এক চার্জে 150 কিমি, ছোট বৈদ্যুতিক গাড়ি নিয়ে আসছে MG, এই প্রথম দেশের রাস্তায় দেখা গেল
ভারতের বৈদ্যুতিক গাড়ির জনপ্রিয়তা বাড়ছে। দেশি-বিদেশি নানা সংস্থা দেশের বাজার লক্ষ্য করে ইলেকট্রিক গাড়ি আনছে। আবার কম...ভারতের বৈদ্যুতিক গাড়ির জনপ্রিয়তা বাড়ছে। দেশি-বিদেশি নানা সংস্থা দেশের বাজার লক্ষ্য করে ইলেকট্রিক গাড়ি আনছে। আবার কম দামের ব্যাটারি চালিত গাড়ি নিয়ে আসার জন্যও অনেক সংস্থা তোড়জোড় শুরু করেছে। সেই তালিকায় এবার নাম তুলতে চলেছে ব্রিটিশ অটোমেকার এমজি মোটর (MG Motor)। তারা এদেশে একটি এন্ট্রি লেভেল বৈদ্যুতিক গাড়ি নিয়ে আসার জন্য কোমর বেঁধেছে। যার সাংকেতিক নাম MG E230। এটি সম্প্রতি ইন্দোনেশিয়ায় উন্মোচিত সংস্থার সিস্টার ব্র্যান্ড Wuling Air EV-র উপর ভিত্তি করে তৈরি হবে। সম্প্রতি ট্রায়াল চলাকালীন এদেশের রাস্তায় দেখা গিয়েছে গাড়িটি।
অনুমান করা হচ্ছে ২০২৩-এর প্রথমার্ধে ভারতের বাজারে পা রাখবে MG Air EV। আকারে ন্যানোর থেকেও ছোট গাড়িটির দাম ১০ লক্ষ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা হতে পারে। আকারে ছোট হওয়ার কারণে এটি জনবহুল শহরের রাস্তায় চলাচলের জন্য উপযুক্ত হবে। এই MG কম্প্যাক্ট ইভি দেশের ক্ষুদ্রতম যাত্রীবাহী গাড়ি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে। ২,০১০ মিমি হুইল বেস সহ এটি দৈর্ঘ্যে ২.৯ মিটার। মারুতি অল্টোর চাইতে যা ৪০০ মিমি কম। ইন্দোনেশিয়ার বাজারে উপলব্ধ এর মডেলটি ১২ ইঞ্চি স্টিল হুইলে চলে। তবে এদেশে অ্যালয় হুইল সহ আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।
স্পট হওয়া মডেলে চালকের সিট গাড়ির বাঁ দিকে দেখা গিয়েছে। ভারতে পেছনের দরজায় স্পেয়ার হুইল সহ আসতে পারে, যা ইন্দোনেশিয়ার মডেলে অনুপস্থিত। ভারতের জলবায়ুর সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়ার মতো করে তৈরি হয়েছে। এদেশে নতুন নামে আনা হবে ‘পুঁচকে’ গাড়িটি। আকারে ছোট হলেও দমদার ফিচার থাকছে এতে। যেমন একটি বৃহৎ টাচস্ক্রীন, একটি ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট কনসোল, কানেক্টেড কার টেক, ওয়ারলেস কানেক্টিভিটি ফিচার ও আরও অন্যান্য।
মজার বিষয় হল, গাড়িটির জন্য এমজি দেশীয় সংস্থা টাটা অটোকম্প (Tata AutoComp)-এর থেকে ব্যাটারি কিনবে। ভারতে বৈদ্যুতিক গাড়ির লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারির ডিজাইন, ম্যানুফ্যাকচার, জোগান এবং পরিষেবার জন্য চিনা ব্যাটারি সরবরাহকারী Gotion -এর সাথে হাত মিলিয়েছে টাটা অটোকম্প। Tata Nexon -এর মতো MG E230-ও এলপিএফ সিলিন্ড্রিকাল সেল সহ আসবে। এগুলি সাশ্রয়ী, ভরসাযোগ্য এবং ভারতের আবহাওয়ার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। নতুন মডেলের ২০-২৫ কিলোওয়াট আওয়ার ক্ষমতার ব্যাটারি প্যাক দেওয়া হতে পারে। যা থেকে বাস্তবে ১৫০ কিমির কাছাকাছি রেঞ্জ মিলবে। এতে ৪০ বিএইচপি আউটপুট উৎপাদনকারী পাওয়ারট্রেন অফার করা হতে পারে।