Jio, Airtel বা Vi এর নতুন সিম নিতে আর ফর্ম পূরণ করতে হবে না, নতুন নিয়ম আনল DoT

ভারতের টেলিকমিউনিকেশন বিভাগ (DoT) ‘মোবাইল ইউজার এনরোলমেন্ট’ সিস্টেমে পরিবর্তন নিয়ে আসার ঘোষণা করলো। জানা গেছে, ২০২৪ সালের ১লা জানুয়ারি থেকে কাগজ-ভিত্তিক কেওয়াইসি বা ‘নো ইয়োর…

ভারতের টেলিকমিউনিকেশন বিভাগ (DoT) ‘মোবাইল ইউজার এনরোলমেন্ট’ সিস্টেমে পরিবর্তন নিয়ে আসার ঘোষণা করলো। জানা গেছে, ২০২৪ সালের ১লা জানুয়ারি থেকে কাগজ-ভিত্তিক কেওয়াইসি বা ‘নো ইয়োর কাস্টমার’ ভ্যারিফিকেশন প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেওয়া হবে। আকস্মিক এরূপ পরিবর্তন নিয়ে আসার কারণ হিসাবে, টেলিকম সংস্থাগুলির খরচ কমানো এবং সিম জালিয়াতির থেকে দেশবাসীকে রক্ষা করার কথা বলা হয়েছে। দেশের শীর্ষস্থানীয় তিনটি টেলিকম অপারেটর – এয়ারটেল (Airtel), রিলায়েন্স জিও (Reliance Jio) এবং ভোডাফোন-আইডিয়া (Vodafone-Idea), DoT -এর এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে।

জানিয়ে রাখি, বর্তমান মোবাইল ইউজার এনরোলমেন্ট প্রক্রিয়ার জন্য কাগজের ফর্ম পূরণ করার পাশাপাশি বাধ্যতামূলকভাবে ছবি সংযুক্ত করা, আইডেন্টিটি ও অ্যাড্রেস প্রুফের আসল কপি জমা দিতো হয়৷ DoT -এর নয়া পদক্ষেপের দরুন, এই পুরো কাগজ-ভিত্তিক ভ্যারিফিকেশন প্রক্রিয়াটি ডিজিটালাইজ হয়ে যাবে। অর্থাৎ ডিজিটাল কেওয়াইসি প্রক্রিয়া চালু করা হবে।

এই বিষয়ে DoT একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে – “বর্তমানের কেওয়াইসি কাঠামোতে সময়ে সময়ে করা বিভিন্ন সংশোধনী/পরিবর্তন বিবেচনা করে, এটা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে কাগজ-ভিত্তিক কেওয়াইসি প্রক্রিয়ার ব্যবহার, (০৯.০৮.২০১২ চালু হয়েছিল) আগামী ০১.০১.২০২৪ থেকে বন্ধ করে দেওয়া হবে।”

DoT -এর ঘোষণায় খুশি Airtel, Reliance Jio এবং Vodafone-Idea

বিশেষজ্ঞদের দাবি, কাগজ-ভিত্তিক কেওয়াইসি বাতিল করা এবং পরিবর্তে মোবাইল ইউজার এনরোলমেন্ট প্রক্রিয়া সম্পূর্ণভাবে ডিজিটাল করার সিদ্ধান্ত টেলিকম সংস্থাগুলির জন্য লাভজনক প্রমাণিত হবে। কেননা এই পদক্ষেপের জন্য অপারেটরদের গ্রাহক অধিগ্রহণের খরচ (customer acquisition costs) উল্লেখযোগ্যভাবে কমার সম্ভাবনা আছে। যেকারণে এয়ারটেল, রিলায়েন্স জিও এবং ভোডাফোন-আইডিয়া সংস্থাগুলি যারপরনাই খুশি DoT -এর এই সিদ্ধান্তে।

সর্বোপরি, বর্তমানে অন্য ব্যক্তির পরিচিতি চুরি করে বা ভুয়ো তথ্য প্রদান করে সিম কার্ড কেনা এবং সেই সিম নম্বর ব্যবহার করে জালিয়াতির ঘটনা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, যা রোধ করা অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে। এই নয়া নিয়ম ভারত সরকারকে এইধরণের প্রতারণামূলক কার্যকলাপ রোধ করতে বিশেষ সাহায্য করবে বলে মনে করেছেন বিশেষজ্ঞরা।