গাড়ির ছাদে ফ্যান লাগিয়ে হেলিকপ্টার বানানোর চেষ্টা দুই ভাইয়ের! আকাশে উড়তে পারল কি?

কথায় আছে, কাঁথায় শুয়ে লাখ টাকার স্বপ্ন দেখা একেবারেই উচিত নয়। যদিও এখনকার মানুষ কোটি টাকার স্বপ্ন দেখেন। এমনই দিবাস্বপ্ন দেখেছিলেন উত্তরপ্রদেশের আম্বেদকর নগরের দুই…

কথায় আছে, কাঁথায় শুয়ে লাখ টাকার স্বপ্ন দেখা একেবারেই উচিত নয়। যদিও এখনকার মানুষ কোটি টাকার স্বপ্ন দেখেন। এমনই দিবাস্বপ্ন দেখেছিলেন উত্তরপ্রদেশের আম্বেদকর নগরের দুই সহোদর। তাঁদের স্বপ্ন ছিল বাস্তবের মাটি থেকেও আকাশে উড়ে বেরানোর স্বাদ আস্বাদন করা। তা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে Maruti Suzuki WagonR-কে হেলিকপ্টারের রূপ দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তীরে এসে তরী গেল ডুবে। উল্টে হাতছাড়া হল হেলিকপ্টার-রূপী WagonR। বর্তমানে সেটি এখন পুলিশের জিম্মায়।

Maruti Suzuki WagonR রূপ নিল হেলিকপ্টারের

পুলিশ গোটা গাড়িটি বাজেয়াপ্ত করেছে। ফলে দুই ভাইয়ের উচ্চাকাঙ্ক্ষী এই প্রকল্প মাঠে মারা গেল। উপরন্তু পুলিশ 2,000 টাকার চালান কেটে গেছে। হেলিকপ্টারের পুচ্ছ এবং রটর যুক্ত সাদা রঙের WagonR গাড়িটির ছবি ভাইরাল হয়েছে নেট মাধ্যমে। গাড়িকে অন্তরীক্ষে বদলে ফেলতে ঈশ্বর দীন এবং তাঁর ভাই, দু’জনে মিলে স্ক্র্যাপ মেটাল ব্যবহার করেছিলেন। তাদের উদ্দেশ্য কিন্তু আকাশে ওড়া ছিল না। বরঞ্চ তাঁরা এই গাড়িটি বিয়ে উপলক্ষ্যে বর ও কনে নিয়ে যাওয়ার জন্য ভাড়া দেওয়া উদ্দেশ্যে বানিয়েছিলেন।

দুই সহোদরের জুগাড় দেখে তাজ্জব নেটাগরিকরা। অদ্ভুত দর্শনের এই গাড়িটি আকবরপুরে রঙ করতে নিয়ে যাওয়ার পথে পুলিশের নজর আকর্ষণ করে। সাথে সাথে বাজেয়াপ্ত করা হয় গাড়িটি। উল্টে জরিমানা বাবদ 2,000 টাকার চালান কাটি যোগীর পুলিশ।

Maruti Suzuki WagonR-কে হেলিকপ্টারে বদলে ফেলতে নাকি দুই ভাইয়ের 2.50 লাখ টাকা খরচ হয়েছে। এই প্রসঙ্গে ঈশ্বরের বক্তব্য, “আমরা বিয়ের মরসুমে ভাড়া কাটানোর উদ্দেশ্যে গাড়িটির রূপান্তর ঘটিয়েছিলাম। যাতে করে আমাদের পরিবার কিছু অর্থ উপার্জন করতে পারে।” শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, পুলিশের থেকে গাড়িটি ছাড়িয়ে নিয়ে যেতে পেরেছে ঈশ্বর ও তাঁর ভাই। কিন্তু তাঁদের এতদিনের পরিশ্রম মাটি হয়ে গেল।

উত্তরপ্রদেশ পুলিশ জানিয়েছে, মোটর ভেহিকেল অ্যাক্ট অনুযায়ী ভারতের রাস্তায় সুরক্ষা বজায় রাখার ক্ষেত্রে এই গাড়ির একেবারেই বেমানান। এমনকি WagonR-কে হেলিকপ্টারে রূপান্তরের কোন বৈধ দেখাতে পারেননি ঈশ্বর ও তাঁর ভাই। প্রসঙ্গত, এ কথা আমরা অনেকেই জানি, গাড়ি মডিফিকেশনের আগে স্থানীয় আরটিও থেকে অনুমোদনের প্রয়োজন। তা না থাকলে সেটি বেআইনি বলে গণ্য হয়। এক্ষেত্রেও তাই হয়েছে।