TVS ইলেকট্রিক স্কুটারের বাজার ধরতে ঝাঁপাচ্ছে, নতুন মডেল লঞ্চ করবে খুব তাড়াতাড়ি
মডার্ন ফিচার্স, স্মার্ট ডিজাইন ও পাওয়ারফুল ইঞ্জিনের মতো বিষয়গুলিকে পাথেয় করে আজ ভারতের তৃতীয় বৃহত্তম টু-হুইলার...মডার্ন ফিচার্স, স্মার্ট ডিজাইন ও পাওয়ারফুল ইঞ্জিনের মতো বিষয়গুলিকে পাথেয় করে আজ ভারতের তৃতীয় বৃহত্তম টু-হুইলার প্রস্তুতকারী সংস্থা তামিলনাড়ুর টিভিএস (TVS)। প্রথাগত জ্বালানির পাশাপাশি ব্যাটারি চালিত দু'চাকা গাড়ির বাজারেও ধীরে ধীরে আধিপত্য কায়েম করছে তারা। সম্প্রতি তাদের প্রথম ইলেকট্রিক স্কুটার iQube-এর আপগ্রেড ভার্সন লঞ্চ হয়েছে। আবার চলতি বছর শেষ হওয়ার আগে ফের এক নতুন বৈদ্যুতিক স্কুটার বাজারে নিয়ে আসার পরিকল্পনা জানানো হয়েছে সংস্থার তরফে।
আগামী দিনের দু-চাকা কিংবা চার-চাকার বাজারে সিংহভাগ দখল করবে ব্যাটারি চালিত মডেল। সেই প্রত্যাশা থেকে অদূর ভবিষ্যতে বৈদ্যুতিক স্কুটারের সংখ্যা বাড়াতে তৎপর টিভিএস মোটর কোম্পানি। চলতি অর্থবর্ষে এক হাজার কোটি টাকা লগ্নি করতে চলেছে তারা। বৈদ্যুতিক যানবাহনের উৎপাদন বাড়াতে নতুন ইলেকট্রিক স্কুটার নিয়ে গবেষণা ও উন্নয়নের লক্ষ্যে ব্যয় করা হবে।
পরিকল্পনা অনুযায়ী চলতি বছরের শেষের দিকে প্রতি মাসে ২৫ হাজার ইউনিট ও সামনের বছরের মধ্যে তা বাড়িয়ে মাসে ৫০ হাজার ইউনিট বৈদ্যুতিক স্কুটার তৈরি করা হবে। আর এভাবেই বছরে ৫ থেকে ৬ লক্ষ গাড়ি উৎপাদনের ভাবনা তাদের। এই প্রসঙ্গে সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর সুদর্শন ভেনু জানান, ২০২৫ এর মধ্যে ই-স্কুটারের ৩০% ও তিন চাকার বাজারের ৩৫% অংশীদারিত্ব দখল করাই তাদের উদ্দেশ্য। এর পাশাপাশি "ওয়েটিং পিরিয়ড" কমানোর ব্যাপারটিও টিভিএস গুরুত্ব সহকারে দেখছে।
ভেনু আরো বলেন যে ২০২২-এর শেষের দিকে আরও একটি ইলেকট্রিক স্কুটার লঞ্চ করতে চলেছেন তারা। যদিও তার বিষয়ে এখনও কোনও বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়নি। অনুমান, ২০১৮ সালে প্রদর্শিত Creon E-Scooter কনসেপ্ট মডেলের প্রোডাকশন ভার্সন হাজির করতে পারে টিভিএস। সেই কনসেপ্ট মডেলে তিনটি লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি সহ ১২ কিলোওয়াট ইলেকট্রিক মোটর ছিল। তখন দাবি করা হয়েছিল যে এটি ৫.১ সেকেন্ডে ৬০ কিমি/ঘণ্টা পর্যন্ত গতিবেগ তুলতে সক্ষম। তাছাড়া সম্পূর্ণ চার্জে সর্বোচ্চ ৮০ কিমি পাড়ি দিতে পারবে।
অ্যালুমিনিয়াম ফ্রেমের উপর গঠিত বৈদ্যুতিক স্কুটারটিতে টিভিএস রেমোরা টায়ার ও সাথে ডায়মন্ড-কাট অ্যালয় হুইল দেওয়া হয়েছিল। রিজনারেটিভ ব্রেকিং সিস্টেম, ক্লাউড কানেক্টিভিটি পার্কিং অ্যাসিস্ট, জিও ফেন্সিং, টিএফটি স্ক্রিন, স্মার্ট ফোন চার্জার, বুট স্টোরেজ ও অ্যান্টি-থেফ্ট সিস্টেম-সহ নানা আকর্ষণীয় বৈশিষ্ট্য দেখা গিয়েছিল এতে। ডিজাইনও ছিল ফিউচারিস্টিক।
উল্লেখ্য, টিভিএস সম্প্রতি তাদের প্রথম নিও-রেট্রো বাইক Ronin লঞ্চ করেছে। আবার কয়েক দিন আগে তাদের Apache RR 310-এর রিব্যাজড ভার্সন হিসাবে একটি স্পোর্টস বাইক লঞ্চ করেছে BMW। দুই সংস্থার মধ্যে পার্টনারশাপ থাকায় একে অপরের প্রযুক্তি ব্যবহার করে লাভবান হচ্ছে উভয় পক্ষই আবার মেড-ইন-ইন্ডিয়া BMW G310 RR চীনেও বিক্রি করার সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে।