গুগল প্লে স্টোর থেকে ভুয়ো অ্যাপ ডাউনলোড করছেন না তো? সঠিক অ্যাপ চেনার উপায় জেনে নিন

অ্যাপ্লিকেশন ছাড়া হাতের স্মার্টফোন অচল! আমাদের সবার স্মার্টফোনেই বিভিন্ন ধরণের অ্যাপ্লিকেশন রয়েছে, যেগুলি আমাদের রোজকার জীবনে একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে। বেশিরভাগ অ্যাপই গুগল প্লে স্টোর বা অ্যাপল অ্যাপ স্টোর থেকে বিনামূল্যে ডাউনলোড করা যায়। কিন্তু এই সমস্ত অ্যাপ যে খুব সুরক্ষিত তা নিশ্চিতভাবে বলা যায়না! এমনিতে প্রায়ই ভুয়ো অ্যাপ বা ম্যালিশিয়াস অ্যাপের কথা আমাদের সামনে আসে।

শুধু তাই নয় নানা অ্যাপ্লিকেশন, ইউজারের ব্যক্তিগত তথ্য এমনকি ব্যাংকিং ডিটেইলস চুরি করে এমন কথাও বিভিন্ন সময়ে শোনা যায়। গুগল এই ধরণের ভুয়ো অ্যাপ্লিকেশনগুলি চিহ্নিত করতে এবং প্লে স্টোর থেকে সেগুলিকে সরাতে বেশ কয়েকটি সিকিউরিটি চেক সিস্টেম যুক্ত করেছে। কিন্তু, অনেক সময়েই বিভিন্ন ইমপ্লাস্টার অ্যাপ, গুগলের সিকিউরিটি সিস্টেমকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে নিজের কার্যসিদ্ধি করে।

সাধারণত এই অ্যাপগুলি আপনার ফোনের স্টোরেজ, ক্যামেরা, লোকেশন ইত্যাদিতে অ্যাক্সেস অর্জন করে এবং কিছু বিরক্তিকর ব্যানার বা ঘন ঘন বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে এই ধরণের অ্যাপগুলি থেকে কিভাবে সতর্ক থাকা যায় অর্থাৎ কিভাবে ভুয়ো অ্যাপ চেনা যায়? এক্ষেত্রে আজ আমরা আপনাকে সহজ কয়েকটি টিপস দেব, যেগুলি মাথায় রাখলে ভুয়ো অ্যাপ্লিকেশন চিনতে বেশ কিছুটা সুবিধা হতে পারে।

গুগল প্লে স্টোরে কিভাবে ভুয়ো অ্যাপ্লিকেশন চিহ্নিত করবেন:

১. প্লে স্টোরে কোনো অ্যাপ্লিকেশন সার্চ করার সময় একই নাম যুক্ত একাধিক অ্যাপ দেখতে পেতে পারেন। কিন্তু এগুলির ডিটেইলস বা ডেসক্রিপশন থেকে আপনি পার্থক্য বুঝতে পারবেন। অনেক সময়ে এগুলির বর্ণনায় বানান ভুল থাকে।
২. কোনো অ্যাপ ডাউনলোড করার আগে অবশ্যই দেখে নেবেন সেই অ্যাপ্লিকেশনের রিভিউ এবং রেটিং কেমন।
৩. জনপ্রিয় অ্যাপ্লিকেশনগুলির ডাউনলোডের গণনা অবশ্যই বেশি হবে। তবে, যদি কোনো অ্যাপ্লিকেশন ৫,০০০ বা তারও কমবার ডাউনলোড হয়, তবে সেটি নকল অ্যাপ হতে পারে।
৪. অ্যাপ্লিকেশন সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার আরেকটি উপায় হল অ্যাপের বর্ণনায় দেওয়া স্ক্রিনশটগুলি পরীক্ষা করা। জাল অ্যাপ্লিকেশনের ক্ষেত্রে স্ক্রিনশটগুলিতে অদ্ভুত শব্দ এবং অদ্ভুত ফটো থাকতে পারে।
৫. অ্যাপ প্রকাশের এবং আপডেটের তারিখগুলি দেখবেন, কারণ আসল অ্যাপ্লিকেশনে সবসময় তারিখ “আপডেটেড” থাকে।
৬. সবশেষে, যে বিষয়টি খেয়াল করবেন তা হল অ্যাপ পারমিশন। কোনো অ্যাপ্লিকেশন ইন্সটল করলে সাধারণত সেটি ফোনবুক, ডায়লার এবং লোকেশন অনুমতি প্রয়োজন হবে। তবে যদি সেটি ক্যামেরা, অডিও, স্টোরেজ এবং আরও কিছু পারমিশন চাইতে থাকে, তবে অবশ্যই সেই অ্যাপ্লিকেশন সম্পর্কে খতিয়ে দেখবেন।