Petrol Pump Fraud: পেট্রল পাম্পে তেল চুরি হয় এই 3 কৌশলে, জানলে জীবনে ঠকবেন না

বিজ্ঞানের অগ্রগতি আমাদের জীবনে আশীর্বাদ নাকি অভিশাপ সেই নিয়ে বিতর্ক রয়েছে অনেক। প্রযুক্তির চূড়ান্ত পর্যায় দাঁড়িয়ে আজ সবকিছুই ডিজিটাল। মোদি সরকারের “ডিজিটাল ইন্ডিয়া” কর্মসূচির সুবাদে ভারত ধীরে ধীরে ডিজিটাল দুনিয়ায় পদার্পণ করেছে। তবে সুবিধার সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে বিভিন্ন জালিয়ারিত কর্মকান্ড। ব্যাংক লোনের জালিয়াতি, ডেবিট কার্ড কিংবা ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে প্রতারণা, আধার কার্ডের তথ্য চুরি করার মতোই আরও একটি অতি সাধারণ প্রতারণার কারবার চলে পেট্রোল পাম্পগুলিতে। সাধারণ মানুষের কস্টার্জিত অর্থ কিছু অসাধু পেট্রোল পাম্প ব্যবসায়ীদের চক্করে কার্যত নষ্ট হয়। পেট্রোল পাম্পের এই জালিয়াতির হাত থেকে বাঁচতে মাথায় রাখুন এই কয়েকটি বিষয়।

শর্ট ফুয়েলিং

সহজ বাংলায় বললে আপনার প্রদত্ত অর্থের তুলনায় অল্প পরিমাণ তেল প্রদান। সাধারণভাবে আমরা ফুয়েলিং স্টেশনে একটি নির্দিষ্ট অর্থের পেট্রোল কিংবা ডিজেল ভরাতে চাই। উদাহরণস্বরূপ, কোন ব্যক্তি ১,০০০ টাকার পেট্রোল ভরানোর উদ্দেশ্যে হাজির হলেন পেট্রোল পাম্পে। দেখা গেল আগে থেকেই সেই মেশিনে ২০০ টাকা পর্যন্ত তেল ভরানো রয়েছে। আপনার অন্যমনস্কতার সুযোগ নিয়ে ২০০ টাকার পর থেকেই বাকি ৮০০ টাকার পেট্রোল ভরা হলো গাড়িতে। আপনার অজ্ঞাতে ২০০ টাকার প্রতারণার শিকার হলেন আপনি। প্রতিমুহূর্তে তেল ভরার আগে মিটারের ঘরে “শূন্য” সংখ্যাটি রয়েছে কিনা নিশ্চিত করুন।

জ্বালানির ঘনত্ব

পেট্রোল ডিজেলের ঘনত্ব সরকার নির্ধারিত মাত্রার মধ্যে থাকা আবশ্যক। অন্যথায় যে পরিমাণ অর্থ আপনি ব্যয় করছেন তার তুলনায় কিন্তু কম পরিমাণ জ্বালানি পাবেন আপনি। এই বিষয়টি নিশ্চিত করতে ফুয়েলিং মেশিনের গায়ে লাগানো ফুয়েল ডেনসিটি ডিসপ্লের দিকে নজর দিন। এছাড়াও প্রবাহিত জ্বালানির গতি যদি সাধারণ সময়ের তুলনায় অনেকটা বেশি থাকে সেক্ষেত্রে এর ঘনত্ব কম বলেই ধরে নিতে হবে। এমন মুহূর্ত হলে আপনি প্রতারণার শিকার।

ই-চিপ এর ব্যবহার

অসাধু ব্যবসায়ীরা সাধারণ ক্রেতাদের ফাঁকি দিতে ফুয়েল ইন মেশিনের মধ্যে একটি বৈদ্যুতিক চিপ সংযুক্ত করে। এটি ৩ শতাংশ পর্যন্ত কম জ্বালানি প্রবাহিত করার ক্ষমতা রাখে। সেক্ষেত্রে ১০০০ টাকার জ্বালানি ভরলে আদতে আপনি ৯৭০ টাকার জ্বালানি পাবেন। মজার বিষয় হলো মেশিনের ডিসপ্লেতে কিন্তু ১,০০০ টাকাই দেখতে পাবেন আপনি। এমনকি ট্রানজাকশনের স্লিপ বের করলে সেখানেও কিন্তু ভুল তথ্যই পরিবেশন করা হবে।

তবে পেট্রোল পাম্পে কী করা উচিত?

প্রথমত শহরের মধ্যে অবস্থিত বড় পেট্রোল পাম্পগুলি থেকে তেল ভরানোর চেষ্টা করুন। এই সমস্ত পাম্পগুলি সাধারণভাবে স্বচ্ছ ভাবমূর্তি বজায় রাখে। তাই ঠকার সম্ভাবনা কম। তবে কোনো পেট্রোল পাম্পে যদি এমন অসাধু কাজ কর্মের সাক্ষী থাকেন আপনি তবে বিষয়টি অবশ্যই সেই নির্দিষ্ট জ্বালানি সংস্থার নজরে আনুন। প্রতিটি তেল সংস্থার নিজস্ব ওয়েবসাইটে অভিযোগ নথিবদ্ধ করার সুযোগ থাকে। অনলাইনের মাধ্যমেও এই বিষয়টি সহজেই করা সম্ভব।