Yamaha: এলইডি-র যুগ শেষ! বাইকে এবার আলো জ্বালাবে ইয়ামাহার লেজার লাইট প্রযুক্তি

বিজ্ঞানের অগ্রগতির সুবাদে প্রতিনিয়ত আমরা এগিয়ে চলেছি উন্নতির দিকে। কালকের তুলনায় আজকের প্রযুক্তিবিদ্যা কয়েক কদম হলেও এগিয়ে। বাইক কিংবা গাড়ির জগতেও সময়ের সাথে এসেছে নানা…

বিজ্ঞানের অগ্রগতির সুবাদে প্রতিনিয়ত আমরা এগিয়ে চলেছি উন্নতির দিকে। কালকের তুলনায় আজকের প্রযুক্তিবিদ্যা কয়েক কদম হলেও এগিয়ে। বাইক কিংবা গাড়ির জগতেও সময়ের সাথে এসেছে নানা পরিবর্তন। বিগত কয়েক বছর ধরেই বিলাসবহুল গাড়িতে ব্যবহার করা হচ্ছে লেজার লাইটিং প্রযুক্তি। এই টেকনোলজি কিন্তু দু’চাকা গাড়ি বা মোটরসাইকেলের জন্য একেবারে নতুন। মূলত খরচ এবং অন্যান্য প্রযুক্তিগত সমস্যা থাকার কারণে বাইকে আজও এলইডি লাইটের ব্যবহার সর্বত্র। এবার এই ভাবনাকেই ভাঙতে চলেছে জাপানের নামকরা টু-হুইলার নির্মাতা ইয়ামাহা (Yamaha)।

ইয়ামাহা আনছে সিঙ্গেল লেজার প্রযুক্তি

আগামীতে বাইক কিংবা স্কুটারে এই লেজার লাইটিং প্রযুক্তি নিয়ে আসতে উঠে পড়ে লেগেছে ইয়ামাহা। মোটরসাইকেলের ঠিক মাঝামাঝি বরাবর সিঙ্গেল লেজারের সঙ্গে অন্যান্য যন্ত্রাংশ ফাইবার অপটিক কেবিলের মাধ্যমে সংযুক্ত থাকবে। ইয়ামাহার দাবি, এর ফলে কেবলমাত্র যে লেজার লাইটিং প্রযুক্তি ব্যবহারের খরচ বাঁচবে তাই নয় তার পাশাপাশি কম্প্যাক্ট ডিজাইন হওয়ার কারণে বাইকের ওজন বেশ খানিকটা কমানো সম্ভব হবে।

সংস্থার দাখিল করা পেটেন্ট অনুযায়ী, সেই ডিজাইনে মোটরসাইকেলের সিট কিংবা স্কুটারের পাদানির নিচের অংশ দিয়ে চলাচল করবে লেজার রশ্মি। এরপর ফাইবার অপটিক কেবলের মাধ্যমে এই লেজারের আলো পৌঁছে যাবে হেডলাইট, টেল লাইট, লাইসেন্স প্লেট ল্যাম্প, টার্ন ইন্ডিকেটর এবং ইন্সট্রুমেন্ট প্যানেলের লাইটের দিকে। চিরাচরিত লেজার প্রযুক্তির থেকে খানিকটা ভিন্ন পথে হেঁটে নতুন নকশার পেটেন্ট নিয়েছে ইয়ামাহা। এতে আনুষঙ্গিক খরচ অনেকটাই কমবে। এমনকি এই প্রযুক্তির জটিলতাও বেশ সরল হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

একটা সময় বাইক বা গাড়িতে হ্যালোজেন হেডল্যাম্প ব্যবহার করা হলেও সাম্প্রতিককালে এলইডি লাইটের ব্যবহারই বেশি। তবে এর থেকেও অনেক বেশি উজ্জ্বলতার সাথে জ্বলতে সক্ষম লেজার হেডলাইট। এর শক্তি সাশ্রয়ের ক্ষমতা যেমন বেশি, তেমনই আলোর ফোকাস অনেক উন্নত। ইয়ামাহার এই বিশেষ ডিজাইন গাড়িতে ব্যবহৃত লেজার এবং এলইডি এই দুই ধরনের প্রযুক্তির সংমিশ্রণে তৈরি করা হচ্ছে। এই ব্যবস্থাপনায় যখন লো বিম লাইট ব্যবহার করা হবে তখন এলইডির মাধ্যমেই তা তৈরি হবে। এরপর যখন গাড়ির গতি বৃদ্ধি পাবে সেই মুহূর্তে লেজার চালু হয়ে রাস্তা আরো বেশি পরিষ্কার হয়ে উঠবে। লেজারের মাধ্যমে নীল রঙের আলো তৈরি হলেও তা আয়নায় প্রতিফলিত হবে এবং তার সাথেই হলুদ রংয়ের এক আস্তরণে সংমিশ্রণ ঘটে উজ্জ্বল সাদা রঙের আলো রাস্তায় গিয়ে পড়বে।

এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখা ভালো ইয়ামাহার এই সিঙ্গেল লেজার প্রযুক্তি বাইকের দুনিয়ায় প্রথম হলেও ইতিমধ্যেই লেজার প্রযুক্তি নেওয়ার পেটেন্ট দাখিল করেছে জাপানের আরো এক নামকরা বাইক নির্মাতা হোন্ডা (Honda)। যদিও হোন্ডার পরিকল্পনায় থাকছে দুটি লেজারের ব্যবহার- একটি হাই বিমের জন্য আর অন্যটি লো বিমের। ইয়ামাহার তৈরি সিঙ্গেল লেজার প্রযুক্তি ওজন এবং চেহারায় ছোট হওয়ার সাথেই অর্থ সাশ্রয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এই মুহূর্তে দুই চাকার জগতে পকেট সাশ্রয়ী এলইডি প্রযুক্তি রমরমিয়ে চললেও আগামী দিনে ইয়ামাহার লেজার টেকনোলজি অবশ্যই এক নতুন সম্ভাবনার জন্ম দেবে।