প্রস্তুতি শুরু Reliance Jio, Airtel ও Vodafone Idea এর, ঘরে বসেই মিলবে নতুন কানেকশন

করোনা ভাইরাসের জেরে দেশজুড়ে লাগু হওয়া লকডাউনে বেকায়দায় টেলিকম কোম্পানিগুলি। মার্চ মাসে কোম্পানিগুলি নতুন গ্রাহক জোড়ার ক্ষেত্রে অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে দেশের শীর্ষ তিনটি…

করোনা ভাইরাসের জেরে দেশজুড়ে লাগু হওয়া লকডাউনে বেকায়দায় টেলিকম কোম্পানিগুলি। মার্চ মাসে কোম্পানিগুলি নতুন গ্রাহক জোড়ার ক্ষেত্রে অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে দেশের শীর্ষ তিনটি টেলিকম কোম্পানি নতুন গ্রাহক যুক্ত করতে একটি সুরক্ষিত ডিজিটাল প্রক্রিয়া তৈরির চেষ্টা করেছে। টেলিকম মার্কেটে গুঞ্জন ছড়িয়েছে যে, তিনটি টেলিকম সংস্থা- রিলায়েন্স জিও, এয়ারটেল, ভোডাফোন আইডিয়া ইলেক্ট্রনিক নো ইয়োর কাস্টমার (ই-কেওয়াইসি) এর ক্ষেত্রে নিজেদের মধ্যে একমত হওয়ার চেষ্টা করছে, যাতে গ্রাহকরা স্টোরে না এসেও নতুন কানেকশন নিতে পারে। এর পরে তারা এই প্রক্রিয়াটি লাগু করতে টেলিযোগাযোগ বিভাগ এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ে অনুমোদনের জন্য পাঠাবে।

তিনটি বেসরকারি টেলিকম কোম্পানির প্রতিনিধিত্বকারী সংস্থা সেলুলার অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া (সিওএআই) -এর ডিরেক্টর জেনারেল রাজন ম্যাথিউজ বলেছেন, “কোম্পানিগুলি নিশ্চিত যে লোকদের নতুন কানেকশন দরকার। তবে সারাদেশে প্রযোজ্য লকডাউনের কারণে তারা এতে প্রচুর অসুবিধার মুখোমুখি হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে টেলিকম কোম্পানিগুলি একসাথে কাজ করছে, যাতে গ্রাহকদের যখন প্রয়োজন হয় তখন একটি নতুন সিম কার্ড পাঠানো যায়।” যদি লকডাউন বাড়ানো হয় তবে টেলিকম কোম্পানিগুলি সরকারের কাছে অনুমোদন চাইবে যাতে তারা কুরিয়ারের মাধ্যমে সিম কার্ড গ্রাহকদের বাড়িতে পৌঁছে দিতে পারে।

আপনাকে জানিয়ে রাখি টেলিকম মার্কেট বিশ্লেষকদের অনুমান, রিলায়েন্স জিও, এয়ারটেল এবং ভোডাফোন-আইডিয়া এই বছরের মার্চে মাত্র পাঁচ লাখ নতুন গ্রাহক পেয়েছে। বেসরকারি কোম্পানি তিনটি সাধারণত প্রতি মাসে ৩০ লাখ গ্রাহক যুক্ত করতো। তবে দেশে করোনা ভাইরাসের কারণে কোম্পানিগুলির এই খারাপ ফল বলে মনে করছে টেলিকম মার্কেট বিশ্লেষকরা।

এপ্রিলে আরও খারাপ ফলের আশংকা :

তারা বলেছেন যে, মার্চে স্টোরগুলিতে গ্রাহকের সংখ্যা কম ছিল এবং মোবাইল নম্বর পোর্টেবিলিটি (এমএনপি) এর জন্য খুব কম অ্যাপ্লিকেশন পাওয়া গেছে। তারা আরও বলেছেন, এপ্রিল মাসে নতুন গ্রাহকদের সংখ্যা আরও কম হতে পারে। একজন সিনিয়র এগজিকিউটিভ জানিয়েছেন, “সাধারণত প্রতি মাসে গড়ে ২৫ থেকে ৩০ লাখ নতুন গ্রাহক যুক্ত হতে পারে বলে আশা করা হয়। তবে এই জরুরি অবস্থায় অপারেটররা মার্চ এবং এপ্রিল মাসে ৫ লক্ষ গ্রাহক যুক্ত করতেও অসুবিধার সম্মুখীন হতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *