Xiaomi মহা সংকটে, ইলেকট্রিক গাড়ি তৈরির অনুমতি দেয়নি চীন সরকার, তবে সমাধানসূত্র বেরোল
চীনের প্রসিদ্ধ স্মার্টফোন ব্র্যান্ড শাওমি (Xiaomi) এতোদিন মোবাইলের জগতে আলোড়ন সৃষ্টি করার পর এবারে তাদের পরিসর...চীনের প্রসিদ্ধ স্মার্টফোন ব্র্যান্ড শাওমি (Xiaomi) এতোদিন মোবাইলের জগতে আলোড়ন সৃষ্টি করার পর এবারে তাদের পরিসর বাড়াচ্ছে। সংস্থার লক্ষ্য এবারে ইলেকট্রিক গাড়ির দিকে। বিগত ক’মাস ধরেই গাড়ি তৈরি নিয়ে শাওমির নাম সংবাদ শিরোনামে এসেছে। এর আগে খবর এসেছিল, বৈদ্যুতিক গাড়ি উৎপাদনের জন্য শাওমিকে প্রয়োজনীয় লাইসেন্স দিতে বিভিন্ন কারণে বিলম্ব করছে চীন সরকার। এবারে সেই পথ পরিষ্কার করতে শাওমি নতুন ছক কষল। ব্লুমবার্গের রিপোর্ট অনুযায়ী, তারা বেজিংয়ের অটোমোটিভ গোষ্ঠী BAIC-র সাথে জোট বাঁধা পরিকল্পনা করছে। ফলে শাওমি নিজে না পারলেও ওই সংস্থাকে দিয়ে বৈদ্যুতিক গাড়ি ম্যানুফ্যাকচারিং করাতে পারবে।
চীনে ইদানিং কোনো মেইনস্ট্রিম গাড়ি কোম্পানির সাথে ইভি স্টার্টআপের জোটবদ্ধ হওয়া একটি সাধারণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ চীন প্রশাসন অত্যাধিক বিনিয়োগ নিয়ন্ত্ৰণ করার জন্য নতুন ইভি নির্মাতাদের ম্যানুফ্যাকচারিং লাইসেন্স প্রদান সীমিত করে দিয়েছে। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, চীনা ইভি প্রস্তুতকারী Nio রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা Jianghuai Automobile Group (JAC)-এর সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে।
চুক্তির শর্ত অনুযায়ী Nio-র ইলেকট্রিক গাড়ির উৎপাদন এবং উন্নয়নের দায়িত্ব সামলাবে JAC। প্রাথমিক পর্যায়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল সেগুলি জেএসির-এর নেমপ্লেস সহ বাজারে আসবে। পরবর্তীতে অবশ্য অধিক অর্থের বিনিময়ে সেই পথ থেকে সরে আসা হয়। এদিকে এখন Xiaomi ও BAIC যৌথভাবে একাধিক বিকল্প নিয়ে পর্যালোচনা করছে। যার মধ্যে শাওমি বেজিংয়ে Hyundai-এর দ্বিতীয় কারখানার শেয়ার কিনেছে। যাদের চীনে গাড়ি তৈরির লাইসেন্স রয়েছে।
রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, বেজিং অটোমেটিভের ইভি ব্র্যান্ড BAIC BluePark New Energy Technology Co ও সহকারী ব্র্যান্ড Xiaomi যৌথভাবে বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরিতে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করবে। যদিও এই প্রসঙ্গে উভয় সংস্থাই কোনো মন্তব্য করতে নারাজ। BAIC-র ইভি শাখার এক আধিকারিক রয়টার্সকে বলেছেন, তিনি Xiaomi ও BAIC-এর মধ্যে এই নিয়ে চুক্তি হওয়ার বিষয়ে অজ্ঞাত। আবার, সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খোলার অনুমতি নেই বলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।