এক পয়সা খরচ না করেও ব্যবহার করা যাবে ইন্টারনেট, জেনে নিন Free Wi-Fi এর সাতকাহন

সম্পূর্ণ বিনামূল্যে কোনো জিনিস হাতের মুঠোয় পাওয়া গেলে সকলেরই খুব ভালোলাগে, আর বর্তমান সময়ে সেটা যদি আবার ইন্টারনেট হয় তাহলে তো আর কথাই নেই! সত্যি কথা বলতে গেলে, ইন্টারনেট এখন সকলের জীবনেরই একটি মৌলিক চাহিদা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বলতে গেলে এখন একদিন না খেয়েও হয়তো বেঁচে থাকা যায়, কিন্তু ইন্টারনেট কানেকশন ছাড়া এক মুহূর্তও বেঁচে থাকা যেন অসম্ভব! তাই ফ্রিতে এটি পাওয়া যাচ্ছে শুনলেই মানুষের মন আনন্দে নেচে ওঠে। যদিও এখন টেলিকম অপারেটররা সাশ্রয়ী মূল্যে ইউজারদেরকে পর্যাপ্ত পরিমাণে ডেটা ব্যবহারের সুবিধা প্রদান করে, কিন্তু তা সত্ত্বেও ইন্টারনেটের প্রতি মানুষের অমোঘ আকর্ষণ কিছুতেই ফিকে হচ্ছে না। তাছাড়া রাস্তাঘাটে বেরিয়ে হঠাৎ করে যদি নেট শেষ হয়ে যায় এবং চারপাশে রিচার্জ করার কোনো অপশন উপলব্ধ না থাকে, তাহলে ব্যবহারকারীদেরকে বিশেষ সমস্যায় পড়তে হয়। তবে এমত পরিস্থিতিতে ইউজারদের মুশকিল আসান করতে পারে ফ্রি Wi-Fi (ওয়াই-ফাই)। আজ্ঞে হ্যাঁ, চলতি সময়ে বেশ কিছু পাবলিক জোনে ফ্রি Wi-Fi পরিষেবার সুবিধা উপলব্ধ রয়েছে। এই Wi-Fi বা পাবলিক হটস্পটের সাহায্যে নিজেদের ফোন কানেক্ট করে নিলেই সম্পূর্ণ নিখরচায় ইন্টারনেট চালাতে পারবেন ইউজাররা।

এইসব জায়গায় মেলে Free Wi-Fi পরিষেবা

এক্ষেত্রে বলে রাখি, বিমানবন্দর, রেলওয়ে স্টেশন এবং বেশ কিছু বিশেষ পাবলিক প্লেসে বিনামূল্যে ওয়াই-ফাইয়ের সুবিধা পাওয়া যায়। আর এখন ফ্রি ওয়াই-ফাই জোনের চাহিদা এতটাই বেড়েছে যে, বিভিন্ন ধরনের পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থাও গ্রাহক টানতে সকলকে ফ্রি ওয়াই-ফাইয়ের সুবিধা দিচ্ছে। কিন্তু, কোনো জায়গায় ফ্রি ওয়াই-ফাই উপলব্ধ থাকলে কীভাবে তার ফায়দা ওঠানো যাবে? আসুন সে সম্পর্কে গুটিকয়েক কথা জেনে নিই।

কীভাবে পাবলিক Free Wi-Fi অ্যাক্সেস করা যাবে?

আপনাদের জানিয়ে রাখি, মার্কেটে বেশ কিছু অ্যাপ উপলব্ধ রয়েছে যেগুলি ইউজারদেরকে পাবলিক ওয়াই-ফাইয়ের অ্যাক্সেস পেতে সহায়তা করে। উল্লেখ্য যে, ঠিক এমনই একটি ফিচার ফেসবুক (Facebook)-এও মজুত রয়েছে। এর জন্য ইউজারদেরকে ফেসবুকের অফিশিয়াল অ্যাপে লগইন করতে হবে। এরপর এখানে উপরের ডান দিকের কোণে হ্যামবার্গার মেনুতে ক্লিক করলেই ব্যবহারকারীরা ‘সেটিং অ্যান্ড প্রাইভেসি’ (Setting and Privacy) অপশনটি দেখতে পাবেন। এই অপশনে ক্লিক করলেই ‘ফাইন্ড ওয়াই-ফাই’ (Find Wi-Fi) অপশন এসে হাজির হবে, আর এতে ক্লিক করা মাত্রই ব্যবহারকারীরা তাদের চারপাশে উপলব্ধ ফ্রি পাবলিক ওয়াই-ফাই সম্পর্কে বিশদে জেনে যাবেন।

চোখকান খোলা রেখে ব্যবহার করতে হবে Free Wi-Fi

এই প্রসঙ্গে বলে রাখি যে, ভারতে খুব বেশি জায়গা নেই যেখানে ফ্রি ওয়াই-ফাই অপশন মজুত রয়েছে। মূলত রেলওয়ে স্টেশন এবং বিমানবন্দরে এই সুবিধা পাওয়া যায়। তবে রেলওয়ে স্টেশনে ইউজাররা একটি নির্দিষ্ট সময়সীমার জন্য সেখানকার ইন্টারনেট অ্যাক্সেস পেতে সক্ষম হবেন। এর পাশাপাশি বেশ কিছু পাবলিক প্লেসেও ফ্রি বা ওপেন ওয়াই-ফাই রয়েছে। তবে এগুলির সবকটি যে নিরাপদে ব্যবহারযোগ্য, তা কিন্তু একেবারেই নয়। আসলে বর্তমান ডিজিটাল যুগে ইউজারদেরকে প্রতারিত করার জন্য হ্যাকাররা ফ্রি ওয়াই-ফাইয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সহজসরল সাধারণ মানুষকে সাইবার জালিয়াতির ফাঁদে ফেলার নিরলস প্রচেষ্টা ক্রমাগত চালিয়ে যাচ্ছে। তাই যেকোনো পাবলিক ওয়াই-ফাই ব্যবহার করার আগে ইউজারদের যথাযথ সতর্কতা অবলম্বন করা একান্ত আবশ্যক। অন্যথায়, ব্যবহারকারীদের অজান্তেই হ্যাকাররা তাদের পার্সোনাল ডিটেইলস চুরি করে নিজেদের পকেট ভারী করে ফেলবে, আর এর ফলস্বরূপ ইউজারদের অ্যাকাউন্ট যে গড়ের মাঠ হয়ে যাবে, সেকথা আর আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না!