Xiaomi Electric Car: 2024 সালেই প্রথম মডেল, বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরির ছাড়পত্র পেয়ে স্বস্তিতে শাওমি

চীনের বিখ্যাত স্মার্টফোন নির্মাতা শাওমি (Xiaomi) দীর্ঘদিন ধরে বাজারে নিজেদের তৈরি ইলেকট্রিক গাড়ি আনার প্রস্তুতি চালাচ্ছে। বারে সে পথে এক ধাপ এগিয়ে গেল তারা। রয়টার্স…

চীনের বিখ্যাত স্মার্টফোন নির্মাতা শাওমি (Xiaomi) দীর্ঘদিন ধরে বাজারে নিজেদের তৈরি ইলেকট্রিক গাড়ি আনার প্রস্তুতি চালাচ্ছে। বারে সে পথে এক ধাপ এগিয়ে গেল তারা। রয়টার্স সূত্রে দাবি করা হয়েছে, দেশের ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ও রিফর্ম কমিশন বা NDRC-এর থেকে ছাড়পত্র হাতে পেল সংস্থাটি। এতে আগামী বছর থেকে গণহারে ইলেকট্রিক গাড়ি নির্মাণের পথে আরও একধাপ এগিয়ে গেল শাওমি।

Xiaomi ইলেকট্রিক গাড়ি নির্মাণের জন্য NDRC-এর থেকে ছাড়পত্র পেল

যদিও এখনও পর্যন্ত শিল্প ও তথ্য মন্ত্রকের থেকে অনুমতিপত্র হাতে পাওয়া বাকি রয়েছে বলে জানিয়েছে স্মার্টফোন কোম্পানিটি। গাড়ি নির্মাণ শুরু করার ক্ষেত্রে যা অত্যাবশ্যক। ইতিমধ্যেই শাওমি তাদের তৈরি প্রথম ইলেকট্রিক গাড়ি Modena-এর ঝলক দেখিয়েছে। যার অন্তর্বর্তী কোডনেম MS11। এই ব্যাটারিচালিত সেডান মডেলটি Tesla Model S-এর থেকেও সস্তা হবে বলে জল্পনা শোনা যাচ্ছে।

বিশ্বের বৈদ্যুতিক গাড়ির বাজারে যখন দাম কম রাখার ক্ষেত্রে কোম্পানিগুলির মধ্যে রেষারেষির মাত্রা তীব্র আকার ধারণ করেছে, এমতাবস্থায় সংশ্লিষ্ট বাজারে শাওমির পদার্পণ কতটা প্রভাব ফেলতে পারে, তাই দেখার। এদিকে শাওমির মতো Apple ও Sony-ও ইলেকট্রিক গাড়ির দুনিয়ায় পা রাখার তাগিদ দেখাচ্ছে। দ্বিতীয় কোম্পানিটি ইতিমধ্যেই নিজেদের একটি ইলেকট্রিক গাড়ির প্রোটোটাইপ মডেল প্রদর্শন করেছে। যা Honda-এর সাথে যৌথভাবে নির্মিত।

শাওমি ইলেকট্রিক গাড়ি তৈরির জন্য দশ বছর ধরে ১০০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করার কথা জানিয়েছে। ২০২৪ এর প্রথমার্ধেই সংস্থাটি তাদের গাড়ি বাজারে আনার পরিকল্পনা করছে। সরকারের তরফে সায় পাওয়া গেলেই বেজিংয়ের কারখানায় ইলেকট্রিক মডেলটির উৎপাদন কার্যে হাত লাগাবে শাওমি। যার বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা ২,০০,০০০ ইউনিট।

প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, শাওমি ২০২৪-এ ১ লাখ ইলেকট্রিক গাড়ি প্রোডাকশনের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে। যে কারণে গত সপ্তাহ থেকে আরও কর্মীর নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করেছে তারা। ডিসেম্বর থেকেই উৎপাদন প্রস্তুতি চালু হবে। জানা গেছে, চীনে নিজেদের ১,০০০ বেশি স্টোর আসন্ন ইলেকট্রিক গাড়ির শোরম হিসাবে ব্যবহারের পরিকল্পনা করছে শাওমি।