ব্ল্যাক ফ্রাইডে সেলে গোটা বিশ্বের মধ্যে সেরা অফার, মাত্র ৮১৮ টাকা দিয়ে বাড়ি আনা যাবে iPhone 14 Plus

গত সেপ্টেম্বর মাসে iPhone 14 সিরিজ লঞ্চ করেছিল Apple। এই সিরিজের অধীনে iPhone 14, iPhone 14 Pro, iPhone 14 Plus এবং iPhone 14 Pro Max – এই চারটি স্মার্টফোন মার্কেটে পা রেখেছে। প্রিমিয়াম রেঞ্জেই এসেছে প্রত্যেকটি মডেল। তবে যারা সস্তায় এই সিরিজের ফোন পকেটস্থ করার প্ল্যান করছেন, তাদের জন্য আমাদের আজকের এই প্রতিবেদনে রয়েছে একটি দারুণ সুখবর। আসলে নতুন iPhone 14 Plus-এর দাম ৮৯৯ ডলার (প্রায় ৭৩,৩২৩ টাকা) হলেও, বর্তমানে মাত্র ১০ ডলার (প্রায় ৮১৮ টাকা) দিয়েই বাড়ি আনা যাবে Apple-এর এই দুর্দান্ত স্মার্টফোন! এখন নিশ্চয়ই আপনাদের জানতে ইচ্ছে করছে যে, এত কম দামে iPhone উপলব্ধ হওয়ার পিছনে রহস্যটি কী? আসলে ব্যাপারটা হল, বর্তমানে Verizon Black Friday Sale-এ iPhone 14 Plus কিনলেই ক্রেতারা এত সস্তায় এই হ্যান্ডসেটটিকে পকেটস্থ করতে সক্ষম হবেন, তবে এক্ষেত্রে কিন্তু একটি ছোট্ট শর্ত প্রযোজ্য রয়েছে। চলুন, কীভাবে এত কম দামে সদ্য লঞ্চ হওয়া iPhone-টি পাওয়া যাবে, সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

Verizon Black Friday সেলে অতিশয় সস্তায় কেনা যাবে iPhone 14 Plus

এক্ষেত্রে বলে রাখি, আইফোন ১৪ প্লাসের ১২৮ জিবি ভ্যারিয়েন্টের আসল দাম ৮৯৯ ডলার (প্রায় ৭৩,৩২৩ টাকা)। তবে ভেরিজোন ব্ল্যাক ফ্রাইডে সেলে এই স্মার্টফোনটিতে ৫৩৯ ডলার (প্রায় ৪৩,৯৯১ টাকা) ফ্ল্যাট ডিসকাউন্ট সহ পাওয়া যাচ্ছে, যার ফলে ডিভাইসটির দাম ৮৯৯ ডলার থেকে কমে হয় ৩৬০ ডলার (প্রায় ২৯,৩৬১ টাকা)। তবে ক্রেতাদের কিন্তু একবারে থোক ৩৬০ ডলার ব্যয় করে এই ফোনটি কিনতে হবে না, এক্ষেত্রে একটা ছোট্ট শর্ত প্রযোজ্য রয়েছে। মাত্র ৩৬০ ডলারে ব্ল্যাক ফ্রাইডে সেলে আইফোন ১৪ প্লাস স্মার্টফোনটি খরিদ করতে হলে ক্রেতাদের প্রথমে ভেরিজোনের একটি নতুন লাইন কিনতে হবে এবং সেইসাথে ৩৬ মাসের মেয়াদে ভেরিজোন নেটওয়ার্কের একটি আনলিমিটেড ডেটা প্ল্যান বেছে নিতে হবে, যার জন্য তাদেরকে চার্জ দিতে হবে এককালীন ৩৫ ডলার (প্রায় ২,৮৬০ টাকা)।

এরপর ভেরিজোনের প্ল্যানটির জন্য ইউজারদেরকে প্রতি মাসে ১০ ডলার (প্রায় ৮১৮ টাকা) করে প্রদান করতে হবে। এর ফলে ৩৬ মাস ব্যাপী এই টাকাটা দিলেই আইফোনের জন্য প্রদেয় টাকা শোধ করা হয়ে যাবে। অর্থাৎ সহজে বললে, প্রাথমিকভাবে মাত্র ৮১৮ টাকা খরচা করলেই ইউজাররা হাতে পেয়ে যাবেন একটি ব্র্যান্ড-নিউ আইফোন ১৪ প্লাস। সবচেয়ে বড়ো ব্যাপার হল, এই মাসিক কিস্তির ক্ষেত্রে কোনো সুদ দিতে হবে না ক্রেতাদের। তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে, এই পদ্ধতিতে আইফোন কিনতে গেলে কিন্তু ৩৬ মাস ব্যাপী ভেরিজোনের প্ল্যানটি অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে ক্রেতাদের, মাঝপথে কোনোভাবেই ছেড়ে দেওয়া চলবে না। আর যদি কোনোভাবে মাঝপথে বাধা পড়ে যায়, তাহলে কিন্তু আইফোন ১৪ প্লাস কিনতে গেলে গ্রাহকদের খসাতে হবে ৮৯৯ ডলার।

উল্লেখ্য যে, এই অফার মারফত আইফোন ১৪ প্লাসের ২৫৬ জিবি এবং ৫১২ জিবি ভ্যারিয়েন্টও পকেটস্থ করতে পারবেন ক্রেতারা; তবে সেক্ষেত্রে মাসিক কিস্তি হিসেবে চুক্তির মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত খরিদ্দারদের প্রতি মাসে যথাক্রমে ১২.৭৭ ডলার এবং ১৮.৩৩ ডলার প্রদান করতে হবে। প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখি, ভেরিজোনের আনলিমিটেড প্ল্যানের প্রারম্ভিক মূল্য ৭০ ডলার, যাতে আনলিমিটেড ৪জি (4G) ডেটা এবং ৫ জিবি ৫জি (5G) ডেটার পাশাপাশি হুলু ( Hulu), ডিজনি+ (Disney+) এবং ইএসপিএন+ (ESPN+) এর সাবস্ক্রিপশন সহ আরও একাধিক এক্সট্রা বেনিফিট পাওয়া যায়।

iPhone 14 Plus-এর ফিচার এবং স্পেসিফিকেশন

অ্যাপলের এই আইফোনটিতে ৬.৭ ইঞ্চি ওএলইডি ডিসপ্লে রয়েছে, যা ১২৮৪x২৭৭৮ পিক্সেল রেজোলিউশন, ১৯.৫: ৯ অ্যাসপেক্ট রেশিও, ৬০ হার্টজ রিফ্রেশ রেট এবং ১,২০০ নিট পিক ব্রাইটনেস অফার করে। তদুপরি, ডিসপ্লেটিকে সুরক্ষিত রাখার জন্য এতে স্ক্র্যাচ-রেজিস্ট্যান্স সিরামিক গ্লাস ব্যবহার করা হয়েছে। উপরন্তু, ওলিওফোবিক (oleophobic) কোটিংও রয়েছে ডিসপ্লে প্যানেলে, যার ফলে স্ক্রিনে আঙুলের দাগ (বা ছাপ) পড়বে না। আইওএস ১৬ (iOS 16) অপারেটিং সিস্টেম দ্বারা চালিত আইফোন ১৪ প্লাসে এ১৫ বায়োনিক (A15 Bionic) চিপসেট ব্যবহার করা হয়েছে। এই স্মার্টফোনটির তিনটি স্টোরেজ ভ্যারিয়েন্ট মার্কেটে উপলব্ধ – ৬ জিবি + ১২৮ জিবি, ৬ জিবি + ২৫৬ জিবি এবং ৬ জিবি + ৫১২ জিবি।

ক্যামেরার কথা বললে, iPhone 14 Plus-এর ডুয়াল রিয়ার ক্যামেরা সেটআপের মধ্যে রয়েছে এফ/১.৫ অ্যাপারচার সহ ১২ মেগাপিক্সেলের প্রাইমারি ক্যামেরা সেন্সর এবং এফ/২.৪ অ্যাপারচার সহ ১২ মেগাপিক্সেলের আল্ট্রা ওয়াইড লেন্স। সেইসাথে সেলফি ও ভিডিও কলিংয়ের জন্য ফোনটির সামনে এফ/১.৯ অ্যাপারচার সহ ১২ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরা দেওয়া হয়েছে। পাওয়ার ব্যাকআপের জন্য iPhone 14 Plus-এ আছে ৪,৩২৫ এমএএইচ ব্যাটারি, যা ৭.৫ ওয়াট ওয়্যারলেস চার্জিং, ১৫ ওয়াট ম্যাগসেফ (MagSafe) চার্জিং এবং ২০ ওয়াট ওয়্যারড চার্জিং সাপোর্ট করে। সংস্থার দাবি অনুযায়ী, হ্যান্ডসেটটি একবার চার্জে ২৬ ঘণ্টা পর্যন্ত ভিডিও প্লেব্যাক টাইম অফার করতে সক্ষম। তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে, ফোনটির সাথে কোনো ইন-বক্স চার্জার পাওয়া যাবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *