জরিমানার ভয়ে গাড়ি বের করছেন না? স্বস্তি দিয়ে বকেয়া পথ করে ছাড়ের সিদ্ধান্ত রাজ্যে
গাড়ির বকেয়া কর আদায়ে বড়সড় সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য পরিবহণ মন্ত্রক। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পথকর জমা দিলে মিলবে আকর্ষণীয়...গাড়ির বকেয়া কর আদায়ে বড়সড় সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য পরিবহণ মন্ত্রক। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পথকর জমা দিলে মিলবে আকর্ষণীয় ছাড়। এমনটাই ঘোষণা করে সরকারিভাবে ইতিমধ্যেই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। গাড়ি মালিকদের মধ্যে কর ফাঁকি দেওয়ার প্রবণতা দীর্ঘদিন ধরেই চলে আসছে। আবার জরিমানার ভয়ে অনেকে গাড়ি বের করতে পারছেন না। সবার কথা ভেবেই জরিমানা আদায় করে কোষাগার ভরার উদ্যোগ নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। আগামী ১লা জানুয়ারি থেকেই কার্যকর হবে নতুন স্কিম।
নির্দেশিকা অনুযায়ী আগামী বছরের ১লা জানুয়ারি থেকে ২৯ শে ফেব্রুয়ারির মধ্যে পথকর জমা দিলে সবচেয়ে বেশি সুবিধা পাবেন গাড়ির মালিকরা। এক্ষেত্রে বকেয়া করের উপর লাগু হওয়া জরিমানার ১০০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সামগ্রিকভাবে রাজ্যজুড়ে চলা গাড়িগুলির থেকে সরকারি নিয়ম মোতাবেক বিভিন্ন রকম কর আদায় করে থাকে সেই রাজ্যের সরকার। পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য। বকেয়া কর অতি শীঘ্রই আদায় করতেই ডিসকাউন্টের উপরেই জোর দেওয়া হয়েছে এক্ষেত্রে।
নতুন নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে আগামী ১ থেকে ৩০ জানুয়ারির মধ্যে গাড়ির স্বাস্থ্য বিষয়ক শংসাপত্র এবং পারমিট পুনর্নবীকরণ করতে হলে একটি টাকাও জরিমানা দেওয়ার প্রয়োজন নেই। তবে ৩১ জানুয়ারি থেকে ২৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে পুনর্নবীকরণ করতে হলে অতিরিক্ত ২০ শতাংশ জরিমানা গুনতে হবে প্রত্যেককে।
রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশীষ চক্রবর্তী এই প্রসঙ্গে বলেন, "বেশিরভাগ গাড়ি যাতে কর দিয়ে বৈধভাবে চলাচল করে তা নিশ্চিত করতেই এই ছাড় দেওয়া হচ্ছে"। অর্থাৎ মন্ত্রীর কথা থেকেই বিপুল পরিমাণ পথকর বকেয়া থাকার খবরেই সিলমোহর পড়েছে।
পর্যবেক্ষক মহলের মতে রাজ্যের প্রায় ১২ লক্ষ গাড়ির পথকর সহ বিভিন্ন জরিমানা সবটাই বকেয়া হিসেবেই পড়ে রয়েছে। সবমিলিয়ে আনুমানিক প্রায় ৫,০০০ কোটি টাকার কাছাকাছি। ২০২৪ সাল পড়লেই এদেশে লোকসভা ভোটের দামামা বাজতে চলেছে। এমনিতেই মুখ্যমন্ত্রীর কথায় সরকারের কোষাগারের হাল 'ভাঁড়ে মা ভবানী'। লোকসভা ভোটের প্রাক্কালে বকেয়া কর আদায়ের ব্যাপারে আকর্ষণীয় ছাড় দিয়ে যতটা বেশি পরিমাণ অর্থ সরকারি কোষাগারে নিয়ে আসারই চেষ্টা করছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার।