ছয় বছর গবেষণার পর দেশের দ্রুততম ই-বাইক Ultraviolette F77 লঞ্চ হল, এক চার্জে দৌড়বে 307 কিমি
স্পোর্টস বাইকপ্রেমীদের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে আজ ভারতের বাজারে লঞ্চ হল Ultraviolette F77। এটি একটি পারফরম্যান্স...স্পোর্টস বাইকপ্রেমীদের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে আজ ভারতের বাজারে লঞ্চ হল Ultraviolette F77। এটি একটি পারফরম্যান্স ইলেকট্রিক মোটরসাইকেল। এর স্ট্যান্ডার্ড মডেলটির দাম ৩.৮ লক্ষ টাকা (এক্স-শোরুম)। আবার ৩০৭ কিমি রেঞ্জের F77 Recon মডেলটির মূল্য ৪.৫৫ লক্ষ টাকা (এক্স-শোরুম)। বৈদ্যুতিক স্পোর্টস বাইকটি তিনটি ট্রিমে বেছে নেওয়া যাবে – শ্যাডো, লাইটিনিং এবং লেজার।
আল্ট্রাভায়োলেট (Ultraviolette)-এর দাবি, সেই ২০১৬ সাল থেকে F77-এর নির্মাণ কাজ শুরু করেছিল তারা। যার প্রথম মডেলটি ২০১৯-এ প্রর্দশন করা হয়েছিল। করোনা আবহেই এর চূড়ান্ত মডেলটি লঞ্চের জন্য প্রস্তুত হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু প্রতিকূল পরিস্থিতির কারণে তা সম্ভব হয়নি। সংস্থাটি ভারতের দ্রুততম এই স্পোর্টস বাইকের লিমিটেড এডিশন মডেলও নিয়ে এসেছে। যার মাত্র ৭৭ ইউনিট তৈরি করা হবে।
সীমিত সংস্করণের F77-কে আলাদা নম্বর দেওয়ার সাথে অনন্য ভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। আফটারবার্নার ইয়েলোর সাথে মিটিয়র গ্রে স্পেশাল পেইন্ট স্কিম দ্বারা সজ্জিত হয়ে এসেছে এটি। স্পেশাল মডেলটি ৪০.২ বিএইচপি এবং ১০০ এনএম টর্ক উৎপন্ন হবে। ঘন্টা প্রতি সর্বোচ্চ গতিবেগ। বাইকটি ০-১০০ কিমি/ঘন্টার স্পিড মাত্র ৭.৮ সেকেন্ডে তুলতে পারবে।
Ultraviolette F77-এর হার্ডওয়্যারের প্রসঙ্গে বললে এটি একটি অ্যালুমিনিয়াম বাল্ক হেড যুক্ত স্টিলের ট্রেলিস ফ্রেমের উপর নির্ভর করে এসেছে। জেট ফাইটারে ডিজাইনের থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে মোটরসাইকেলটির নকশা করা হয়েছে। আবার হ্যান্ডেলবারের উচ্চতা বাড়াতে এবং সিটের উচ্চতা কমাতে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়েছে কোম্পানি। আকর্ষণের বিষয় হল F77-এর সমগ্র দেহে কোনো বোল্টের দেখা মেলেনি।
চালিকাশক্তি জোগাতে একটি পিএমএস ডিরেক্ট ড্রাইভ মটর ব্যবহার করা বাইকটিতে। F77-এর অরিজিনাল এবং রিকন ভ্যারিয়েন্টের মোটরের আউটপুট ৩৮.৮ বিএইচপি এবং ৯৫ এনএম টর্ক। এদের সর্বোচ্চ গতি বেগ প্রতি ঘন্টায় ১৪৭ কিমি। গ্লাইড, কমব্যাট এবং ব্যালিস্টিক – এই তিনটি রাইডিং মোড উপলব্ধ এতে। ২১৭০০ ফরম্যাট সেল সহ এটি দুটি ফিক্সড ব্যাটারি অপশনে বেছে নেওয়া যাবে – ৭.১ কিলোওয়াট আওয়ার এবং ১০.৩ কিলোওয়াট আওয়ার।
Ultraviolette F77-এর অরিজিনাল এবং রিকন ভ্যারিয়েন্ট থেকে ২০৬ কিমি এবং ৩০৭ কিমি রেঞ্জ মিলবে বলে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। এতে ফাস্ট চার্জিংয়ের সুবিধা রয়েছে। এক ঘন্টার চার্জে ৩৫ কিলোমিটার পথ চলার শক্তি জোগানো যাবে। আবার একটি বুস্ট চার্জার অপশনে মিলবে বাইকটি। যেটি ৭৫ কিলোমিটার পথ চলার চার্জ করে দিতে সক্ষম।