Royal Enfield-কে জব্দ করতে ক্রুজার বাইক আনছে Honda, পুজোর সময় হতে পারে লঞ্চ, ইঞ্জিন-ফিচারের খুঁটিনাটি রইল

ভারতের টু-হুইলারের বাজারে জাপানের সংস্থা হোন্ডা (Honda) বিগত কয়েক দশক ধরে চুটিয়ে ব্যবসা করলেও কমিউটার সেগমেন্টে জনপ্রিয়তার নিরিখে আজও Hero MotoCorp সবার প্রথমে। এমনকি উপমহাদেশে…

ভারতের টু-হুইলারের বাজারে জাপানের সংস্থা হোন্ডা (Honda) বিগত কয়েক দশক ধরে চুটিয়ে ব্যবসা করলেও কমিউটার সেগমেন্টে জনপ্রিয়তার নিরিখে আজও Hero MotoCorp সবার প্রথমে। এমনকি উপমহাদেশে ৩৫০ সিসি ক্রুজার বাইক সেগমেন্টের দখলদারি সম্পূর্ণভাবেই আইকনিক বাইক নির্মাতা Royal Enfield এর হাতে। বছর দুয়েক আগে এই সরণীতে দুটি নতুন মডেল (CB350 সিরিজ) হোন্ডা নিয়ে এলেও রয়্যাল এনফিল্ড ক্লাসিক, মিটিওর কিংবা সদ্য যুক্ত হওয়া হান্টারের বিক্রির তুলনায় তা নিতান্তই কম। এই পরিস্থিতির পরিবর্তন আনতে চেষ্টায় কোনরকম ত্রুটি রাখতে নারাজ জাপানের এই সংস্থা। কয়েক সপ্তাহ আগেই তারা সস্তায় লঞ্চ করেছে Shine 100। প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে প্রারম্ভিক মূল্য ধার্য হয়েছে ৬৫,০০০ টাকা থেকে (এক্স শোরুম)।

শুধু এখানেই শেষ নয়, আমরা জানি রয়্যাল এনফিল্ড তার বাইকগুলির জন্য বিভিন্ন রকম অ্যাক্সেসরিজ অফার বছর করে। সেই পথ অনুসরণ করেই হোন্ডা তাদের H’ness CB350 এবং CB350RS মডেল দুটির জন্য মোট ছয় ধরনের কাস্টম অ্যাক্সেসরি লঞ্চ করেছে, যেগুলির দাম শুরু হচ্ছে ৭,৫০০ টাকা থেকে। এবার এই একই প্লাটফর্মের উপর নতুন একটি ক্রুজার আসতে চলেছে চলতি বছরের মধ্যেই। শোনা যাচ্ছে, উৎসবের মরসুমে লঞ্চ হতে পারে মোটরসাইকেলটি।

Honda নতুন ক্রুজার বাইক লঞ্চ করতে চলেছে

রয়্যাল এনফিল্ড এর ৩৫০ সিসির বাইকগুলিকে টার্গেট করেই নিজেদের ৩৫০ সিস সেগমেন্টকে ঢেলে সাজাতে বদ্ধপরিকর হোন্ডা। যদিও এই নতুন মডেলটির নাম বা ফিচার প্রসঙ্গে সংস্থার তরফে এখনও পর্যন্ত কোনো স্পষ্ট ধারণা দেওয়া হয়নি। তবে বিভিন্ন রিপোর্ট অনুযায়ী হোন্ডার এই নতুন ৩৫০ সিসির ক্রুজার বাইকটি প্রকৃতপক্ষে রয়্যাল এনফিল্ড মিটিয়র ৩৫০ এর প্রতিদ্বন্দ্বী হিসাবেই আত্মপ্রকাশ করতে চলেছে। হাফ ডুপ্লেক্স ক্রেডেল ফ্রেম এর উপর নির্মিত এই বাইকটির হুইলবেস ক্রুজিং বাইকের মতোই দীর্ঘ হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

ইঞ্জিন থাকবে অপরিবর্তিত

উচ্চ পারফরম্যান্সের জন্য হোন্ডা তার বিশ্বস্ত ৩৪৮ সিসি সিঙ্গেল সিলিন্ডার এয়ারকুল্ড ইঞ্জিন এর উপরেই ভরসা রাখতে চলেছে এই বাইকটির ক্ষেত্রে। ইঞ্জিনটি ৫,০০০ আরপিএম গতিতে ২১ পিএস শক্তি এবং ৩,০০০ আরপিএম গতিতে সর্বোচ্চ ৩০ এনএম টর্ক উৎপন্ন করতে পারে। সাথে থাকবে পাঁচ ধাপ যুক্ত গিয়ার বক্স। স্লিপার ক্লাচ দেখতে পাওয়া যাবে এতে।

ডুয়েল চ্যানেল এবিএস এবং ট্র্যাকশন কন্ট্রোল থাকবে স্ট্যান্ডার্ড ফিচার হিসাবে

এই ক্রুজার বাইকটির অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্যের মধ্যে ব্লুটুথ যুক্ত ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট কনসোল প্রথমেই প্রাধান্য পাবে। চালকের সুরক্ষার্থে ডুয়েল চ্যানেল এবিএস এবং ট্র্যাকশন কন্ট্রোল দেওয়া হবে। অনুমান, আন্তর্জাতিক বাজারে বিক্রি হওয়া রেবেল সিরিজের ক্রুজার থেকেই অনুপ্রাণিত হয়ে তৈরি হবে ডিজাইন। অর্থাৎ আমরা এর মধ্যে উঁচু করা হ্যান্ডেল বার এবং আরামদায়ক পজিশনে লাগানো ফুড পেগ আশা করতে পারি।

বিগ উইং শোরুম এর মাধ্যমেই এটি কিনতে পারবেন গ্রাহকরা

সাসপেনশনের দায়িত্ব সামলাতে বাইকটির সামনের দিকে টেলিস্কোপিক ফর্ক থাকলেও পিছনের দিকে থাকবে টুইন শক অ্যাবজর্ভার। ব্রেকিং সিস্টেম হিসেবে উভয় চাকাতেই ডিস্ক ব্রেকের সাথে অবশ্যই ডুয়েল চ্যানেল এবিএস থাকার সম্ভাবনা প্রবল। বর্তমানে হোন্ডার সব প্রিমিয়াম বাইক যেমন তাদের বিগ উইং ডিলারশিপ এর মাধ্যমে বিক্রি করা হয় এক্ষেত্রেও তার প্রতিফলন দেখতে পাওয়া যাবে।