সময় ভালো যাচ্ছেনা Apple-এর, চীনের বাজারে iPhone বিক্রি কমেছে 19 শতাংশ: ভবিষ্যত কী?

2023-এ নতুন আইফোন লাইনআপ লঞ্চ করে বাজারে ব্যাপক সাড়া পেলেও, এই বছরটা যেন Apple-এর জন্য ভালো যাচ্ছেনা। সবেমাত্র দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিকবাহিনী তাদের দফতরে আইফোন নিষিদ্ধ…

2023-এ নতুন আইফোন লাইনআপ লঞ্চ করে বাজারে ব্যাপক সাড়া পেলেও, এই বছরটা যেন Apple-এর জন্য ভালো যাচ্ছেনা। সবেমাত্র দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিকবাহিনী তাদের দফতরে আইফোন নিষিদ্ধ (iPhone ban) করেছে, এতে ইউজার এবং কোম্পানি উভয়ের ওপরেই প্রভাব পড়বে। তবে, এই ঘটনার আগে থেকেই কিন্তু Apple-এর সমস্যা শুরু হয়েছে। চলতি 2024 সালের প্রথম ত্রৈমাসিকেই প্রসিদ্ধ মার্কিনি সংস্থাটি চীনা স্মার্টফোন বাজারে বড় বাধার সম্মুখীন হয়েছে, যে কারণে বিশ্বব্যাপী স্মার্টফোন শিপমেন্টে বৃদ্ধি সত্ত্বেও এই দেশে Apple iPhone-এর বিক্রি তীব্রভাবে হ্রাস পেয়েছে।

উল্লেখ্য, গত 2020 সালের অতিমারী পরিস্থিতির পর পুনরায় এই বছর অ্যাপল, আইফোন বিক্রির ক্ষেত্রে চীনে খারাপ পারফরম্যান্স করেছে। রিপোর্ট বলছে যে, বছরের প্রথম প্রান্তিকে সংস্থার চীনা বাজারে স্মার্টফোন শিপিং 19% কমেছে। আর এই মন্দার ফলে তাদের মার্কেট শেয়ার পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় 19.7% থেকে 15.7%-এ নেমে এসেছে। এক্ষেত্রে অ্যাপল তৃতীয় স্থানে এসে দাঁড়িয়েছে – তাদের পেছনে ফেলেছে ভিভো (Vivo) এবং অনর (Honor)।

কমেছে iPhone-এর বিক্রি, কেন চীনে এই দুরবস্থা Apple-এর?

বিশ্বের অন্যতম বড় বাজারে অ্যাপল আইফোনের বিক্রি কমে যাওয়ার পেছনে একাধিক কারণকে দায়ী করা হচ্ছে। প্রথমত, সেদেশের কর্মচারীদের অ্যাপল ডিভাইস ব্যবহারের ওপর সরকারী নিষেধাজ্ঞা, শিপমেন্টে প্রভাব ফেলেছে। অন্যদিকে, হুয়াওয়ে টেকনোলজিসের (Huawei Technology’s)-এর পুনরুত্থান অ্যাপলের জন্য একটি ভয়ঙ্কর চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। এক্ষেত্রে হুয়াওয়ের সেলিং 69.7% অর্থাৎ বেশ চিত্তাকর্ষক বৃদ্ধি পেয়েছে – হাই-এন্ড Mate 60 সিরিজের সফল লঞ্চ থেকে সংস্থা এই লাভের মুখ দেখেছে। আর, এই ঊর্ধ্বগতি তাদের মার্কেট শেয়ারের নিরিখে (15.5%) চতুর্থ স্থানে পৌঁছে দিয়েছে।

বিপরীতে, ডিসকাউন্ট এবং 1,300 ইউয়ান (15 হাজার টাকার বেশি) পর্যন্ত ভর্তুকি দিয়ে কাস্টমারদের প্রলুব্ধ করার চেষ্টা করলেও, অ্যাপল, চীনা বাজারে নিজের জায়গা ধরে রাখতে এখন লড়াই করছে। যদিও 2024 সালের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে সংস্থাটির উন্নতির কিছু লক্ষণ দেখছেন অ্যানালাইজাররা। তাঁদের মতে আইফোনের নতুন কালার ভ্যারিয়েন্ট এবং নতুন সেলিং স্ট্র্যাটেজি প্রবর্তনের ফলে এখনকার অবস্থা বদলাতে পারে। এই মুহূর্তে সকলের চোখ রয়েছে অ্যাপলের আগামী 2 মে-র আর্নিং রিপোর্টের ওপর।