30 বছর অনেক কিছু শিখিয়েছে, Bajaj-র মুখে Honda-র প্রশংসা শুনে চক্ষু চড়কগাছ সবার!
ট্রায়াম্ফ-বাজাজ (Triumph-Bajaj) যৌথভাবে সম্প্রতি ভারতে তাদের Speed 400 মোটরসাইকেল লঞ্চ করেছে। রোডস্টার বাইকটি এদেশে...ট্রায়াম্ফ-বাজাজ (Triumph-Bajaj) যৌথভাবে সম্প্রতি ভারতে তাদের Speed 400 মোটরসাইকেল লঞ্চ করেছে। রোডস্টার বাইকটি এদেশে ব্রিটিশ সংস্থার সবচেয়ে সস্তার মডেল হিসেবে এসেছে। এটি বাজাজের চাকানের নতুন কারখানায় তৈরি হবে। বাইকটির লঞ্চের মঞ্চ থেকে বাজাজের ম্যানেজিং ডিরেক্টর রাজিব বাজাজের কথায় অনেকেরই চক্ষু চড়ক গাছ হওয়ার জোগাড় হয়েছে। কী বললেন তিনি? বাজাজের কর্ণধার জানান, তিনি হোন্ডা (Honda)-র থেকে বহু কিছু শিখেছেন।
Bajaj-এর কর্ণধার রাজিব বাজাজ Honda-র থেকে শিক্ষা গ্রহণের কথা বললেন
লঞ্চ ইভেন্টে রাজিব বাজাজ (বাজাজ অটো-র ম্যানেজিং ডিরেক্টর) এবং নিক ব্লুর (ট্রায়াম্ফ মোটরসাইকেলের সিইও)-এর কাছে জানতে চাওয়া হয় যে, বর্তমানে মাঝারি ওজনের মোটরসাইকেল কেন এত গুরুত্ব পাচ্ছে? এই প্রশ্নের জবাবে রাজিব বাজাজ বলেন, “গত ৩০ বছরে আমরা হোন্ডার থেকে অনেক কিছু শিখেছি। যার মধ্যে একটি আকর্ষণীয় বিষয় হল, ক্রেতাদের কথা শোনা। ক্রেতারাই বাজার তৈরি করেন। আমাদের কর্তব্য কেবল ক্রেতাদের ডাকে সাড়া দেওয়া।”
এই একই প্রশ্নের জবাবে নিক জানান, “৪০০-৫০০ সিসি ক্যাটেগরির জনপ্রিয়তা এবং বিশেষত্ব সমগ্র বিশ্বে বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই বাজারের উপর ভিত্তি করে জেনারালাইজ করা বেশ কঠিন। কিন্তু কয়েকটি বাজারে এই জাতীয় মোটরসাইকেলের চাহিদা কম থাকলেও, কিছু ক্ষেত্রে প্রবণতা পাল্টাচ্ছে। ইউরোপ এবং আমেরিকার বাজারে চালকদের লাইসেন্সিংয়ের ক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট ব্র্যান্ড বেছে নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। তাই বাজারের উপর নির্ভরশীল হলেও, এই সেগমেন্টে উদ্দীপনা এখন তুঙ্গে।”
সস্তার দামের জন্য Speed 400 আত্মপ্রকাশের দশ দিনের মধ্যেই ১০,০০০ এর বেশি বুকিং পেয়ে নজির গড়েছে। মোটরসাইকেলটির দাম ২.৩৩ লক্ষ টাকা (এক্স-শোরুম) ধার্য করা হলেও প্রথম ১০,০০০ ক্রেতার জন্য রয়েছে ১০,০০০ টাকার ডিসকাউন্ট। সেক্ষেত্রে ২.২৩ লক্ষ টাকায় বাইকটি বাড়ি নিয়ে আসার সুযোগ দেবে ট্রায়াম্ফ। এদিকে Hero MotoCorp ও Harley-Davidson সম্প্রতি যৌথভাবে X440 লঞ্চ করেছে। যার দাম ২.২৯ লক্ষ্য টাকা থেকে শুরু করে ২.৬৯ লক্ষ টাকা (এক্স-শোরুম) পর্যন্ত গিয়েছে।
যদিও মোটরসাইকেল দুটির চরিত্রগত দিক থেকে অনেক পার্থক্য বর্তমান। হার্লে এয়ার কুল্ড ইঞ্জিন ব্যবহার করেছে। যেখানে ট্রায়াম্ফ তাদের বাইকে লিকুইড কুল্ড ইঞ্জিন অফার করেছে। যা অনেক বেশি আধুনিক। উভয় মোটরসাইকেলের টর্ক সমান হলেও পাওয়ার আউটপুটের দিক থেকে হার্লের মডেলটি অনেকটাই পিছিয়ে।