TVS Apache RR310 বনাম KTM RC 390, দেশি নাকি বিদেশি, কোন স্পোর্টস বাইক কিনলে লাভ
KTM RC সিরিজের স্পোর্টস বাইকগুলি লঞ্চ হওয়ার শুরুর দিন থেকেই ভারতবাসীর মনে পাকাপাকিভাবে জায়গা করে নিতে সক্ষম হয়েছে।...KTM RC সিরিজের স্পোর্টস বাইকগুলি লঞ্চ হওয়ার শুরুর দিন থেকেই ভারতবাসীর মনে পাকাপাকিভাবে জায়গা করে নিতে সক্ষম হয়েছে। যেমন তার পারফরম্যান্স ঠিক তেমনি তার স্টাইলিং। মাসকিউলার চেহারার RC 390 তাই বরাবরই ভারতবর্ষের সর্বাধিক বিক্রিত স্পোর্টস বাইকগুলির মধ্যে অন্যতম। তবে বিগত দেড়-দুই বছরের মধ্যে অত্যাধিক হারে দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় পরিস্থিতি কিছুটা পাল্টেছে। উপরন্তু TVS Apache RR310 এর উত্তরোত্তর মানোন্নয়ন কড়া টক্কর ছুড়ে দিয়েছে KTM এর ওই মডেলের দিকে। তাই বর্তমানে এই দুই মহারথীর মধ্যে প্রতিযোগিতা আরো কয়েকগুণ বেড়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আজকের প্রতিবেদনে এই দেশি ও বিদেশি বাইক দু'টির মধ্যে তুলনামূলক আলোচনা তুলে ধরা হল।
KTM RC 390 vs TVS Apache RR310: স্টাইল
পছন্দের সংজ্ঞা মানুষ ভেদে ভিন্ন হয়। তাই কেটিএম আরসি ৩৯০ এর ডিজাইনকে অনেকেই খুব ভালবাসলেও এমন অনেক মানুষ আছে যাদের কাছে তা বিরক্তির কারণ বটে। তবে সংস্থার দাবি, বাইকটির ডিজাইন মোটোজিপি রেসিং বাইকের অনুকরণ চূড়ান্ত করা হয়েছে। অন্য দিকে, টিভিএস অ্যাপাচি আরআর৩১০ মডেলটি এ দেশে বিক্রিত অন্যান্য অ্যাপাচি রেঞ্জের বাইকের মতো নয়। ডিজাইন অনেক বেশি অ্যাগ্রেসিভ। সাথে রয়েছে টুইন হেডল্যাম্প ও বৃহদাকার ফুয়েল ট্যাংক।
KTM RC 390 vs TVS Apache RR310: স্পেসিফিকেশন
কেটিএম আরসি ৩৯০-কে চলার রসদ যোগায় ৩৭৩ সিসির লিকুইড কুল্ড সিঙ্গেল সিলিন্ডার ইঞ্জিন। যা সর্বোচ্চ ৪৩.৫ পিএস পাওয়ার ও ৩৭ এনএম টর্ক উৎপাদন করতে সক্ষম। আর টিভিএস অ্যাপাচি আরআর৩১০-এ রয়েছে ৩১২ সিসির লিকুইড কুল্ড সিঙ্গেল সিলিন্ডার ইঞ্জিন। এই ইঞ্জিনটি স্পোর্টস ও ট্রাক মোডে সর্বোচ্চ ৯,৭০০ আরপিএম গতিতে ৩৪ পিএস পাওয়ার ও ৭,৭০০ আরপিএম গতিতে ২৭.৩ এনএম টর্ক উৎপাদন করে। তবে আরবান ও রেন মোডে ৭,৬০০ আরপিএম গতিতে ২৫.৮ পিএস পাওয়ার ও ৬,৭০০ আরপিএম গতিতে ২৫ এনএম টর্ক উৎপন্ন করতে পারে।
KTM RC 390 vs TVS Apache RR310: হার্ডওয়ার
কেটিএম আরসি ৩৯০-তে ব্রেকিং সিস্টেম সামলাতে সামনের চাকায় রেডিয়াল মাউন্টেড ক্যালিপার সহ ৩২০ মিমি ডিস্ক ও পিছনের চাকায় ফ্লোটিং ক্যালিপার সহ ২৩০ মিমি ডিস্ক লাগানো রয়েছে। আর অ্যাপাচির ক্ষেত্রে সামনে ও পিছনের চাকায় ব্যবহৃত ডিস্ক ব্রেকের সাইজ যথাক্রমে ৩০০ মিমি ও ২৪০ মিমি।
উভয় বাইকেই ট্রেলিস ফ্রেম ব্যবহার করা হয়েছে। সাসপেনশনের জন্য আরসি ৩৯০-এর সামনের দিকে ৪৩ মিমি ডব্লুপি অ্যাপেক্স ইউএসডি ফর্ক ও পিছনের দিকে মনোশক অ্যাবজর্ভার দেওয়া য়েছে। অন্য দিকে, আরআর ৩৯০ সামনে কেওয়াইবি ব্র্যান্ডের ইউএসডি ফর্ক ও পিছনে একই কোম্পানির মনোশক সাসপেনশন পেয়েছে।
KTM RC 390 vs TVS Apache RR310: ফিচার্স
আধুনিক বৈশিষ্ট্যের দিক থেকে বিচার করলে দুটি মডেলই সেরা। ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাসটার, ব্লুটুথ সংযোজন, বিভিন্ন ধরনের এবিএস মোড, স্লিপার ক্লাচ, রাইড-বাই-ওয়্যার প্রযুক্তি এগুলি সবই এই দুই বাইকে উপলব্ধ রয়েছে। তবে আরসি ৩৯০ কুইক শিফ্টার, লিন সেন্সিটিভ এবিএস, ও ট্রাকশন কন্ট্রোল সিস্টেম-সহ এলেও রাইডিং মোড পায়নি।
KTM RC 390 vs TVS Apache RR310: মূল্য
কেটিএম আরসি ৩৯০-এর এক্স শোরুম মূল্য ৩.১৪ লাখ। আর Apache RR310 এই ক্ষেত্রে অনেকটাই সস্তা। ২.৬৫ লাখ ( এক্স শোরুম) টাকায় বাজারে উপলব্ধ। তবে অ্যাপাচির এই মডেলের BTO সংস্করণটি নিতে চাইলে অতিরিক্ত খরচ করতে হবে। সেক্ষেত্রে বাড়তি কিছু ইকুইপমেন্ট পাওয়া যাবে।