Ultraviolette X44: সস্তায় ইলেকট্রিক স্পোর্টস বাইকের স্বপ্নপূরণ, বেঙ্গালুরুর সংস্থার চমক
ইলেকট্রিক টু-হুইলার নির্মাণকারী সংস্থাগুলি ভারতকে সর্বাধিক সম্ভাবনাময় বাজার হিসাবে দেখছে। বস্তুত বেশি সংখ্যক ক্রেতাকে...ইলেকট্রিক টু-হুইলার নির্মাণকারী সংস্থাগুলি ভারতকে সর্বাধিক সম্ভাবনাময় বাজার হিসাবে দেখছে। বস্তুত বেশি সংখ্যক ক্রেতাকে আকৃষ্ট করার উদ্দেশ্যে চোখ জুড়ানো সব মডেল লঞ্চ করে তাক লাগাচ্ছে কোম্পানিগুলি। এবারে দেশের অন্যতম বৈদ্যুতিক দু’চাকা গাড়ির স্টার্টআপ আলট্রাভায়োলেট অটোমেটিভ (Ultraviolette Automotive) সে পথেই হাঁটা ধরেছে বলে মনে করা হচ্ছে। সম্প্রতি বেঙ্গালুরুর সংস্থাটি এদেশে X44 নামের ট্রেডমার্ক দায়ের করেছে। যা তাদের নতুন ই-বাইক লঞ্চের জল্পনা জোরদার করেছে। Ultraviolette F77-এর পর এটি এদেশে সংস্থার দ্বিতীয় মডেল হিসেবে আসবে।
Ultraviolette সস্তায় ইলেকট্রিক স্পোর্টস বাইক লঞ্চ করতে পারে
আল্ট্রাভায়োলেটের নতুন ইলেকট্রিক বাইক প্রসঙ্গে বিশেষ কোন তথ্য জানা যায়নি। তবে এটি তুলনামূলক সস্তায় আসবে বলে অনুমান করা যায়। যাতে আরও বেশি সংখ্যক ক্রেতাকে আকৃষ্ট করা যায়। সংস্থার হাই-এন্ড F77 ই-বাইকটি কিনতে ৩.৮০ লক্ষ টাকা (এক্স-শোরুম) খরচ পড়ে। এবং সবচেয়ে দামী ভ্যারিয়েন্টটির মূল্য ৫.৫০ লক্ষ টাকা (এক্স-শোরুম)। যা মধ্যবিত্ত ক্রেতাদের পক্ষে ধরাছোঁয়ার বাইরে। যে কারণে সাধ্যের মধ্যে বাইক আনতে উদ্যত হয়েছে আল্ট্রাভায়োলেট।
জল্পনা শোনা যাচ্ছে, বর্তমানে সংস্থাটি আসন্ন ইলেকট্রিক বাইকের দাম মধ্যবিত্ত ক্রেতাদের হাতের নাগালে রাখতে ফিচারে কাটছাঁট করছে। ডিজাইনের দিক থেকে এটি অনেকাংশই F77-কে অনুসরণ করবে। F77 হচ্ছে দেশের প্রথম হাই পারফরম্যান্স ইলেকট্রিক মোটরসাইকেল তথা দ্রুততম এবং লং-রেঞ্জ ই-বাইক। এর টপ-ভ্যারিয়েন্টে রয়েছে ১০.৩ কিলোওয়াট আওয়ার লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি। মোটর থেকে সর্বোচ্চ ৩৮.৯ এইচপি শক্তি এবং ৯৫ এনএম টর্ক উৎপন্ন হয়।
Ultraviolette F77 ফুল চার্জে ৩০৭ কিলোমিটার পথ ছুটতে পারে বলে দাবি সংস্থার। এটি তিনটি ভ্যারিয়েন্টে উপলব্ধ – এয়ারস্ট্রাইক, শ্যাডো এবং লেজার। প্রতিটি এদেশের মাটিতেই তৈরি হয়। এতে ৮ বছর অথবা ১,০০,০০০ কিলোমিটার (যেটি আগে হবে) ওয়ারেন্টি অফার করে কোম্পানি।