Ratan Tata: 'সাফল্যই সেরা প্রতিশোধ', নিজের জীবনের মাধ্যমে প্রমাণ করেছিলেন রতন টাটা
গতকাল রতন টাটার (Ratan Tata) মৃত্যুর সঙ্গে ভারতীয় শিল্পজগতে একটা যুগের অবসান ঘটেছে। বুধবার মুম্বইয়ের এক হাসপাতালে শেষ...গতকাল রতন টাটার (Ratan Tata) মৃত্যুর সঙ্গে ভারতীয় শিল্পজগতে একটা যুগের অবসান ঘটেছে। বুধবার মুম্বইয়ের এক হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে শিল্পপতির বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর। তাঁর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ গোটা দেশ৷ আর তা হবে না কেন? অজস্র হিতকর কাজে যুক্ত ছিলেন তিনি। কোটি কোটি টাকা দান করেছন সমাজকল্যাণে। ব্যবসার দিক থেকেও তাঁর হাত ধরে সাফল্যের শিখরে উঠেছে টাটা গোষ্ঠী।
রতন টাটার কর্মজীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হল মার্কিন বহুজাতিক সংস্থা ফোর্ডের (Ford) কাছ থেকে জাগুয়ার (Jaguar) ও ল্যান্ড রোভার (Land Rover) ব্র্যান্ড অধিগ্রহণ করা। তবে স্রেফ ব্যবসায়িক স্বার্থ নয়। এই ঘটনার পিছনে লুকিয়ে ছিল অপমানের বদলা নেওয়ার সংকল্প। ১৯৯৮ সালে রতন টাটা বাজারে আনেন টাটা ইন্ডিকা (Tata Indica)। সেটি ছিল ভারতের প্রথম ডিজেল চালিত যাত্রী গাড়ি।
গাড়িটি ক্রেতাদের মনে দাগ কাটতে ব্যর্থ হয়। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয় যে টাটা তাদের গাড়ি ব্যবসা কিনে নেওয়ার জন্য ফোর্ডকে প্রস্তাব দেয়। বিক্রি নিয়ে চূড়ান্ত কথাবার্তা বলতে ১৯৯৯-এ রতন টাটা সঙ্গে কয়েকজন প্রতিনিধি নিয়ে ডেট্রয়েট আসেন। শোনা যায়, তাদেরকে সেখানে রীতিমতো অপদস্থ করা হয়। রতন টাটাকে বলা হয়, "গাড়ি সম্পর্কে কিছু না জানলে ব্যবসাতেই থাকা উচিত নয়। গাড়ি ব্যবসা কিনে ফোর্ড কার্যত দয়া করবে টাটাকে।"
ফোর্ডকে ভুল প্রমাণ করে গাড়ি ব্যবসা নতুন করে দাঁড় করানোর সংকল্প নিয়ে ফের ভারতে চলে আসেন টাটা। বাকিটা ইতিহাস। ২০০৮ সালে বিশ্বজুড়ে মন্দার কারণে দেউলিয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয় ফোর্ডের। সেই সময় মার্কিন সংস্থাটির ত্রাতা হয়ে এগিয়ে আসেন রতন টাটা। ২.৩ বিলিয়ন ডলারের সম্পূর্ণ ক্যাশ ডিলে ফোর্ডের কাছ থেকে কিনে নেন জাগুয়ার ও ল্যান্ড রোভার ব্র্যান্ডকে। রতন টাটা নিজের কাজের মাধ্যমে প্রমাণ করেছিলেন, 'সাফল্যই হল সেরা প্রতিশোধ।'