60 মেগাপিক্সেলের দুর্ধর্ষ সেলফি ক্যামেরার সঙ্গে লঞ্চ হয়ে গেল Motorola Edge 40 Pro

ফ্ল্যাগশিপ ফিচারের সঙ্গে Motorola Edge 40 Pro ইউরোপের লঞ্চ হয়ে গেল। এটি Edge 30 Pro-এর উত্তরসূরি হিসেবে এসেছে। ফোনটি আসলে গত বছর ডিসেম্বরে চীনে লঞ্চ…

ফ্ল্যাগশিপ ফিচারের সঙ্গে Motorola Edge 40 Pro ইউরোপের লঞ্চ হয়ে গেল। এটি Edge 30 Pro-এর উত্তরসূরি হিসেবে এসেছে। ফোনটি আসলে গত বছর ডিসেম্বরে চীনে লঞ্চ হওয়া Moto X40-এর রিব্র্যান্ডেড ভার্সন। এতে রয়েছে ফুলএইচডি+ অ্যামোলেড ডিসপ্লে, Qualcomm Snapdragon 8 Gen 2 প্রসেসর চিপসেট, ৫০ মেগাপিক্সেলের প্রাইমারি ক্যামেরা এবং ৪,৬০০ এমএএইচ ব্যাটারি। প্রকৃত অর্থেই ফ্ল্যাগশিপ মোবাইল এটি, যা অসাধারণ কিছু স্পেসিফিকেশন অফার করে। আসুন Motorola Edge 40 Pro-এর সকল স্পেসিফিকেশন, ফিচার ও দাম সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।

Motorola Edge 40 Pro-এর স্পেসিফিকেশন এবং ফিচার

মোটোরোলা এজ ৪০ প্রো-এ ৬.৬৭ ইঞ্চির ফুলএইচডি+ অ্যামোলেড (AMOLED) কার্ভড এজ ডিসপ্লে রয়েছে, যা গরিলা গ্লাস ভিকটাস দ্বারা সুরক্ষিত। এটি ১৬৫ হার্টজ রিফ্রেশ রেট, এইচডিআর১০+ সাপোর্ট এবং ইন-স্ক্রিন ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার অফার করে। এজ ৪০ প্রো কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৮ জেন ২ প্রসেসর দ্বারা চালিত, যার সাথে সর্বাধিক ১২ জিবি এলপিডিডিআর৫এক্স র‍্যাম এবং ২৫৬ জিবি ইউএফএস ৪.০ স্টোরেজের সাথে যুক্ত রয়েছে। ফোনটি অ্যান্ড্রয়েড ১৩ অপারেটিং সিস্টেমে রান করে।

ফটোগ্রাফির জন্য, মোটোরোলা এজ ৪০ প্রো-এ অবস্থিত ট্রিপল রিয়ার ক্যামেরা সেটআপে অপটিক্যাল ইমেজ স্ট্যাবিলাইজেশন (OIS) সাপোর্ট সহ ৫০ মেগাপিক্সেলের ১/১.৫৫ ইঞ্চি প্রাইমারি সেন্সর, ১১৭ ডিগ্রির ফিল্ড-অফ-ভিউ সহ একটি ৫০ মেগাপিক্সেলের ১/১.২২ ইঞ্চি আল্ট্রা-ওয়াইড-অ্যাঙ্গেল লেন্স এবং একটি ১২ মেগাপিক্সেলের টেলিফটো ইউনিট উপস্থিত রয়েছে৷ আর ডিভাইসটির সামনে একটি ৬০ মেগাপিক্সেলের সেলফি ক্যামেরা বর্তমান।

স্মার্টফোনটি রিয়ার ক্যামেরার মাধ্যমে ৮কে (8K) ভিডিও এবং ফ্রন্ট ক্যামেরা থেকে ৪কে (4K) ভিডিও রেকর্ড করতে সক্ষম। পাওয়ার ব্যাকআপের জন্য, Motorola Edge 40 Pro যথাক্রমে ১২৫ ওয়াট ওয়্যার্ড, ১৫ ওয়াট ওয়্যারলেস এবং ৫ ওয়াট রিভার্স ওয়্যারলেস চার্জিং সাপোর্ট সহ ৪,৬০০ এমএএইচ ব্যাটারি ইউনিট ব্যবহার করা হয়েছে।

Motorola Edge 40 Pro-এর মূল্য ও লভ্যতা

ইউরোপে Motorola Edge 40 Pro-এর একমাত্র ১২ জিবি র‍্যাম + ২৫৬ জিবি স্টোরেজ ভ্যারিয়েন্টের দাম রাখা হয়েছে ৮৯৯.৯৯ ইউরো (প্রায় ৮১,০০০ টাকা)। এটি ব্লু এবং ব্ল্যাক কালার অপশনে পাওয়া যাবে এবং শীঘ্রই ইউরোপে কেনার জন্য উপলব্ধ হবে। ফোনটির সঠিক লভ্যতা এবং মূল্য বাজারের ওপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হবে। তবে এটি ভারতে কবে আসবে, সে সম্পর্কে এখনও কিছু জানা যায়নি।