ফোনের থেকে বেরিয়ে আসবে ক্যামেরা, Vivo Flying Drone Phone এই বছরেই 200MP ক্যামেরা সহ আসছে

চলতি বছরে অর্থাৎ ২০২২ সালেই Flying Drone Camera Phone নামের একটি অভিনব ডিভাইসের সাথে হাজির হতে চলেছে Vivo। গত বছরের শেষার্ধে আলোচ্য ডিভাইসে ব্যবহৃত ‘ইউনিক টেকনিক’ -এর পেটেন্ট জমা পড়ার পর থেকেই রীতিমতো হৈচৈ পড়ে গিয়েছিল। আর এখন টেক সংস্থাটির এই লেটেস্ট টেকনোলজির স্মার্টফোনের ফিচার ও কার্যকারিতা সম্পর্কিত কিছু তথ্য প্রকাশ্যে এলো। জানা গেছে, এটি একটি 5G ফোন হিসাবে আত্মপ্রকাশ করবে। তবে বাজারে বিদ্যমান আর পাঁচটা মোবাইলের থেকে এটি স্বতন্ত্র হবে। কেননা আসন্ন এই ডিভাইসের রিয়ার ক্যামেরা সেটআপ ডিসপ্লের উপরি অংশ থেকে পপ-আপ বা উঠে আসবে। সর্বোপরি এই রিয়ার ক্যামেরা ইউনিট একটি উড়ন্ত ড্রোন হিসাবে ফোন থেকে বেরিয়ে ছবি ক্লিক করতে সক্ষম হবে বলেও জানা গেছে। ফলে এটিকে ‘অভিনব’ আখ্যায়িত করার পেছনের কারণটি আশা করি বুঝতেই পেরেছেন আপনারা। প্রতি বছরই Vivo তাদের ফ্ল্যাগশিপ থেকে বাজেট-রেঞ্জের ফোনে নানাবিধ উন্নত ফিচার দিয়ে থাকে। এবারও Flying Drone হ্যান্ডসেটটি বাজারজাত হলে তা স্মার্টফোন বাজারে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে সক্ষম হবে। আসুন Vivo Flying Drone Camera Phone সম্পর্কে কি কি তথ্য সামনে এসেছে জেনে নেওয়া যাক।

ভিভো ফ্লাইং ড্রোন ক্যামেরা ফোনের সম্ভাব্য স্পেসিফিকেশন (Vivo Flying Drone Camera Phone expected Specifications)

ভিভোর এই আপকামিং ডিভাইসটির নাম দেখেই বোঝা যাচ্ছে যে, এটি একটি ড্রোন ক্যামেরা যুক্ত স্মার্টফোন হিসাবে আসবে। সংস্থাটি ইতিমধ্যেই নিশ্চিত করেছে যে, ভিভো ফ্লাইং ড্রোন ক্যামেরা ফোন একটি ২০০ মেগাপিক্সেলের মুখ্য সেন্সর সহ আত্মপ্রকাশ করবে। এছাড়া আর কোনো ফিচার সংস্থার পক্ষ থেকে প্রকাশ্যে আনা হয়নি। তবে সাম্প্রতিক কিছু রিপোর্ট অনুসারে, ভিভোর এই লেটেস্ট তথা ‘ইউনিক’ স্মার্টফোনে কর্নিং গরিলা গ্লাস ৭ প্রটেকশন সহ একটি ৬.৯ ইঞ্চির সুপার AMOLED টাচ স্ক্রিন ডিসপ্লে দেওয়া হবে পারে, যার রেজোলিউশন হবে ১৪৪০x৩২০০ পিক্সেল। এতে অলওয়েজ-অন ডিসপ্লে ফিচারও থাকতে পারে।

অভ্যন্তরীণ স্পেসিফিকেশনের কথা বললে, Vivo Flying Drone ক্যামেরা ফোনটি কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৮৯৮ ৫জি প্রসেসরের সাথে সজ্জিত হয়ে আসতে পারে। এতে ১২ জিবি পর্যন্ত র‌্যাম এবং ২৫৬ জিবি/৫১২ জিবি স্টোরেজ দেওয়া হবে বলে আশা করা হচ্ছে। আর অপারেটিং সিস্টেম হিসাবে এই ফোনে অ্যান্ড্রয়েড ১২ পাওয়া যাবে। আবার পাওয়ার ব্যাকআপের জন্য, আলোচ্য হ্যান্ডসেটে ৬,৯০০ এমএএইচ ক্যাপাসিটির ব্যাটারি দেওয়া হতে পারে, যা ৬৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সমর্থন করবে। জানা যাচ্ছে, এই ব্যাটারি একক চার্জে সর্বনিম্ন ৩৬ ঘন্টার ব্যাটারি ব্যাকআপ দেবে।

পরিশেষে আসি ভিভো ফ্লায়িং ড্রোন ক্যামেরা ফোনের বিশেষত্বের প্রসঙ্গে, যা হল এর ক্যামেরা ফ্রন্ট। সেক্ষেত্রে ফোনটিতে কোয়াড রিয়ার ক্যামেরা ইউনিট উপস্থিত থাকবে। এই ক্যামেরাগুলি – ২০০ মেগাপিক্সেল প্রাইমারি সেন্সর, ৩২ মেগাপিক্সেল আল্ট্রা-ওয়াইড লেন্স, ১৬ মেগাপিক্সেল ওয়াইড সেন্সর এবং ৫ মেগাপিক্সেল ডেপথ সেন্সর হতে পারে। এছাড়া ফোনটিতে একটি ৬৪ মেগাপিক্সেলের সেলফি ক্যামেরাও মিলবে হয়তো।