মোদি সরকারের নতুন চালে বিপাকে চীন, কালার টিভি আমদানির উপরে কড়া বিধি-নিষেধ আরোপ

এবার কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে ভারতে কালার টিভি আমদানির উপরে কড়া বিধি-নিষেধ আরোপ করা হল। ভারতে চীন থেকে আমদানিকৃত কালার টিভির পরিমাণ ধীরে ধীরে বেড়েই চলেছে। ভারতের চীনের দ্রব্য বর্জন করার উদ্যোগ শুরু হওয়ায় ভারত সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। পাশাপাশি কিছু বিশেষজ্ঞের ধারণা, ভারতে কালার টেলিভিশন উৎপাদনে আরও জোর দিতে এই সিদ্ধান্ত মোদি সরকারের।

ভারত সরকার জানিয়েছে, এই সিদ্ধান্তের ফলে ভারতীয় গ্রাহকরা কম দামের মধ্যে আরও উচ্চমানের টিভি সেট পেয়ে যাবেন। এই সম্পর্কিত একটি বিবৃতিতে ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ ফরেন ( ডিজিএফটি ) জানিয়েছে, এবার থেকে যদি কেউ কালার টেলিভিশন ভারতে আমদানি করতে চায় তাদেরকে কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রকের অন্তর্গত ডিজিএফটি – র কাছ থেকে লাইসেন্স নিতে হবে।

এই নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, ৩৬ থেকে ১০৫ সেন্টিমিটার স্ক্রিন বিশিষ্ট টিভি সেট এবং ৬৩ সেন্টিমিটার এর কম দৈর্ঘ্যের স্ক্রিন বিশিষ্ট এলসিডি টিভি সেট আমদানি করতে গেলে আমদানিকারকের লাইসেন্স প্রয়োজন হবে।

বিষয়টি নিয়ে প্যানাসনিক ইন্ডিয়ার প্রেসিডেন্ট এবং সিইও মানিশ শর্মা এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেছেন, ” কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের ফলে ভারতীয়রা আরো উচ্চমানের টিভি সেট পেয়ে যাবেন। ” তিনি আরো জানান ,” দেশের মধ্যে টিভির বিভিন্ন সামগ্রী একসাথে যুক্ত করা হয়। সেই বিষয়টির উপর এই সিদ্ধান্ত ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। প্রথম সারির টেলিভিশন সংস্থাগুলির এদেশে অ্যাসেম্বলিং কারখানা রয়েছে। তবে, যেই কোম্পানিগুলির কারখানা নেই সেগুলি ভারতে তাদের কারখানা স্থাপন করবে। এর ফলে টিভি তৈরি এর উপরে পদ্ধতিগতভাবেও প্রভাব পড়বে।”

বর্তমানে চীন, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, হংকং, দক্ষিণ কোরিয়া, ইন্দোনেশিয়া, জার্মানি এবং থাইল্যান্ড থেকে ভারতে রঙিন টেলিভিশন আমদানি করা হয়। গত আর্থিক বর্ষে, ভারতে ৭৮১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের টেলিভিশন আমদানি করা হয়েছিল। এর মধ্যে শুধুমাত্র চীন এবং ভিয়েতনাম থেকে আমদানি করা হয়েছিল যথাক্রমে ২৯৩ মিলিয়ন এবং ৪২৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের কালার টিভি। তাই যদি এই নতুন নির্দেশিকা সঠিকভাবে কাজ করে তাহলে, ভারতের নিজস্ব টেলিভিশন মার্কেট খুব ভালোভাবে উন্নতি করার সুযোগ পাবে বলে ধারণা সংশ্লিষ্ট মহলের।