কেন কিনবেন iPhone 14 সিরিজ? এই পাঁচটি কারণে পিছিয়ে iPhone 13

সমস্ত জল্পনা-কল্পনাকে সত্যি করে গত ৭ তারিখ (মানে দিন তিনেক আগে) বিশেষ ইভেন্টে লেটেস্ট iPhone 14 (আইফোন ১৪) সিরিজ এবং আরো একগুচ্ছ ডিভাইস লঞ্চ করেছে টেক জায়ান্ট Apple (অ্যাপল)। কিন্তু লঞ্চ হওয়ার পর এই নেক্সট-জেন আইফোনগুলিকে (নন-প্রো মডেলগুলি) ঘিরে স্মার্টফোনপ্রেমীদের মনে দানা বেঁধেছে একরাশ প্রশ্ন! বলতে গেলে, পূর্বসূরি আইফোন সিরিজের অনুরূপ ডিজাইন এবং প্রায় একইরকম ফিচার (প্রসেসরে ও অন্যান্য) নিয়েই বাজারে পা রেখেছে iPhone 14, iPhone 14 Plus (আইফোন ১৪ প্লাস), iPhone 14 Pro এবং iPhone 14 Pro Max মডেল। বিশেষত স্ট্যান্ডার্ড iPhone 13 (আইফোন ১৩) এবং নতুন iPhone 14-এর মধ্যে বিশেষ কোনো তফাৎ খুঁজে পাচ্ছেন না ক্রেতারা; এমনকি এগুলির দামেও ফারাক নেই। বস্তুতই অধিকাংশের মনে প্রশ্ন আসছে যে, iPhone 14 বা iPhone 14 Plus-এর মত নন-প্রো (non-pro) মডেলগুলিতে iPhone 13-এর থেকে কী-ই বা আপগ্রেড পাওয়া যাবে। আবার কেউ কেউ হতাশ হয়ে পুরনো মডেলটিই কেনার পরিকল্পনা করছেন।

সেক্ষেত্রে আপনিও যদি এই দুটির মধ্যে কোনো একটি ভাবনার বশবর্তী হন, তাহলে আমাদের আজকের প্রতিবেদন আপনার ভাবনা কিছুটা বদলে দিতে পারে। কারণ, আমরা আইফোন ১৪ সিরিজের নন-প্রো মডেলগুলিতে উপলব্ধ এমন পাঁচটি ফিচারে কথা বলব, যা আইফোন ১৩-তে নেই৷ শুনে কৌতুহল হচ্ছে তো? তবে চলুন, এখন চটপট এই ফিচারগুলি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক…

iPhone 14 সিরিজের বেস মডেলগুলিতে পাবেন এই পাঁচটি নতুন ফিচার

১. বড় স্ক্রিন: যারা বড় স্ক্রিনের আইফোন কিনতে চান, তারা অ্যাপল কর্তৃক এই বছর লঞ্চ হওয়া অন্যতম নন-প্রো মডেল আইফোন ১৪ প্লাস কেনার জন্য বেছে নিতে পারেন। এতে আছে ৬.৭ ইঞ্চি ডিসপ্লে, যা আইফোন ১৩ (এমনকি নতুন স্ট্যান্ডার্ড আইফোন ১৪-তেও) মডেলে দেখা যাবে। তবে যেখানে দাম কমার পর আইফোন ১৩ সম্প্রতি ৬৯,৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, সেক্ষেত্রে অপেক্ষাকৃত বড় স্ক্রিনের আইফোন ১৪ প্লাস কিনতে ৮৯,৯০০ টাকা ব্যয় করতে হবে।

২. উন্নত জিপিউ (GPU): ইতিমধ্যেই আপনারা জেনেছেন যে, পুরনো আইফোন ১৩ এবং নতুন আইফোন ১৪, আইফোন ১৪ প্লাস – সমস্ত মডেলই একই প্রসেসর মানে এ১৫ (A15) বায়োনিক চিপসেট দ্বারা চালিত হয়। কিন্তু এখানেও দুটি সিরিজের ফোনের মধ্যে একটি ছোট্ট পার্থক্য আছে। আসলে আইফোন ১৩ সিরিজের নন-প্রো হ্যান্ডসেটগুলিতে দেওয়া হয়েছিল ৪ কোর (4-core) জিপিউ, কিন্তু সদ্য লঞ্চ হওয়া আইফোন ১৪ এবং ১৪ প্লাস মডেল ৫ কোর জিপিউয়ের সাথে এসেছে।

৩. ক্র্যাশ ডিটেকশন (Crash detection): লেটেস্ট আইফোন ২০২২ লাইনআপে অ্যাপল, ক্র্যাশ ডিটেকশন নামের নতুন ফিচার যুক্ত করেছে। এটি কোনো গাড়ি দুর্ঘটনা শনাক্ত করতে এবং জরুরী পরিষেবার জন্য পরিচিতিগুলিকে প্রয়োজনীয় বিশদ যেমন লোকেশন জাতীয় তথ্য শেয়ার বা অবহিত করতে সক্ষম হবে। তবে ক্র্যাশ ডিটেকশন ফিচার শুধুমাত্র তখনই কার্যকরী হবে, যখন আইফোন ইউজার গাড়িতে থাকবেন।

৪. ফ্রন্ট ক্যামেরায় অটোফোকাস: আইফোন ১৩-র মতই আইফোন ১৪-র নন-প্রো মডেলগুলি একই রিয়ার ক্যামেরা সেটআপ বহন করে। তবে এই নতুন ফোনগুলির ফ্রন্ট ক্যামেরায় সামান্য পরিবর্তন দেখা যাবে, কেননা এটিতে এখন ১২ মেগাপিক্সেল সেন্সরের সাথে অটোফোকাস সাপোর্ট পাওয়া যাবে। এই ফিচার দূরত্ব এবং আশেপাশের পরিবেশ নির্বিশেষে ক্যামেরাকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ফোকাস করতে সাহায্য করবে।

৫. নতুন কালার ভ্যারিয়েন্ট: যারা নতুন আইফোন ১৪ বা ১৪ প্লাস কিনবেন, তারা এখন বেগুনি রঙের একটি কালার ভ্যারিয়েন্ট বিকল্প হিসেবে পাবেন। এই রঙের মডেল আইফোন ১৩ সিরিজে নেই।