ইলেকট্রিক গাড়ি নির্মাণে 14000 কোটি টাকার বেশি লগ্নি করবে Toyota
ইলেকট্রিক গাড়ি উৎপাদনে ইন্দোনেশিয়ায় ২৭.১ ট্রিলিয়ন রুপিয়া (প্রায় ১৪,২৫৫ কোটি) বিনিয়োগের পরিকল্পনা করছে জাপানের টয়োটা মোটর...ইলেকট্রিক গাড়ি উৎপাদনে ইন্দোনেশিয়ায় ২৭.১ ট্রিলিয়ন রুপিয়া (প্রায় ১৪,২৫৫ কোটি) বিনিয়োগের পরিকল্পনা করছে জাপানের টয়োটা মোটর কর্পোরেশন (Toyota Motor Corp)। সম্প্রতি এক সাংবাদিক বৈঠকে এ কথা জানিয়েছে সে দেশের অর্থমন্ত্রক। ইন্দোনেশিয়া লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারিতে ব্যবহৃত নিকেল আকরিক সমৃদ্ধ। এর উপর ভর করেই ইলেকট্রিক ভেহিকেল প্রোডাকশন ও এক্সপোর্ট হাব হয়ে উঠতে চায় দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশটি।
দক্ষিণ কোরিয়ার হুন্ডাই এবং এলজি কেমিক্যাল ছাড়াও একাধিক বহুজাতিক সংস্থা ইন্দোনেশিয়ায় এই ক্ষেত্রে মোটা অঙ্কের লগ্নি করবে বলে ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছে। দেশের অর্থমন্ত্রী এ দিন বিবৃতি দিয়ে বলেছেন, ২০১৯ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত সেখানে ১৪ ট্রিলিয়ন রুপিয়া লগ্নি করেছে। ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় সাড়ে সাত হাজার কোটি টাকার সমান।
টোকিয়োতে টয়োটার ভাইস চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করে তিনি মন্তব্য করেন, বৈদ্যুতিক গাড়ি দু'চাকা হোক বা চার চাকা, ইন্দোনেশিয়া ও আসিয়ান দেশগুলিতে সেগুলির চাহিদা ক্রমশ বাড়তে থাকবে। উল্লেখ্য, ২৭ কোটি জনসংখ্যার দেশ ইন্দোনেশিয়া ২০৫০ সালের মধ্যে শুধু ইলেকট্রিক গাড়ি, স্কুটার, ও মোটরসাইকেল বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দূষণ কমাতে ইন্টারনাল কম্বাশন ইঞ্জিনের ব্যবহার কমিয়ে ফেলতে চাইছে দেশটি।
ইন্দোনেশিয়ার লক্ষ্য, ২০৩০ সালের মধ্যে ১.৩ কোটি ব্যাটারি চালিত দু'চাকা রাস্তায় নামানো। আর গোটা দেশে ২.২ কোটি বৈদ্যুতিক চার চাকা গাড়ির চলাচল। টয়োটা সেখানে আগামী চার বছরের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের হাইব্রিড ইভি তৈরি করবে। আবার হাইব্রিড পাওয়ার ও ব্যাটারি পরিচালিত গাড়ি উৎপাদনে ইন্দোনেশিয়ায় লগ্নির কথা জানিয়েছে মিতসুবিশি মোটরস।