নজর সরানো দুষ্কর, Moto Edge 30 Fusion Viva Magenta নতুন রঙে বাজার গরম করতে লঞ্চ হল

২০২২ সালের ১৩ই সেপ্টেম্বর Motorola তাদের ‘লেটেস্ট ফ্ল্যাগশিপ অফারিং’ হিসাবে Moto Edge 30 Fusion স্মার্টফোনকে ভারতের বাজারে উন্মোচন করেছিল। আর আজ অর্থাৎ ৭ই জানুয়ারি Pantone -এর সাথে অংশীদারিত্বে এই মিড-রেঞ্জ ফোনটির একটি নতুন কালার ভ্যারিয়েন্টের ঘোষণা করলো সংস্থাটি, যার নাম রাখা হয়েছে ‘ভিভা ম্যাজেন্টা’ (Viva Magenta)। জানিয়ে রাখি, গত ডিসেম্বর মাসে উল্লেখিত কালার বিকল্পের সাথে ফোনটিকে বিশ্বব্যাপী ঘোষণা করা হয়েছিল এবং ঠিক ১ মাসের ভিতরে ভারতীয় গ্রাহকদের জন্যও এই নয়া রঙেকে উপলব্ধ করা হল। যার পর উক্ত হ্যান্ডসেটকে এখন মোট ৩টি আকর্ষণীয় কালার অপশনে পাওয়া যাবে। যথা – বিদ্যমান কসমিক গ্রে, সোলার গোল্ড এবং নতুন ভিভা ম্যাজেন্টা। প্রসঙ্গত রঙ ব্যতীত ডিভাইসের বাদবাকি স্পেসিফিকেশন কিন্তু একসমানই রয়ে গেছে। চলুন এবার Moto Edge 30 Fusion স্মার্টফোনের Viva Magenta কালার অপশনের দাম এবং প্রাপ্যতা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

ভারতে Moto Edge 30 Fusion ফোনের Viva Magenta কালার বিকল্পের দাম ও লভ্যতা

মোটোরোলার টুইট অনুসারে, মোটো এজ ৩০ ফিউশন ফোনের নয়া ভিভা ম্যাজেন্টা কালার অপশনকে ভারতে আগামী ১২ই জানুয়ারী দুপুর ৩টে থেকে কেনা যাবে। এটিকে ই-কমার্স সাইট ফ্লিপকার্ট এবং দেশের অন্যান্য শীর্ষস্থানীয় রিটেল স্টোরের মাধ্যমে পাওয়া যাবে।

ভারতে ফোনটির এই নতুন কালার ভ্যারিয়েন্টের দাম ৩৯,৯৯৯ টাকা রাখা হয়েছে। তবে প্রথম সেলের অংশ হিসাবে নির্দিষ্ট ব্যাঙ্ক কার্ড ব্যবহারের ক্ষেত্রে অফ দেওয়া হচ্ছে। যেমন, ক্রেতারা যদি Indusind ব্যাঙ্কের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করেন, তাহলে ধার্য মূল্যের উপর ফ্লাট ৩,৫০০ টাকা ইনস্ট্যান্ট ডিসকাউন্ট পেয়ে যাবেন৷

মোটোরোলা এজ ৩০ ফিউশন -এর স্পেসিফিকেশন (Motorola Edge 30 Fusion Specifications)

আগেই বলেছি, মোটোরোলা এজ ৩০ ফিউশন স্মার্টফোনের নতুন কালার ভ্যারিয়েন্টের যাবতীয় ফিচার মূল মডেলের অনুরূপ। এক্ষেত্রে এতে কার্ভড এজ সহ ৬.৫৫-ইঞ্চির ফুল এইচডি প্লাস (১,০৮০x২,৪০০ পিক্সেল) pOLED ডিসপ্লে রয়েছে, যা ২০:৯ এসপেক্ট রেশিও, ৪০৯ পিপিআই পিক্সেল ডেনসিটি, ১৪৪ হার্টজ রিফ্রেশ রেট, ৩৬০ হার্টজ টাচ স্যাম্পলিং রেট, ১০-বিট কালার, DCI-P3 কালার গ্যামেট, ১,১০০ নিট পিক ব্রাইটনেস এবং এইচডিআর১০+ সাপোর্ট করে৷ এজ ৩০-সিরিজের এই ‘ফিউশন’ মডেলে একটি মেটাল ফ্রেম রয়েছে এবং এর ফ্রন্ট ও রিয়ার প্যানেল-দ্বয় গরিলা গ্লাস ৫ দ্বারা সুরক্ষিত। ডিভাইসটি কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৮৮৮ প্লাস প্রসেসর সহ এসেছে। এতে ৮ জিবি LPDDR5 র‍্যাম ও ১২৮ জিবি UFS 3.1 স্টোরেজ পাওয়া যাবে। ফোনটি অ্যান্ড্রয়েড ১২ অপারেটিং সিস্টেমে রান করে। যদিও পরবর্তী সময়ে এটি আরও দুটি অর্থাৎ অ্যান্ড্রয়েড ১৩ এবং অ্যান্ড্রয়েড ১৪ ওএস আপগ্রেড পাবে বলে নিশ্চিত করা হয়েছে। নিরাপত্তার জন্য এতে আন্ডার-ডিসপ্লে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর এবং ফেস আনলক ফিচার মিলবে।

ছবি তোলার জন্য, Motorola Edge 30 Fusion ফোনের রিয়ার প্যানেলে ট্রিপল ক্যামেরা সেটআপ অবস্থিত। এগুলি হল – অপটিক্যাল ইমেজ স্টেবিলাইজেশন (OIS) সহ ৫০ মেগাপিক্সেল প্রাইমারি ক্যামেরা সেন্সর, ১৩ মেগাপিক্সেল আল্ট্রা-ওয়াইড লেন্স এবং ২ মেগাপিক্সেল ডেপ্থ সেন্সর। এই রিয়ার সেন্সরগুলি সর্বাধিক ৩০fps রেটে ৪কে (4K) আল্ট্রা-এইচডি ভিডিও রেকর্ডিং সাপোর্ট করে। আর সেলফি ও ভিডিও কলিংয়ের জন্য, ফোনটিতে ৩২ মেগাপিক্সেলের ফ্রন্ট-ফেসিং ক্যামেরা দেওয়া হয়েছে।

কানেক্টিভিটি বিকল্প হিসাবে আলোচ্য হ্যান্ডসেটে – 5G, 4G LTE, ওয়াই-ফাই ৬ই ৮০২.১১ এএক্স, ব্লুটুথ ভি৫.২, জিপিএস, এনএফসি, ডুয়েল সিম স্লট এবং ইউএসবি টাইপ-সি পোর্ট অন্তর্ভুক্ত। অডিও সিস্টেমের ক্ষেত্রে, এতে ডলবি অ্যাটমস টেকনোলজির সাপোর্ট সহ ডুয়েল স্টেরিও স্পিকার বর্তমান। আর পাওয়ার ব্যাকআপের জন্য, Motorola Edge 30 Fusion -এ ৪,৪০০ এমএএইচ ক্যাপাসিটির ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়েছে, যা ৬৮ ওয়াট টার্বো-পাওয়ার ফাস্ট চার্জিং সাপোর্ট করে। ফোনটি IP52 সার্টিফায়েড জল ও ধুলো প্রতিরোধী চ্যাসিসের সাথে এসেছে। এর পরিমাপ ১৫৮.৪৮ x ৭১.৯৯ x ৭.৪৫ মিমি এবং ওজন ১৭৫ গ্রাম।