গ্রামে প্রতি মাসে ১ লাখ নতুন গ্রাহক পাচ্ছে BSNL, সুখবর দিল কেন্দ্র

এক সময় দেশের ঘরে ঘরে ফোনে যোগাযোগের জন্য সবচেয়ে বেশি ভরসার নাম ছিল BSNL, কিন্তু বিগত কয়েক বছরে প্রাইভেট কোম্পানিগুলির থেকে অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছে এই…

এক সময় দেশের ঘরে ঘরে ফোনে যোগাযোগের জন্য সবচেয়ে বেশি ভরসার নাম ছিল BSNL, কিন্তু বিগত কয়েক বছরে প্রাইভেট কোম্পানিগুলির থেকে অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছে এই রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম সংস্থা। যেখানে Jio, Airtel-এর মত কোম্পানিগুলি অতিসম্প্রতি 5G নেটওয়ার্ক চালু করেছে, সেখানে ভারত সঞ্চার নিগম লিমিটেড (মানে BSNL) এখনও পর্যন্ত 4G-ই চালু করে উঠতে পারেনি। তাছাড়াও এই সংস্থার পরিষেবা নিয়ে গ্রাহকদের মধ্যে নানা অভিযোগের শেষ নেই বললেই চলে। তবে সাম্প্রতিক মাসগুলিতে BSNL অনেকটাই ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। সরকারি সাহায্য কাজে লাগিয়ে তারা একদিকে যেমন নিজের ব্যবসায়িক পরিকাঠামো ঢেলে সাজানোর চেষ্টা করছে, তেমনই সস্তায় রিচার্জ প্ল্যান সরবরাহ করে গ্রাহকদের আকর্ষিত করারও কোনো কসুর রাখছেনা। শুধু তাই নয়, সরকারের তরফে সম্প্রতি জানানো হয়েছে যে, BSNL, এখন গ্রামীণ এলাকায় প্রতি মাসে ১ লক্ষ সংযোগ যোগ করতে সক্ষম হয়েছে। সোজা কথায় বললে, সংস্থার পরিস্থিতি আস্তে আস্তে অনেকটাই স্বাভাবিক হচ্ছে।

বাড়ছে BSNL-এর কানেকশনের বিস্তৃতি এবং ডেটা খরচ

সম্প্রতি ভারতের কেন্দ্রীয় টেলিকম মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব সংসদে বলেছেন যে, বিএসএনএল এখন প্রতি মাসে ১ লক্ষেরও বেশি ফ্যামিলি কানেকশন নিজের নেটওয়ার্কের সাথে যুক্ত করছে। আর এই কানেকশনগুলিতে মাসিক ডেটা খরচের পরিমাণ ১২০ জিবি পর্যন্ত ছুঁয়েছে বলে তিনি দাবি করেছেন। শুধু তাই নয়, বৈষ্ণব নিশ্চিত করেছেন যে খুব শীঘ্রই এই টেলিকম সংস্থাটি তাদের বহু প্রতীক্ষিত ৪জি নেটওয়ার্ক পরিষেবাও চালু করবে।

টেলিকম মন্ত্রীর মতে, সরকার, গ্রামগুলিতে অর্থনীতির বৃদ্ধির জন্য যথাযথ পরিকাঠামো গড়ে তুলতে সচেষ্ট হয়েছে। এক্ষেত্রে একটি নতুন মডেলকে কাজে লাগানো হচ্ছে, যা খুব দ্রুত এগিয়ে চলেছে। আর আগামী মাসগুলিতে সরকারি এই প্রচেষ্টা এবং বিএসএনএলের কাজের ফলাফল দেখা যাবে বলে নিশ্চিত বৈষ্ণব।

আগে গ্রামে চালু হবে BSNL 4G সার্ভিস?

টেলিকম সেক্রেটারি কে রাজারামন এই প্রসঙ্গে বলেছেন যে, বিএসএনএল, টিসিএস (TCS) বা টাটা কনসাল্টেন্সির নেতৃত্বাধীন কনসোর্টিয়ামের সহায়তায় আর কয়েকদিনের মধ্যেই ৪জি চালু করবে। তবে সমগ্র দেশকে বিএসএনএল ৪জি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে কভার করতে সম্ভবত সংস্থার ১৮ থেকে ২৪ মাস সময় লাগবে। এক্ষেত্রে সংস্থাটি তার ৪জি পরিষেবার মাধ্যমে দেশের সেইসব গ্রামগুলিতে পৌঁছানোর চেষ্টা করবে যেখানে উচ্চ-গতির ব্রডব্যান্ড অ্যাক্সেস নেই। অন্যদিকে ৪জি চালু করার পরবর্তী ৬-৭ মাসের মধ্যে তারা ৫জিও চালু করবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।