Smartphone: ফিরছে পুরনো নিয়ম, স্মার্টফোন ব্যবহারের ক্ষেত্রে মস্ত বড় সুবিধা পাবেন গ্রাহকরা

ক’বছর আগেও মোবাইল ফোনে সহজে বদলানো যায় এমন ব্যাটারি দেখা যেত। তবে এখন বিভিন্ন স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিমুভেবল ব্যাটারির পরিবর্তে ইন-বিল্ট ব্যাটারিই ব্যবহার করছে। ফলে এখন ব্যবহারকারীরা প্রয়োজনে নিজে থেকে তাদের ফোনের ব্যাটারি পাল্টাতে পারেন না এবং তার জন্য কোম্পানির পরিষেবা কেন্দ্রের দ্বারস্থ হতে হয়। তবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (EU) কাউন্সিলের একটি নতুন আইন গ্রাহকদের আশার আলো দেখাতে শুরু করেছে। তারা রিপ্লেসেবল ফোন ব্যাটারি বাধ্যতামূলক করে নতুন নিয়মে অনুমোদন দিয়েছে। যা আইনে পরিণত হলে ব্যবহারকারীরা কোনও বিশেষ সরঞ্জাম বা জ্ঞান ছাড়াই সহজে ব্যাটারি রিপ্লেসমেন্ট করতে পারবেন।

পার্লামেন্ট এবং কাউন্সিল উভয় দ্বারা স্বাক্ষরিত হয়ে গেলে, নিয়মগুলি ইইউ-এর অফিসিয়াল জার্নালে প্রকাশের ২০ দিনের মধ্যে কার্যকর হবে। তারপর ২০২৭ সালের মধ্যে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশগুলিতে বিক্রি হওয়া সমস্ত ফোনে অবশ্যই এমন ব্যাটারি থাকতে হবে। তবে নির্মাতারা সময় চাইলে ডেডলাইন পিছিয়ে দেওয়া হতে পারে।

Apple দীর্ঘ মেয়াদে এই নতুন সিদ্ধান্ত থেকে উপকৃত হতে পারে

অ্যাপল (Apple) এবং অন্যান্য স্মার্টফোন কোম্পানিগুলি শুধুমাত্র ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলিতে পার্মানেন্ট ব্যাটারি বজায় রাখা চ্যালেঞ্জিং এবং ব্যয়বহুল বলে মনে করতে পারে। অ্যাপল ইতিমধ্যেই ইইউ-এর একটি আইনের অধীনে আইফোন থেকে চিরাচরিত লাইটনিং পোর্ট বাদ দিয়ে ইউএসবি-সি পোর্ট চালু করেছে, যা আঞ্চলিক নিয়মাবলীর সাথে মানিয়ে নেওয়ার ইঙ্গিত দেয়।

বদলযোগ্য ব্যাটারির প্রবর্তন গ্রাহকদের বিশেষ সুবিধা প্রদান করবে, কেননা তারা সম্পূর্ণভাবে চার্জ হওয়া ব্যাটারির সাথে চার্জ শেষ হয়ে যাওয়া ব্যাটারি পাল্টে নিতে পারবেন। এই বৈশিষ্ট্যটি অন্তর্ভুক্ত করার জন্য স্মার্টফোন নির্মাতাদের কাছে ২০২৭ সাল পর্যন্ত সময় আছে।

উল্লেখ্য, অ্যাপল এই নয়া নিয়মাবলীর জন্য রিপ্লেসমেন্ট এবং এক্সটেন্ডেড ব্যাটারির বিক্রি থেকে অর্থ উপার্জন করা সহ কিছু অপ্রত্যাশিত সুবিধা পেতে পারে। পোর্ট-লেস আইফোনের প্রতি মার্কিন সংস্থাটির ভিশনের সাথেও এটি সামঞ্জস্যপূর্ণ, কারণ ব্যবহারকারীরা সহজেই সম্পূর্ণ চার্জ করা ব্যাটারি অদলবদল করতে পারবেন, ফলে ফোনে আর চার্জ দেওয়ার প্রয়োজন পড়বে না। প্রতিস্থাপনযোগ্য ব্যাটারির দিকে ইইউ-এর পদক্ষেপ মোবাইল ফোন শিল্পকে নতুন আকার দেবে।