এক্কেবারে আল্টিমেট ইলেকট্রিক মাউন্টেন বাইক, দুর্ধর্ষ ব্রেক, তবে দাম শুনলে আঁতকে উঠবেন
হালফিলে ইলেকট্রিক মাউন্টেন বাইকের বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তা উত্তরোত্তর বেড়েই চলেছে। দেশি থেকে বিদেশি একাধিক স্টার্টআপ ও...হালফিলে ইলেকট্রিক মাউন্টেন বাইকের বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তা উত্তরোত্তর বেড়েই চলেছে। দেশি থেকে বিদেশি একাধিক স্টার্টআপ ও মেইনস্ট্রিম সংস্থা এক্ষেত্রে নিজেদের পা শক্ত করতে চাইছে। তেমনই এক্ষেত্রে নতুন খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নেমেছে আমেরিকার ওয়াশিংটনের ডেভিল বাইকস (Devil Bikes)। তারা Epocalypse নামক একটি মাউন্টেন বাইসাইকেল লঞ্চ করেছে। এটি গ্রাহকদের আকৃষ্ট করার জন্য যথেষ্ট বলে দাবি করেছে সংস্থা।
এই ইলেকট্রিক মাউন্টেন বাইকটির ফিচারের তালিকায় উপস্থিত একটি Shimano EP8 মোটর। সম্পূর্ণ থ্রটেল এবং প্যাডেল করলে এটি থেকে সর্বোচ্চ ৮৫ এনএম টর্ক উৎপন্ন হবে। Epocalypse-কে ক্লাস-১ ইলেকট্রিক টু-হুইলারের পর্যায়ভুক্ত করা হয়েছে। প্যাডেল অ্যাসিস্টে নির্দিষ্ট গতিবেগ পাওয়া যাবে, যা আমেরিকার মডেলে সর্বোচ্চ ৩২ কিমি/ঘন্টা ও ইউরোপের মডেলের ২৫ কিমি/ঘন্টা।
Shimano EP8 মোটরের দুটি পাওয়ার প্রোফাইল রয়েছে। একটি থেকে সর্বোচ্চ ক্ষমতা উৎপন্ন হয়, এবং অপরটি থেকে তুলনামূলক কম পারফরম্যান্স পাওয়া যায়। মোটরটি একটি ৬৩০ ওয়াট আওয়ার Shimano BT-E8036 ব্যাটারির সাথে সংযুক্ত। ব্যাটারিটি সাইকেলের ডাউনটিউবে রয়েছে। তবে ই-সাইকেলটির রেঞ্জের তথ্য জানায়নি সংস্থা। কার্বন ফ্রেমের উপর তৈরি হয়েছে এটি। সামনে আছে ১৭০ মিমি ট্রাভেল এবং পেছনে ১৬৬ মিমি ট্রাভেল সাসপেনশন। সংস্থার ডেল্টা সিস্টেমের মাধ্যমে সাসপেনশন অ্যাডজাস্ট করা যাবে।
Epocalypse-এর ব্রেকিং সিস্টেমটিও বেশ মজবুত। ২০৩ মিমি রটর যুক্ত দুই টাকাতেই রয়েছে Shimano XT BR-M8120, 4-পিস্টন ডিস্ক ব্রেক। আবার ২৯ ইঞ্চি হুইলে ২৯×২.৫ ইঞ্চি চওড়া ট্রেইল টায়ার। চার ধরনের সাইজে বেছে নেওয়া যাবে ই-বাইকটি –স্মল, মিডিয়াম, লার্জ এবং এক্সট্রা লার্জ। ওয়াসাবি শ্যাডো রঙে এসেছে এটি। বৈদ্যুতিক সাইকেলটির দাম ১২,০০০ ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় যা দাঁড়ায় প্রায় ৯.৫৩ লক্ষ টাকা। বলাই বাহুল্য, ভারতে এই পরিমাণ অর্থে Triumph Street Triple R, Kawasaki Z900 ও BMW 900 R-এর মতো প্রিমিয়াম মোটরসাইকেল কেনা যায়।