ইন্টারনেট চলছে শামুকের মত স্লো স্পিডে? সমস্যা এড়াতে কাজে লাগান এই ৮টি টিপস্

ইতিমধ্যেই দেশে 5G পরিষেবা চালু হয়েছে এবং প্রচুর মানুষ এই নতুন নেটওয়ার্কের মজা উপভোগ করতে পারছেন। কিন্তু একদিকে যেমন Jio, Airtel-এর মত কোম্পানি গোটা ভারতে পঞ্চম প্রজন্মের নেটওয়ার্ক পরিষেবা বিস্তার করার প্রস্তুতি নিচ্ছে, ঠিক তেমনি বেশিরভাগ মোবাইল ইউজারই আবার পুরোনো 3G এমনকি 4G কানেকশনও সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারছেননা। ফোন কলের ক্ষেত্রে খুব বেশি সমস্যা না হলেও, ইন্টারনেট স্পিড নিয়ে অভিযোগ করছেন অনেকেই। সেক্ষেত্রে নেটওয়ার্ক সমস্যার সম্মুখীন হলে সাধারণত অনেকে মোবাইল ডেটা অফ করে সেটি আবার চালু করেন; এতে দুর্বল কানেক্টিভিটির সমস্যা সাময়িকভাবে এড়ানো যায়। তবে আপনিও যদি এই ধরণের অস্বস্তিতে পড়েন এবং ডেটা অপশন অফ/অন করেও তার সুরাহা না হয়, তাহলে আপনার অত্যন্ত কাজে আসবে আমাদের আজকের কিছু টিপস্। হ্যাঁ, আজ আমরা এমন কিছু কথা বলব যার মাধ্যমে আপনি ইন্টারনেটের স্পিড সহজেই বাড়াতে পারবেন।

এইভাবে বাড়াতে পারবেন মোবাইল ইন্টারনেটের স্পিড

১. এয়ারপ্লেন মোড ব্যবহার: দুর্বল ইন্টারনেট সংযোগের ক্ষেত্রে মোবাইল ডেটার স্পিড বাড়ানোর সবচেয়ে সহজ উপায় হল এয়ারপ্লেন মোড ব্যবহার করা। এই অপশন চালু করে কয়েক সেকেন্ড পর বন্ধ করে দিলে, আপনার মোবাইল নেটওয়ার্ক দ্রুত রিসেট হবে এবং ইন্টারনেট কানেকশন স্পিড বাড়বে।

২. মোবাইল নেটওয়ার্ক অটোতে সেট করুন: মোবাইল ডেটা সেটিং, সিম এবং হ্যান্ডসেটের উপর ভিত্তি করে তিনটি বা তার কম নেটওয়ার্ক অপশন (2G, 3G এবং 4G) প্রদান করে। এক্ষেত্রে বেশি সুবিধা পেতে অনেকেই নেটওয়ার্ক টাইপ ম্যানুয়ালি সেট করে রাখেন, তবে যদি এই অপশন অটো (Auto)-তে সেট থাকে তাহলে এই সেটিং স্বয়ংক্রিয়ভাবে শনাক্ত করে সেরা নেটওয়ার্কে স্যুইচ করবে৷ এতে ডেটার গতি বাড়বে।

৩. ফোন রিস্টার্ট: ডিভাইস রিস্টার্ট, নেটওয়ার্কিং প্রোসেসসহ সমস্ত সিস্টেম প্রোসেস রিস্টার্ট করতে কাজ করে। এখন নেটওয়ার্ক-সম্পর্কিত সমস্যা এড়াতে অনেকেই এই কাজ করে থাকেন।

৪. সিম কার্ড পরিষ্কার করুন: অনেক সময় সিম কার্ডের পোর্টে ধুলো জমে যায়, যার ফলে ভালো কানেক্টিভিটি পাওয়া যায়না। তাই এই সমস্যা এড়াতে মাঝে মাঝে সিম, মোবাইল থেকে বের করে একটি কাপড় দিয়ে পরিষ্কার করুন।

৫. APN সেটিংস রিসেট: মোবাইল ডেটা/নেটওয়ার্ক সেটিংসে গিয়ে এই অপশনটিকে একটু সাজিয়ে গুছিয়ে নিলেও কিন্তু দুর্বল নেটওয়ার্কের ঝামেলা থেকে খানিকটা মুক্তি পাওয়া যেতে পারে। এক্ষেত্রে আপনাকে ‘অ্যাক্সেস পয়েন্ট নেমস’ (Access Point Names) সেকশনে গিয়ে ‘রিসেট অ্যাক্সেস পয়েন্ট’ (Reset Access Point) অপশনটি নির্বাচন করতে হবে।

৬. ফোন রিসেট: ফ্যাক্টরি রিসেট বা ফর্ম্যাটিং প্রক্রিয়া, ফোনে থাকা অধিকাংশ বাগকে দূর করে। তাই ফোন রিসেট করলে, নেটওয়ার্ক সংক্রান্ত ইস্যু মিটে যেতে পারে।

৭. মোবাইল ডেটা লিমিট চেক: যদি আপনার মোবাইল ডেটা আগেভাগে শেষ হয়ে যায়, তাহলে আপনি ভাল স্পিড পাবেননা। তাই মাস-দিনে কতটা ডেটা ব্যবহার করছেন – তা খেয়াল রাখুন।

৮. অন্য ডিভাইসে সিম কার্ড লাগান: অনেক সময়ই কোনো সিম একটি নির্দিষ্ট ফোনে কাজ করেনা, কিন্তু সেটির কানেকশন বা মোবাইল ডেটা অন্য ডিভাইসে মসৃণভাবে কাজ করে। তাই নেটওয়ার্কের সমস্যা হলে সিম অন্য ফোনে লাগিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত হন এবং সমস্যা থাকলে প্রাথমিক ফোনটি সারাইয়ের ব্যবস্থা নিন।