বড় খবর! আদালতকে WhatsApp-এর নতুন পলিসি বাস্তবায়নের অনুমতি না দেওয়ার অনুরোধ সরকারের

নয়া প্রাইভেসি পলিসিকে কেন্দ্র করে ফের হোঁচট খেল WhatsApp। গত জানুয়ারিতে জনপ্রিয় ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং অ্যাপটি নিজের পরিবর্তিত নীতিমালা সংক্রান্ত নোটিফিকেশন প্রকাশ করা মাত্রই সমালোচনার যে ঝড় বয়ে যায় – তা আমাদের সবারই জানা। শুধু তাই নয়, ভারতীয় ইউজারদের WhatsApp-এ গোপনীয়তা নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এই মর্মে দিল্লী আদালতে মামলাও দায়ের করা হয় ফেসবুক মালিকানাধীন প্ল্যাটফর্মটির বিরুদ্ধে। সেক্ষেত্রে দিল্লী হাইকোর্ট, WhatsApp-কে নিজের স্বপক্ষে বক্তব্য রাখার জন্য নির্দিষ্ট সময় দিলেও, সংস্থাটি যাতে তার নতুন গোপনীয়তা নীতি এবং পরিষেবার শর্তাদি বাস্তবায়ন থেকে বিরত থাকে – সেজন্য এবার আদালতের কাছে অনুরোধ করল কেন্দ্র সরকার।

সংবাদ মাধ্যম ANI, আজ একটি টুইটের মাধ্যমে এই তথ্য সবার সামনে এনেছে। আবার PTI জানিয়েছে যে, সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম WhatsApp-এর নতুন গোপনীয়তা নীতিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দায়ের করা আবেদনের প্রেক্ষিতে একটি বিবৃতি দিয়েছে ইলেকট্রনিক্স এবং তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রক (MEITY)। এক্ষেত্রে গত বুধবার লোকসভায় দেশের তথ্য-প্রযুক্তি তথা যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী সঞ্জয় ধোত্রে বলেছেন যে, সরকার, Facebook-এর মালিকানাধীন মেসেজিং প্ল্যাটফর্মটিকে তার নতুন গোপনীয়তা নীতিটি পর্যালোচনা করার কথা বলেছে। কারণ সাময়িকভাবে নয়া পলিসি বাস্তবায়নের কাজ স্থগিত রাখলেও, আগামী মে মাসে এটি কার্যকরী হবে বলে জানিয়েছে WhatsApp।

যদিও গোড়া থেকেই মেসেজিং প্ল্যাটফর্মটি নিজের নতুন প্রাইভেসি পলিসি সম্পর্কে দাবি করে আসছে যে, WhatsApp-এ আগের মতই ব্যক্তিগত চ্যাটগুলি এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপ্ট থাকবে এবং ইউজারের ডেটা কোনোভাবেই ট্র্যাক করা হবে না। তাছাড়া, মালিক সংস্থা Facebook-এরও এই বিষয়ে কোনো হস্তক্ষেপ থাকবে না বলেও বিতর্ক থামানোর চেষ্টা করেছে WhatsApp। কিন্তু তাতেও লাভ হয়নি! উল্টে এটি ভারতীয় তথ্য সুরক্ষা এবং গোপনীয়তা আইন লঙ্ঘন করছে বলে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন সীমা সিংহ এবং মেঘন সিং নামের দুই ব্যক্তি।

তবে শুধু ভারতে নয়, প্রায় সারা বিশ্বেই WhatsApp-এর নতুন নীতিমালা তীব্র সমালোচিত হয়েছে। এমনকি পরিবর্তিত প্রাইভেসি পলিসি সম্পর্কে ঘোষণা করার পর, প্রচুর ইউজার WhatsApp-কে বিদায় জানিয়ে Signal এবং Telegram-এর মত অন্যান্য মেসেজিং অ্যাপ্লিকেশন বেছে নিয়েছেন। অন্যদিকে ভারতে এসেছে দেশীয় বিকল্প Sandes-ও। সেক্ষেত্রে WhatsApp এখন ভারত সরকারের নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে কী পদক্ষেপ নেয়, সেটাই এখন দেখার।

হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন