একটু পুরোনো হতেই Fridge তেমন ঠান্ডা থাকছেনা? কী করলে বাম্পার কুলিং পাবেন রইল তার 5 টিপস

এই বছর গ্রীষ্ম যেন একটু বেশিই উগ্র রূপ দেখাচ্ছে। ঘরে-বাইরে হাঁসফাঁসানি পরিস্থিতি তো সহ্য করতে হচ্ছেই, পাশাপাশি তাপমাত্রার পারদ যত চড়ছে ততই খাবার-সব্জি ভালো রাখাও…

এই বছর গ্রীষ্ম যেন একটু বেশিই উগ্র রূপ দেখাচ্ছে। ঘরে-বাইরে হাঁসফাঁসানি পরিস্থিতি তো সহ্য করতে হচ্ছেই, পাশাপাশি তাপমাত্রার পারদ যত চড়ছে ততই খাবার-সব্জি ভালো রাখাও দায় হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে ঘরে যদি ফ্রিজ থাকে আর সেটি যদি খানিকটা পুরোনো হয়, তাহলে তাতে তেমন ঠান্ডা-সতেজতা দেখা যাচ্ছেনা, যে কারণে অনেকের হয়তো সামান্য জলের বোতলও ঠান্ডা রাখতেও সমস্যা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে যদি আপনার বাড়ির পুরোনো রেফ্রিজারেটরেও এখন এইরকম ঠান্ডা জনিত সমস্যা দেখা যায়, সেক্ষেত্রে কী করবেন?

আপনিও যদি এই প্রশ্নের উত্তর পেতে চান, তাহলে প্রথমেই মাথায় রাখবেন যে, ফ্রিজের কম ঠান্ডা হওয়ার পেছনে সবসময় প্রযুক্তিগত সমস্যাই কারণ নয়। সাধারণত কিছু অভ্যাসের দরুনও ফ্রিজে এই সমস্যা দেখা যেতে পারে, যা ঘরে বসে সহজেই সমাধান করা যায়। আর এখন আমরা সেই বিষয়েই কিছু কথা বলব…

কীভাবে পুরোনো ফ্রিজে কুলিং এফেক্ট বাড়াবেন?

১. ফ্রিজে কম জিনিস রাখা: অনেক সময়ই এমন হয় যে আমরা সস্তা দেখে কম ক্যাপাসিটি বা ছোটো সাইজের ফ্রিজ কিনে নিই, কিন্তু তারপরে তাতে প্রচুর জিনিস ভরে রাখি। সেক্ষেত্রে এই কাজটিই ফ্রিজের ঠান্ডা কমে যাওয়ার কারণ হয়ে দাঁড়ায়, কেননা এমতাবস্থায় রেফ্রিজারেটরে এয়ার ফ্লো ঠিকমতো হয়না। প্রযুক্তিগতভাবে যেকোনো ফ্রিজে শীতলতার জন্য বায়ুপ্রবাহ একান্ত প্রয়োজন। তাই, হয় ফ্রিজে জিনিস কম রাখুন নতুবা একটি বড় সাইজের অ্যাপ্লায়েন্স কিনুন।

২. তাপমাত্রা ঠিকঠাক সেট রাখা: সাধারণত অনেকেই ঠান্ডা আবহাওয়ায় রেফ্রিজারেটরের ভেতরের তাপমাত্রা কমিয়ে রাখেন, কিন্তু গ্রীষ্মে তা পুনরায় বাড়াতে ভুলে যান, যার ফলে ঠান্ডাও কম হয়। তাই গ্রীষ্মকালে পুরোনো ফ্রিজের তাপমাত্রা ৩৫-৩৮ ডিগ্রি ফারেনহাইটের মধ্যে রাখুন বা সামার মোড থাকলে অন রাখুন।

৩. দরজার সিল চেক করুন: ফ্রিজের দরজায় একধরণের রাবার থাকে, যা ভেতরের বাতাস বের হতে দেয়না, ফলে ফ্রিজ ঠান্ডা থাকে। তবে অনেক সময় পুরনো ফ্রিজের রাবার নষ্ট হয়ে গেলে সমস্যা হয়। তাই ফ্রিজ পুরোনো হলে সেটির দরজার সিল চেক করুন।

৪. কনডেন্সার কয়েল পরিষ্কার: কনডেন্সার কয়েল হল রেফ্রিজারেটরের পিছনে থাকা ধাতব জাল, যাতে ধুলো-ময়লা আটকে গেলে ফ্রিজের কার্যকারিতায় প্রভাব পড়ে এবং ঠান্ডা কমে যায়। তাই বছরে অন্তত একবার ব্রাশ দিয়ে এই কয়েল পরিষ্কার করুন।

৫. রিয়ার ফ্যান ভেন্ট: রেফ্রিজারেটরের পিছনে একটি ছোট ফ্যান লাগানো থাকে, যা গরম বাতাস বের করে দেয়। সেক্ষেত্রে ফ্রিজে ঠান্ডার সমস্যা হলে সেই ফ্যানটি ঠিকমতো কাজ করছে কিনা তা অবশ্যই পরীক্ষা করে দেখুন।