Minecraft, Call of Duty সহ এই জনপ্রিয় গেমিং অ্যাপগুলি ডাউনলোড করলে সর্বনাশ, ভাইরাস আক্রান্ত হবে ডিভাইস

কথায় আছে, ‘দুর্জনের নেই ছলের অভাব’। অসাধু সাইবার-অপরাধী এবং হ্যাকারদের তৎপরতায়, লোকমুখে বহুশ্রুত উক্ত প্রবাদ বাক্যের সারবত্তা আরও একবার প্রমাণিত হল। আজ্ঞে হ্যাঁ, সম্প্রতি সাইবার-অপরাধী ও হ্যাকারেরা ফের, লোক ঠকানোর এমন এক পন্থা নিয়ে সামনে এসেছে যার বিষয়ে সাধারণ মানুষেরা, খুব একটা অবগত নন। এক্ষেত্রে হ্যাকারদের প্রধান নিশানা হচ্ছেন গেমিং-ভক্তেরা। জনপ্রিয় সব গেমের নাম ব্যবহারের দ্বারা লুব্ধ করে তাদের ডিভাইসে ক্ষতিকারক ম্যালওয়্যার প্রেরণ করছে এই সমস্ত ধূর্ত হ্যাকারেরা। এভাবে Minecraft -এর মতো গেমের টাইটেল ব্যবহার করেই ইউজারদের ডিভাইসে চারভাগের একভাগ (২৫ শতাংশ) ক্ষতিকর ম্যালওয়্যার প্রবিষ্ট করানো হয়েছে বলে গবেষকেরা আবিষ্কার করেছেন।

Minecraft ছাড়াও এই গেমগুলির মাধ্যমে ছড়ানো হচ্ছে ম্যালওয়্যার

মাইনক্রাফ্ট ছাড়া, যথাক্রমে ফিফা’র (Fifa) নাম ব্যবহার করে ১১ শতাংশ, রোবলক্সের (Roblox) নাম ব্যবহার করে ৯.৫ শতাংশ, ফার ক্রাইয়ের (Far Cry) নাম ব্যবহার করে ৯.৪ শতাংশ এবং কল অফ ডিউটির (Call of Duty) নাম ব্যবহার করে প্রায় ৯ শতাংশ ক্ষেত্রে ইউজারদের ডিভাইসে ম্যালওয়্যার প্রবিষ্ট করানো হয়েছে। তাছাড়া, Need for Speed, Grand Theft Auto, Valorant ও The Sims -এর মতো গেমের নাম ব্যবহার করেও ব্যবহারকারীদের ডিভাইসে ত্রুটিপূর্ণ ম্যালওয়্যার ফাইল পৌঁছে দিয়েছে, ধুরন্ধর হ্যাকারেরা।

লক্ষ লক্ষ ইউজারের ডিভাইসে ক্ষতিকারক ম্যালওয়্যার ফাইল ছড়িয়ে দিতে হ্যাকারেরা যে উপরোক্ত গেমগুলিকে নির্বাচন করেছে তার মুখ্য কারণ এদের ব্যাপক জনপ্রিয়তা। এদের বিপুল সংখ্যক ইউজার বেস থাকায় ম্যালওয়্যার ছড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে এরাই ধুরন্ধর হ্যাকারদের প্রধান পছন্দ। তাছাড়া ইন-গেম পারচেসের ব্যবস্থা থাকায় আর্থিক প্রতারণার জন্যও এরা আদর্শ। তাই লোক ঠকানোর উদ্দেশ্যে সাইবার-অপরাধীরা এই গেমগুলিকেই বেছে নিচ্ছে।

উল্লেখ্য, সিকিউরিটি সংস্থা ক্যাসপারস্কাই (Kaspersky) উপযুক্ত পরিসংখ্যান দিয়ে দেখিয়েছে যে, ইউজারদের আক্রান্তকারী ক্ষতিকর ফাইলগুলির মধ্যে অধিকাংশই (৮৮.৫ শতাংশ) ডাউনলোডার। সর্বোপরি অ্যাডওয়্যার, ট্রোজান প্রভৃতির মাধ্যমেও ইউজারেরা ব্যাপকভাবে আক্রান্ত হচ্ছেন।