IPL 2024: ফিরছে হিন্দি ধারাভাষ্যের জনক, এ বছরের আইপিএলে ধারাভাষ্য দেবেন সকলের প্রিয় ধারাভাষ্যকার

প্রতি বছর ম্যাচ চলাকালীন ধারাভাষ্যকাররা তাদের অসাধারণ বাচনভঙ্গির মাধ্যমে প্রতিবছর আইপিএলকে অনন্য মাত্রায় পৌঁছে দেন।

আইপিএল (IPL 2024) ভারত তথা বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম উৎসব। এই টুর্নামেন্টে প্রতিটি দল একে অপরের বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সঙ্গে সঙ্গে খেলার উন্মাদনাকে অনেক গুণ বাড়িয়ে দেয়। এর সঙ্গেই ম্যাচ চলাকালীন ধারাভাষ্যকাররা তাদের অসাধারণ বাচনভঙ্গির মাধ্যমে প্রতিবছর আইপিএলকে অনন্য মাত্রায় পৌঁছে দেন। এবার এই বছর আইপিএলে ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় এক ধারাভাষ্যকার আবার ফিরতে চলেছেন।

আর মাত্র ৩ দিন পরেই ২০২৪ আইপিএলের যাত্রা শুরু হয়ে যাবে। ভারতে এই বছর লোকসভা নির্বাচন থাকায় এই টুর্নামেন্টের সময়সূচি তৈরি করতে বিসিসিআইকে অনেকটাই সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে। তবে আইপিএলের প্রথমার্ধের কার্যক্রম সফলভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড চূড়ান্ত প্রস্তুতি ইতিমধ্যে শেষ করেছে। ২২ মার্চ থেকে শুরু হতে যাওয়া আইপিএলের প্রথম ম্যাচে গত বছরের চ্যাম্পিয়ন দল চেন্নাই সুপার কিংস রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের মুখোমুখি হবে।

অন্যদিকে এই বছর আইপিএলের ম্যাচগুলির টিভিতে সম্প্রচারণের সমস্ত দায়িত্ব স্টার স্পোর্টস পেয়েছে এবং অনলাইনে স্ট্রিমিংয়ের ক্ষেত্রে জিও সিনেমা গত বছরের মতো নিজেদের কার্যক্রম চালিয়ে যাবে। ফলে এই দুই সংস্থা নিজেদের প্ল্যাটফর্মে দর্শক ধরে রাখার ক্ষেত্রে একাধিক ধারাভাষ্যকারকে যুক্ত করে চমক দিতে চাইছে। এর সঙ্গেই দীর্ঘদিন পর অন্যতম জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকার এবং ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার নভজ্যোত সিং সিধু (Navjot Singh Sidhu) আইপিএলে ফিরতে চলেছেন। ম্যাচ চলাকালীন তার শায়েরী বলার প্রতিভা এবং বিভিন্ন মজাদার শব্দের উচ্চারণ ক্রিকেটপ্রেমীদের মুগ্ধ করে।

তবে নভজ্যোত সিং সিধু সক্রিয়ভাবে রাজনীতির সাথে যুক্ত হয়ে যাওয়ায় তিনি দীর্ঘদিন ক্রিকেটের ধারাভাষ্য করা থেকে দূরে ছিলেন। তবে বিখ্যাত একটি কমেডি শোতে তাকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে দেখা যায়। এই অনুষ্ঠানে ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটারের শায়েরী বলার প্রতিভাকে সাম্প্রতিক সময় আরও জনপ্রিয় করে তুলেছে। আজ আসন্ন আইপিএলে তার অংশগ্রহণ করার বিষয়টি স্টার স্পোর্টস নিজেদের অফিসিয়াল এক্স অ্যাকাউন্টে পোস্ট করে প্রকাশ করে। পোষ্টের ক্যাপশনে লেখা ছিল, “একজন জ্ঞানী ব্যক্তি বলেছিলেন, ‘আশাই হচ্ছে সবচেয়ে বড়ো টোপ।”