি ট্রেনিং শেষে এই সমস্ত কেন্দ্র থেকেই আপনার লাইসেন্স পাওয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়।

৫. বাইক ইন্সুরেন্স

আমাদের প্রত্যেকেরই সঠিক সময়ে জীবন বীমা করে রাখাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ। কোনরকম দুর্ঘটনার কবলে পড়ে জীবনহানির মতো ঘটনা ঘটলে সেক্ষেত্রে প্রয়োজন হয় এই জাতীয় পলিসির। এছাড়াও দুই চাকার যানবাহনের ক্ষেত্রেও আমাদের দেশে ইন্স্যুরেন্স করাটা আইনত বাধ্যতামূলক। এক্ষেত্রেও বাইকটির কোনরকম দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হলে আর্থিক সাহায্য পেতে পারবেন আপনি।

৬. বাইকের সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ

মনে রাখবেন আপনার বাইক কিংবা স্কুটারটির সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের ফলে যেমন তার বহিরঙ্গের চাকচিক্য বজায় থাকে তেমনি উন্নত হয় তার পারফরম্যান্স। পাশাপাশি এর ফলে দীর্ঘস্থায়ী হয় সেই বাইকের আয়ু। তাই নির্দিষ্ট সময় অন্তর দক্ষ মেকানিক দিয়ে এর সার্ভিসিং করানোটা আবশ্যক। চেইন সময় মত লুব্রিকেট করা ও  প্রয়োজন মত ইঞ্জিন অয়েল, ব্রেক ফ্লুইড, ইঞ্জিন ঠান্ডা রাখার ফ্লুইড ইত্যাদি পরিবর্তন করাটাও একান্ত কর্তব্য।

WhatsApp Follow Button

লেটেস্ট খবর পড়তে হোয়াটসঅ্যাপে

WhatsApp Logo যুক্ত হোন