ভারতবাসীর জন্য চমক Yamaha-র, দেশের জন্য বিশেষ ভাবে ই-স্কুটার বানাচ্ছে, ভারত থেকে রপ্তানি করবে বিশ্বের নানা দেশে

জীবাশ্ম জ্বালানির যানবাহনের তুলনায় বৈদ্যুতিক গাড়ির পাল্লা যে এক সময় ভারি হবে, তার ইঙ্গিত বেশ ভালোই মিলছে।...
SUMAN 8 Jun 2022 4:39 PM IST

জীবাশ্ম জ্বালানির যানবাহনের তুলনায় বৈদ্যুতিক গাড়ির পাল্লা যে এক সময় ভারি হবে, তার ইঙ্গিত বেশ ভালোই মিলছে। স্টার্টআপগুলির পাশাপাশি নামজাদা মেইনস্ট্রিম সংস্থাগুলিকেও ব্যাটারি চালিত যানবাহন বাজারে আনার দৌড়ে শামিল হতে দেখা যাচ্ছে। এবারে জাপানি টু-হুইলার সংস্থা ইয়ামাহা (Yamaha) ভারতের জন্য ইলেকট্রিক স্কুটার তৈরিতে হাত লাগিয়েছে বলে জানা গেছে। যেটি আগামী দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে বাজারে হাজির করা হতে পারে।

ভারতে যানবাহনে বিদ্যুতায়নের ত্বরান্বিত গতি বিস্মিত করেছে সংস্থাটিকে। যে কারণে ইয়ামাহা ভারতীয় শাখার (Yamaha Motor India) চেয়ারম্যান ইশিন চিহানা বলেন, “এটি ক্রমশ এগিয়ে চলেছে”। খুব শীঘ্রই ভারত বৈদ্যুতিক স্কুটারের একটি রপ্তানি তালুক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে বলেই তাঁর ধারনা। যেখান থেকে ইউরোপ সহ বিশ্বের অন্যান্য দেশে টু-হুইলার রপ্তানি করা হবে।

চিহানার বক্তব্য, “জ্বালানি তেলের দাম ক্রমশ চড়া ও স্কুটারের কম মাইলেজের কারণে এক্ষেত্রে বিদ্যুতায়নের উপর ভরসা আরও বেশি পরিমাণে ঘটবে।” তিনি জানান, বর্তমানে ইলেকট্রিক স্কুটারের একটি নমুনা মডেল তৈরি করছে তাদের সংস্থা। যার দায়িত্বে রয়েছে চেন্নাইয়ে সংস্থার গবেষণা ও উন্নয়ন দল। সংস্থার অনুমান তাদের ইলেকট্রিক স্কুটারটি একটি ১১০-১২৫ সিসি পেট্রোল স্কুটারের সমান ক্ষমতার হবে। রেঞ্জ হতে পারে ৫০-৬০ কিমি। বলার অপেক্ষা রাখে না, যেখানে গ্রাহকরা বেশি রেঞ্জের দিকে আকৃষ্ট হচ্ছেন, সে ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ চার্জে ৬০ কিমি পথ অতিক্রম করার ক্ষমতা, অনেকের কাছে নিতান্তই কম বলে বিচার্য হতে পারে।

এ প্রসঙ্গে চিহানার সাফাই, “আমাদের চালানো পরীক্ষা অনুযায়ী শহরে একজন গ্রাহক প্রতিদিন ৩০-৩৫ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে। তাই আমাদের স্কুটার প্রতিদিন চলাচলের উপযোগী হবে।” তাঁর কথায়, বর্তমানে বাজারচলতি ইলেকট্রিক মডেলগুলি ইউরোপের বাজারে গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠেছে। ভারতীয় সংস্করণে নিজস্ব ব্যাটারি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম দেওয়া হবে এবং দেশীয় জলবায়ুর সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়ার উপযোগী করে গড়ে তোলা হবে।

এই মাসেই সংস্থাটি তাদের একটি নিও স্কুটার ইউরোপের বাজারে লঞ্চ করবে। যার ভারতীয় ভার্সনটির এখনও তৈরির কাজ চলছে। “আগামীতে ভারত ইয়ামাহার জন্য একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ রপ্তানি ক্ষেত্র হয়ে উঠবে। ভারতের গাড়ির ইকোসিস্টেম প্রযুক্তির ওপর ভর করে দ্রুত এগিয়ে চলেছে”, বলে জানান চিহানা। প্রসঙ্গত, গত অর্থবছরে ভারতের গাড়ির বাজারে ৩.৫৩% মার্কেট শেয়ার ধরে রাখতে পেরেছিল সংস্থাটি। আগামী তিন থেকে চার বছরের মধ্যে এটি দ্বিগুণ করার লক্ষ্য স্থির করেছে ইয়ামাহার ভারতীয় শাখা।

Show Full Article
Next Story