কল করার সময় বোমার মত ব্লাস্ট হল চার মাস আগে কেনা স্মার্টফোন! জখম ইউজারের আঙুল

আবারও একবার ফোন বিস্ফোরণের খবরে নড়েচড়ে বসল নেটপাড়া! হ্যাঁ ঠিকই বলছি। এই নতুন বছরের গোড়াতেই ফোনে কল করার সময় তা ব্লাস্ট হওয়ার মত একটি দুর্ঘটনা ঘটেছে, যাতে ফোনটি তো পুড়ে ছাড়খার হয়েছেই তার সাথে ফোনের মালিকও হাতের আঙুলে বেশ আঘাত পেয়েছেন। গত শুক্রবার উত্তরপ্রদেশের আমরোহা জেলার হিজামপুর গ্রামের বাসিন্দার সাথে এই ঘটনা ঘটেছে। হিমাংশু নামের ওই ব্যক্তি সংবাদমাধ্যম ANI-কে এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এবং ANI, গোটা ঘটনা তার অফিসিয়াল টুইটার হ্যান্ডেলের মাধ্যমে শেয়ার করেছে।

চারমাস আগে কেনা ফোন পুড়ল বিস্ফোরণে

হিমাংশু নামের ওই ব্যক্তির কথা অনুযায়ী, তিনি গত বছরের ৩১শে আগস্ট আমরোহা থেকে ফোনটি কেনেন। তারপর থেকেই এটি তিনি ব্যবহার করছিলেন। কিন্তু গত শুক্রবার মানে ৬ই জানুয়ারী ফোনটি থেকে কল করার সময় হঠাৎই সেটিতে আগুন ধরে যায়, যার জেরে আঙুল চোট পান হিমাংশু।

এই ঘটনার প্রেক্ষিতে সংবাদ সংস্থা এএনআই, হিমাংশু ও তার বিস্ফোরণে পুড়ে যাওয়া ফোনটির ছবি টুইটারে পোস্ট করেছেন। আর ওই টুইটে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে যে ডিভাইসটি কী ভয়ঙ্করভাবে বিস্ফোরিত হয়েছিল। আশ্চর্যের ব্যাপার এটাই যে, এক্ষেত্রে ফোনের ব্যাক প্যানেল (ঠিক যে জায়গায় ব্যাটারি থাকে) একেবারে নষ্ট হয়ে গেছে বটে, তবে রিয়ার ক্যামেরার কাছাকাছি অংশটুকু অক্ষত! প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, হিমাংশু ফোনে কথা বলার সময় একইসাথে সেটি চার্জ করছিলেন কিনা তা জানা যায়নি। তাছাড়া ফোনটি কোন ব্র্যান্ডের তাও মিডিয়া রিপোর্ট থেকে স্পষ্ট নয়। যদিও ফোনটির ব্যাক প্যানেলের ডিজাইন এবং এএনআইয়ের পোস্টের কিছু কমেন্ট দেখে মনে হচ্ছে যে, এটি সম্ভবত রিয়েলমি (Realme) ব্র্যান্ডের কোনো একটি মডেল।

এর আগেও বহুবার বিস্ফোরিত হয়েছে নামী দামী ব্র্যান্ডের স্মার্টফোন

যারা নিয়মিত টেক দুনিয়ার খবরা-খবর রেখে থাকেন বা সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকটা সময় কাটান, তাদের জন্য এই ফোন বিস্ফোরণের ঘটনা নতুন কিছু নয়। এর আগেও Samsung, Redmi ইত্যাদি ব্র্যান্ডের ফোন বিস্ফোরিত হওয়ার খবর সামনে এসেছে। এছাড়া OnePlus-এর Nord ফোনগুলি তো ব্যাপক সংখ্যায় ব্লাস্ট হয়েছে। এই ধরণের দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে শিশু থেকে শুরু করে বয়স্ক মানুষজন। আর এই সমস্ত বিস্ফোরণের কারণে বারবার ফোনের উৎপাদনগত ত্রুটি, ব্যাটারির খারাপ অবস্থা, অতিরিক্ত হিট বা গরম হওয়া এবং শর্ট সার্কিটের মত ইস্যুকেই দায়ী করা হয়েছে।