Yamaha R3 লঞ্চ হলে KTM RC390 চাপে পড়বে? পাওয়ার-ফিচারে কে এগিয়ে নিজেই দেখে নিন

জাপানের প্রসিদ্ধ টু-হুইলার ব্র্যান্ড ইয়ামাহা (Yamaha) ভারতে যে একাধিক প্রিমিয়াম মোটরসাইকেল লঞ্চ করতে চলেছে, সেকথা আর গোপন নেই। যার মধ্যে একটি হল স্ট্রিট নেকেড MT-03…

জাপানের প্রসিদ্ধ টু-হুইলার ব্র্যান্ড ইয়ামাহা (Yamaha) ভারতে যে একাধিক প্রিমিয়াম মোটরসাইকেল লঞ্চ করতে চলেছে, সেকথা আর গোপন নেই। যার মধ্যে একটি হল স্ট্রিট নেকেড MT-03 এবং ফুল-ফেয়ার্ড R3। প্রথমটি KTM 390 Duke এবং দ্বিতীয়টি KTM RC390-এর সাথে প্রতিযোগিতা করবে। এই প্রতিবেদনে ফুল-ফেয়ার্ড স্পোর্টস বাইক সেগমেন্টের দুই প্রতিযোগী Yamaha R3 ও KTM RC390-এর তুলনাস্বরূপ আলোচনা করা হল।

Yamaha R3 vs KTM RC390 : প্ল্যাটফর্ম এবং ডিজাইন

ওজনে হালকা রাখতে ইয়ামাহা আর৩ মোটরসাইকেলটি দৃঢ় অথচ হালকা টিনসেন স্টিলের ওপর ভিত্তি করে আসবে। এটি YZF রেঞ্জের ফুল-ফেয়ারিং সদস্যদের থেকে অনুপ্রাণিত। এতে ক্লিপ-অন বার, রিয়ার সেট ফুটপেগ, এবং একটি সেন্ট্রাল এয়ার ডাক্টের সাথে আসবে। যা বাইকটিকে আগ্রাসী ও স্পোর্টি লুক দিয়েছে।

অন্যদিকে KTM RC390 মডেলটিও হালকা ওজনের স্প্লিট ট্রেলিস ফ্রেমের উপর ভর করে ছোটে। যা 390 Duke-এও বর্তমান। RC390 ফুল-ফেয়ারিংয়ের সাথে পেয়েছে একটি বৃহৎ এলইডি হেডলাইট, ক্লিপ-অন বার। এটি MotoGP বাইক থেকে স্টাইলিং ধার করেছে।

Yamaha R3 vs KTM RC390 : যন্ত্রাংশ এবং ফিচার্স

উভয় মোটরসাইকেলেই উক্ত সেগমেন্টের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম রয়েছে। যেমন R3-তে দেওয়া হয়েছে ৩৭ মিমি KYB ইনভার্টেড ফ্রন্ট ফর্ক, সামনে একটি ২৯৮ মিমি এবং পেছনে ২২০ মিমি ডিস্ক ব্রেক, ডুয়েল চ্যানেল এবিএস, অ্যাডজাস্টেবল রিয়ার মোনোশক, এবং এলসিডি ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টার।

যেখানে KTM RC390-এর সামনে উপস্থিত ৪৩ মিমি WP Apex USD ইউনিট, এবং পেছনে ফুল অ্যাডজাস্টেবল WP সাসপেনশন। এছাড়া রয়েছে একটি সিঙ্গেল ৩২০ মিমি ফ্রন্ট ডিস্ক এবং ক্যালিপার সহ একটি ডুয়েল চ্যানেল এবিএস। আবার ট্রাকশন কন্ট্রোল, কর্নারিং এবিএস, একটি কুইক শিফ্টার, একাধিক তথ্যসহ বৃহৎ টিএফটি ডিসপ্লে উপস্থিত এতে। দুটি বাইকের মধ্যে RC390-এর ফিচারের সংখ্যা বেশি।

Yamaha R3 vs KTM RC390 : ইঞ্জিন স্পেসিফিকেশন

Yamaha R3 একটি প্যারালাল টুইন ইঞ্জিন সেটআপ সমেত আসবে। যেখানে KTM-এ রয়েছে একটি সিঙ্গেল সিলিন্ডার ইউনিট। উভয় মোটরই লিকুইড কুল্ড। যা রাস্তায় সর্বোচ্চ কার্যকারিতা প্রদর্শনের সক্ষমতা রাখে।

R3-তে দেওয়া হয়েছে একটি ৩২১ সিসি প্যারালাল টুইন ইঞ্জিন। যা থেকে সর্বোচ্চ ৪১.৪ বিএইচপি এবং ২৯.৬ এনএম টর্ক উৎপন্ন হবে। ইঞ্জিনের সাথে সংযুক্ত ৬-স্পিড গিয়ারবক্স। যেখানে RC390-তে উপস্থিত একটি ৩৭৩ সিসি ইঞ্জিন। এটি থেকে ৪২.৯ বিএইচপি শক্তি এবং ৩৭ এনএম টর্ক পাওয়া যায়। এরও ইঞ্জিনে ৬-স্পিড ট্রান্সমিশন উপলব্ধ।

Yamaha R3 নাকি KTM RC390 : কোন বাইকটি কেনা বুদ্ধিমানের কাজ

KTM RC390 বেশ কয়েক বছর ধরে বাজারে নিজের যোগ্যতার প্রমাণ দিয়ে এসেছে। যেখানে Yamaha R3 এর মেয়াদ ভারতে খুব অল্প ছিল। এর দাম এখনও ঘোষণা করা হয়নি। উপরে উক্ত আলোচনা থেকে বলা যায় KTM RC390 কেনাই যথোপযুক্ত বলে মনে করা হচ্ছে। এতে যেমন ফিচার বেশি আবার ইঞ্জিনের ক্ষমতাও অধিক।